২ ঘণ্টা পর মুক্ত
দুর্নীতির দায়ে সহযোদ্ধাদের হাতে অবরুদ্ধ সমন্বয়ক


রংপুর প্রতিনিধিঃ
রংপুরের পীরগাছায় বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের স্থানীয় সমন্বয়ক ফারদিন এহসান মাহিমের বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ তুলে তাকে অবরুদ্ধ করে রাখেন তারই সহযোদ্ধারা।
সোমবার (১৬ জুন) দুপুর ১টার দিকে ৪০ থেকে ৫০ জন ছাত্র উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) অফিসে তাকে প্রায় ২ ঘণ্টার মতো অবরুদ্ধ রেখে বিচার দাবি করেন। পরে উপজেলা বিএনপির সভাপতি আমিনুল ইসলাম রাঙ্গার হস্তক্ষেপে পরিস্থিতি শান্ত হয়।
ছাত্ররা অভিযোগ করেন, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে তারা সবাই সক্রিয় ভূমিকা রেখেছেন। তারা সবাই মাহিমের সহযোদ্ধা ছিলেন। গত বছরের ৫ আগস্টের পর আন্দোলনকারী ছাত্রদের প্রতিনিধি বা মুখপাত্র হিসেবে ফারদিন এহসান মাহিমকে দায়িত্ব দেওয়া হয়। এই সুযোগে মাহিম বিভিন্ন অনিয়ম-দুর্নীতি, চাঁদাবাজি, মামলা বাণিজ্যে জড়িয়ে পড়েন। এ ছাড়া, পীরগাছা জেএন হাই স্কুল মাঠে ক্রিকেট খেলার আয়োজন করা হয়।
এই খেলাকে কেন্দ্র করে সরকারিভাবে ১ লাখ ১০ হাজার টাকা বরাদ্দ দেওয়া হয়েছিল। সেই টাকা বুঝিয়ে পেয়েছে মর্মে কয়েকজন খেলোয়াড়ের কাছ থেকে স্বাক্ষর নেওয়া হলেও কাউকে কোনো টাকা বা খেলাধুলার সামগ্রী দেওয়া হয়নি। পুরো টাকা ফাহিম আত্মসাৎ করেছেন। শীতের কম্বল, ঈদের ভিজিএফ স্লিপ নিয়েও তিনি দুর্নীতি করেছেন।
এসব অপকর্মের সঙ্গে তার বাবা, বোন ও পরিবারের লোকজন জড়িত। তার বোনের নামে তিনি খাদ্যবান্ধব কর্মসূচির ডিলারশিপ নিয়েছেন।
অভিযোগকারীরা জানান, দীর্ঘদিন থেকে ফাহিম এসব অপকর্ম করছে। আজকে এসবের প্রতিবাদ করতে তারা ইউএনও অফিসে এসেছেন। ইউএনওর কাছে তারা মাহিমের বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ করেছেন।ইউএনও তা তদন্ত করে তার বিরুদ্ধে যথাযথ ব্যবস্থা নেবে বলে আশ্বাস দিয়েছেন।
ছাত্ররা জানান, আজ থেকে পীরগাছা উপজেলায় ছাত্র প্রতিনিধি হিসেবে কেউ পরিচয় দিতে পারবেন না। কোথাও কোনো প্রয়োজন হলে সব ছাত্র একসঙ্গে কাজ করবেন।
অভিযোগের বিষয়ে ফারদিন এহসান মাহিম বলেন, যখন কোনো ব্যক্তি দায়িত্বে থাকে তার বিরুদ্ধে নানা ধরনের অভিযোগ থাকবেই। আমার বিরুদ্ধে যেসব অভিযোগ উঠেছে, তা লিখিতভাবে তারা দায়ের করুক। সেটা তদন্ত হোক, তা আমিও চাই। আমারও হয়তো কিছু ভুল আছে।
তিনি বলেন, আমি সাংগঠনিকভাবে সবার সঙ্গে প্রথম দিকে যোগাযোগ রাখলেও পরে যোগাযোগ রাখতে পারিনি। এ জন্য ভুল বোঝাবুঝি ও ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে।
ফারদিন এহসান মাহিম বলেন, খেলার টাকার বিষয়ে যাদের স্বাক্ষর নেওয়া হয়েছে, তাদের টাকা দেওয়া হয়েছে। আমার বিরুদ্ধে করা অভিযোগের বিষয়ে তদন্ত কমিটি গঠন করে তদন্ত করা হোক। তদন্তে যদি আমি দোষী হই, তাহলে আমি মাথা পেতে নেব।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. নাজমুল হক সুমন বলেন, ফারদিন এহসান মাহিমের বিরুদ্ধে ছাত্রদের অভিযোগগুলো লিখিতভাবে দিতে বলা হয়েছে। এ বিষয়ে কমিটি গঠনের মাধ্যমে তদন্ত করে খতিয়ে দেখে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
ভিওডি বাংলা/এম
ভুয়া প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে বিভ্রান্ত না হওয়ার আহ্বান রিজভীর
জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক
ফেসবুকে বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভীর …

ঐকমত্য কমিশনের সঙ্গে সংলাপ যোগ দেয়নি জামায়াত
নিজস্ব প্রতিবেদক
জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের দ্বিতীয় দফার দ্বিতীয় পর্বের আলোচনায় …

নির্বাচনের দিনক্ষণ নিয়ে অস্থিরতা নয়: আমীর খসরু
জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক
জাতীয় সংসদ নির্বাচনের সময়সূচি নিয়ে এখনই অস্থির না হয়ে …
