• ঢাকা বুধবার, ১৮ ডিসেম্বর ২০২৪, ৩ পৌষ ১৪৩১

নেই পর্যাপ্ত জনবল ও সরঞ্জাম

কক্সবাজার সৈকতে মরণফাঁদ গুপ্তখাল

   ১৩ জুন ২০২৫, ০৪:০৫ পি.এম.
ছবি: সংগৃহীত

কক্সবাজার প্রতিনিধি

কক্সবাজার সমুদ্র সৈকতে কয়েকজন পর্যটককে স্রোতের টানে ভেসে যেতে দেখে রেসকিউ বোট নিয়ে ছুটে যাচ্ছেন সী সেইফ লাইফ গার্ড কর্মীরা। এমন চিত্র সৈকতে প্রায় প্রতিদনই দেখা যায়। সৈকতের কলাতলী, লাবনী ও সুগন্ধা পয়েন্টে সৃষ্ট একাধিক গুপ্তখাল এলাকায় বেশিরভাগ দুর্ঘটনা ঘটে থাকে। প্রতিদিন ২৭ জন লাইফ গার্ড কর্মী বিভিন্ন পয়েন্টে দায়িত্ব পালন করেন। এরপরও পর্যটকদের অসাবধানতায় প্রাণহানির ঘটনা ঘটছে।

লাইফ গার্ড কর্মী আমির খান বলেন, সৈকতে ঝুকিপূর্ণ ক্যানেল রয়েছে। ক্যানেলটি অনেক গভীর। অনেকেই সাঁতার না জানে না। তবুও তারা বারবার ক্যানেল এলাকায় চলে যাচ্ছে।

অন্য লাইফ গার্ড কর্মীরা জানান, জোয়ারের সময় ক্যানেলগুলো বেশী ঝুকিপূর্ণ হয়ে ওঠে। অধিকাংশ দুর্ঘটনা আমাদের জোনের বাইরে ঘটে থাকে।

এদিকে, গত কয়েকদিনে ৪ জনের মৃত্যুর পর পর্যটকরাও আতঙ্কে রয়েছেন। তারা জানান, গুপ্তখাল ও বিপজ্জনক স্থানগুলো সম্পর্কে আরও বেশি সতর্ক করা প্রয়োজন। পাশাপাশি গার্ডদেরও আরও বেশি সতর্ক থাকতে হবে।

পর্যটন খাত থেকে বিপুল রাজস্ব আহরণের পরও লাখো পর্যটকের ভিড়ে মাত্র ২৭ জন লাইফগার্ড কর্মী রয়েছেন। তাদের কাছে মাত্র ৩টি রেসকিউ বোট রয়েছে। যা প্রয়োজনের তুলনায় অপ্রতুল।

কক্সবাজার ৩ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য লুৎফর রহমান কাজল বলেন, সৈকতের কোথায় পর্যটকরা গোসল করতে পারবে তা নির্দিষ্ট করে দেয়া উচিত।

অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট শাহিদুল আলম বলেন, লাইফ গার্ড কর্মীরা দুর্ঘটনার বিষয়ে সজাগ রয়েছে। তারা সৈকতের বিভিন্ন পয়েন্টে দায়িত্ব পালন করছে। পাশাপাশি তারা পর্যটকদের সচেতন করছে।

উল্লেখ্য, গত বছর কক্সবাজার সৈকতে ৮ জনের মৃত্যু হয়েছে। আর ৮০ জন পর্যটককে উদ্ধার করা হয়েছে।

ভিওডি বাংলা/ এমএইচ

  • দেশজুড়ে এর পাঠক প্রিয়
আরও পড়ুন
১০ টাকার দ্বন্দ্বে প্রাণ গেল ছাত্রদল নেতার
১০ টাকার দ্বন্দ্বে প্রাণ গেল ছাত্রদল নেতার
ফ্রিজের তারে কোদালের কোপ, ছাত্রলীগ নেতার মৃত্যু
ফ্রিজের তারে কোদালের কোপ, ছাত্রলীগ নেতার মৃত্যু
বিএনপির শীর্ষ নেতৃত্বের নির্দেশ ছাড়া ভিপি নুরকে অবরুদ্ধ করা হয়নি
বিএনপির শীর্ষ নেতৃত্বের নির্দেশ ছাড়া ভিপি নুরকে অবরুদ্ধ করা হয়নি