• ঢাকা বুধবার, ১৮ ডিসেম্বর ২০২৪, ৩ পৌষ ১৪৩১

বান্দরবানে দিন দিন জনপ্রিয় হচ্ছে মৌসুমি ফলের চাতনি

   ১৫ জুলাই ২০২৫, ০২:০৪ পি.এম.

বান্দরবান প্রতিনিধি

বান্দরবানের বিভিন্ন পাহাড়ে উৎপাদিত হচ্ছে ফরমালিনমুক্ত অসংখ্য আম, আনারস, কলা, কাঠালসহ নানা সুস্বাদু ফল। বান্দরবানে এই উৎপাদিত ফলগুলোর প্রতি ক্রেতাদের আর্কষণ সবসময় বেশি পরিলক্ষিত হয়। জেলার ৭টি উপজেলায় ফলের মৌসুমে যে পরিমান ফল উৎপাদন হয় তার বেশিরভাগই স্থানীয় চাহিদা মিটিয়ে এখন চলে যাচ্ছে দেশের নানা প্রান্তে।

এদিকে ফলের এই স্বাদকে স্থানীয় বাসিন্দা আর পর্যটকদের কাছে আরো আর্কষণীয় ও লোভনীয় করে তুলেছে বম সম্প্রদায়ের হাতে তৈরি সুস্বাদু মৌসুমি ফলের চাটনি। বাগান থেকে ছিড়ে আনা তরতাজা আম আর আনারসের সুস্বাদু চাটনি খেয়ে নতুন এক অভিজ্ঞতার মুখোমুখি পর্যটক ও ভোজনরসিকরা।বান্দরবান জেলা সদর থেকে মাত্র ৮ কিলোমিটার দুরত্বে জেলা প্রশাসন পরিচালিত পর্যটনকেন্দ্র শৈলপ্রপাত, আর এই শৈলপ্রপাত এলাকায় ভ্রমনে আসা পর্যটক ও স্থানীয় বাসিন্দাদের কাছে দিন দিন জনপ্রিয় হয়ে ওঠছে মৌসুমি ফলের চাটনি। শৈলপ্রপাত এলাকায় বেড়াতে যাওয়া পর্যটকরা আম আর আনারসের নতুন স্বাদের এই চাটনি শুধু খাচ্ছেনই না, এখন নিয়ে যাচ্ছেন পরিবার পরিজনের জন্যও।

সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, বান্দরবান-চিম্বুক সড়কের শৈলপ্রপাত পর্যটন কেন্দ্রে পর্যটকদের প্রচুর ভিড়, শৈলপ্রপাতের মনোরম ঝর্ণা আর সবুজ পাহাড়ের অপরুপ প্রকৃতি দেখে বিমোহিত পর্যটকরা। এদিকে শৈলপ্রপাতে ঝর্নার নামার পথে বসবাসরত বম সম্প্রদায় তাদের বাগানে উৎপাদিত তরতাজা নানা ধরণের ফল সাজিয়ে রেখেছে বিক্রির জন্য। শুধু ফলই নয় মনোরম সাজে আম আর আনারস চাটনি করে তা প্লাষ্টিকের গ্লাসে ভর্তি করে রেখেছে ক্রেতাদের আকর্ষণের জন্য। ব্যবসায়ীদের অনেকেই ফল বিক্রির পাশাপাশি পর্যটকদের জন্য তৈরি করছে সুস্বাদু আম আর আনারসের চাটনি।

এক গ্লাস আমের চাটনি ৫০ টাকা আর এক গ্লাস আনারসের চাটনি ৫০টাকা দামে বিক্রি হচ্ছে। আম, আনারস কেটে পরিষ্কার করে ধুয়ে লবণ, চিনি আর সামান্য মরিচ দিয়েই তৈরি হচ্ছে এই সুস্বাদু চাটনি। এদিকে হিমশীতল পরিবেশে ঝর্ণার অপরুপ দেখার পাশাপাশি নানা ধরনের মুখরোচক চাটনি খেয়ে বিমোহিত ক্রেতারা, আর নিজের বাগানে উৎপাদিত ফল নিজের দোকানে বিক্রি করে পরিবার পরিজন নিয়ে ভালোই চলছে বলে জানান বিক্রেতারা।

চাটনি বিক্রেতা ফারুক পাড়ার বাসিন্দা রতন বম বলেন, বান্দরবানে সারাবছরই নানা ধরণের ফল উৎপাদন হয়, আর আমরা পর্যটকদের বিক্রির উদ্যোশে নানা ধরণের চাটনি তৈরি করি। প্রতিদিন শৈলপ্রপাতে প্রচুর ভ্রমনকারী বেড়াতে আসে আর তাদের জন্য আমরা ফরমালিনমুক্ত এবং স্বাস্থ্যসম্মতভাবে তরতাজা চাটনি তৈরি করে বিক্রি করি। প্রতিদিন প্রায় ৮শত থেকে ১ হাজার টাকা বিক্রি হয় জানিয়ে রতন বম বলেন, লাভ অল্প হলেও পর্যটকদের ভালো ফল খাওয়াতে পেরে আমরা খুশি।

ঢাকা থেকে বান্দরবানের শৈলপ্রপাত বেড়াতে আসা পর্যটক ইফরান জানান, বাংলাদেশের বিভিন্নস্থানে বেড়াতে গিয়েছি তবে বান্দরবান আলাদা একটি স্বর্গরাজ্য। এখানকার পরিবেশ অত্যন্ত মনোমুগ্ধকর আর সেই সাথে পাহাড়ে উৎপাদিত ফল ও ফলের চাটনির মজাই আলাদা।

বান্দরবান সদর থেকে ফলের চাটনি খেতে যাওয়া ব্যবসায়ী মো.আলমগীর বলেন, আমি যখনই সময় পায় শৈলপ্রপাত ছুটে আসি। এখানে বম সম্প্রদায়ের হাতে তৈরি আমড়া,আম,আনারসসহ বিভিন্ন ধরণের চাটনি খেয়ে থাকি আর দাম স্বস্তা ও মজা বেশি থাকায় পরিবারের জন্য ও নিয়ে যায়।

এদিকে বান্দরবান কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক এম এম শাহ্ নেয়াজ বলেন, বান্দরবানে ফরমালিনমুক্ত প্রচুর ফল-ফলাদি সারা বছরই উৎপন্ন হয়ে থাকে। বান্দরবানে এখন শুধু দেশী আম নয়, বিদেশী জাতের আমও উৎপাদন হচ্ছে আর সেটি দেশের নানান প্রান্তে সরবরাহ করা হচ্ছে দ্রুত সময়ে।

তিনি আরো বলেন, বান্দরবানের ফলের যেমন চাহিদা বাড়ছে,তেমনি বাড়ছে নানাধরণের ফলের চাটনির চাহিদাও। স্বাস্থ্যসম্মত ও ফরমালিনমুক্ত এই ফলের চাটনি আগামীতে বান্দরবানের ব্যবসায়ীদের অর্থনৈতিকভাবে আরো স্বাবলম্বী করে তুলবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেন তিনি।

চাটনি বিক্রেতা ফারুক পাড়ার বাসিন্দা রতন বম বলেন, বান্দরবানে সারাবছরই নানা ধরণের ফল উৎপাদন হয়, আর আমরা পর্যটকদের বিক্রির উদ্যোশে নানা ধরণের চাটনি তৈরি করি। প্রতিদিন শৈলপ্রপাতে প্রচুর ভ্রমনকারী বেড়াতে আসে আর তাদের জন্য আমরা ফরমালিনমুক্ত এবং স্বাস্থ্যসম্মতভাবে তরতাজা চাটনি তৈরি করে বিক্রি করি। প্রতিদিন প্রায় ৮শত থেকে ১ হাজার টাকা বিক্রি হয় জানিয়ে রতন বম বলেন, লাভ অল্প হলেও পর্যটকদের ভালো ফল খাওয়াতে পেরে আমরা খুশি।

ঢাকা থেকে বান্দরবানের শৈলপ্রপাত বেড়াতে আসা পর্যটক ইফরান জানান, বাংলাদেশের বিভিন্নস্থানে বেড়াতে গিয়েছি তবে বান্দরবান আলাদা একটি স্বর্গরাজ্য। এখানকার পরিবেশ অত্যন্ত মনোমুগ্ধকর আর সেই সাথে পাহাড়ে উৎপাদিত ফল ও ফলের চাটনির মজাই আলাদা।

বান্দরবান সদর থেকে ফলের চাটনি খেতে যাওয়া ব্যবসায়ী মো.আলমগীর বলেন, আমি যখনই সময় পায় শৈলপ্রপাত ছুটে আসি। এখানে বম সম্প্রদায়ের হাতে তৈরি আমড়া,আম,আনারসসহ বিভিন্ন ধরণের চাটনি খেয়ে থাকি আর দাম স্বস্তা ও মজা বেশি থাকায় পরিবারের জন্য ও নিয়ে যায়।

এদিকে বান্দরবান কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক এম এম শাহ্ নেয়াজ বলেন, বান্দরবানে ফরমালিনমুক্ত প্রচুর ফল-ফলাদি সারা বছরই উৎপন্ন হয়ে থাকে। বান্দরবানে এখন শুধু দেশী আম নয়, বিদেশী জাতের আমও উৎপাদন হচ্ছে আর সেটি দেশের নানান প্রান্তে সরবরাহ করা হচ্ছে দ্রুত সময়ে।

তিনি আরো বলেন, বান্দরবানের ফলের যেমন চাহিদা বাড়ছে,তেমনি বাড়ছে নানাধরণের ফলের চাটনির চাহিদাও। স্বাস্থ্যসম্মত ও ফরমালিনমুক্ত এই ফলের চাটনি আগামীতে বান্দরবানের ব্যবসায়ীদের অর্থনৈতিকভাবে আরো স্বাবলম্বী করে তুলবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেন তিনি।

ভিওডি বাংলা/ এমএইচ

  • দেশজুড়ে এর পাঠক প্রিয়
আরও পড়ুন
দেশকে অস্থিতিশীল করার চেষ্টার প্রতিবাদে স্বেচ্ছাসেবক দলের বিক্ষোভ মিছিল
দেশকে অস্থিতিশীল করার চেষ্টার প্রতিবাদে স্বেচ্ছাসেবক দলের বিক্ষোভ মিছিল
রাজশাহী রেলস্টেশনে হেরোইনসহ মাদক ব্যবসায়ী আটক
রাজশাহী রেলস্টেশনে হেরোইনসহ মাদক ব্যবসায়ী আটক
বরিশাল বিভাগে নতুন করে ১২১ জন ডেঙ্গু রোগী হাসপাতালে ভর্তি
বরিশাল বিভাগে নতুন করে ১২১ জন ডেঙ্গু রোগী হাসপাতালে ভর্তি