• ঢাকা বুধবার, ১৮ ডিসেম্বর ২০২৪, ৩ পৌষ ১৪৩১

বাজার জমে ওঠেনি, মাছ-সবজির দাম কম

   ১৩ জুন ২০২৫, ০১:০১ পি.এম.
ছবি: সংগৃহীত

নিজস্ব প্রতিবেদক

ঢাকার সবজি বাজারগুলো ঈদের ছুটির কারণে এখনও জমে ওঠেনি। ক্রেতার উপস্থিতি কম। কেনাবেচা চলছে ঢিমেতালে।

শুক্রবার (১৩ জুন) রাজধানীর কারওয়ান বাজার, জুরাইন, যাত্রাবাড়ি, হাতিরপুল বাজার ঘুরে এমন চিত্র দেখা গেছে। মাছ, সবজির দামও গত সপ্তাহের তুলনায় কিছুটা কম।

কারওয়ান বাজার ঘুরে দেখা যায়, আড়তগুলোতে ক্রেতাদের আনাগোনা কম। বাজারে নেই ব্যস্ততা। একই অবস্থা খুচরা বাজারেও। বেলা বাড়লেও খুচরা বাজারে ক্রেতার সংখ্যা তুলনামূলক কম।

দোকানিরা বলছেন, ঈদের ছুটি শেষ না হওয়ায় বহু মানুষ এখনো ঢাকায় ফেরেননি। ক্রেতা-বিক্রেতাদের আনাগোনা এজন্য কম। ফলে বেচাকেনা জমে ওঠেনি।

অন্যদিকে, বাজারে পণ্য সরবরাহ কম বলে জানিয়েছেন কারওয়ান বাজারের ব্যবসায়ীরা। সবজির আড়তের বিক্রেতা জাবেদ হোসেন বলেন, মানুষ এখনো গ্রামে। মানুষ ঢাকায় ফিরলেই বাজারে ভিড় বাড়বে। তাই সরবারাহ কম। এছাড়া সারাদেশে মোকামসহ জেলা-উপজেলাগুলো থেকে পণ্য কম আসছে।

বাজার ঘুরে দেখা গেছে, ঢেঁড়স খুচরা ২৫ টাকা, পেঁপে ২৫ থেকে ৩০, ধুন্দল ২৫, চিচিঙ্গা ২৫, পটল ৪০ টাকা ও বেগুন ৩০ টাকা কেজিতে বিক্রি হচ্ছে।

কারওয়ান বাজারের খুচরা বিক্রেতা আলী হোসেন বলেন, বাজারে এখন মধ্যবিত্ত ও নিম্ন আয়ের মানুষের আনাগোনা বেশি। তবে পাইকাররা গতকাল থেকে কম সরবারাহের অজুহাতে দাম কিছুটা বাড়িয়েছেন। কিন্ত ক্রেতা কম থাকায় বাজারের সবকিছুর দাম স্থিতিশীল রয়েছে বলে মনে হচ্ছে।

বেশ কয়েকজন পাইকারি ও খুচরা সবজি বিক্রেতার সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, বর্ষা মৌসুম আসায় বাজারে সবজির দাম আর কমার সম্ভাবনা নেই। সামনের সাপ্তাহ থেকে শাক-সবজির দাম বেড়ে যাবে।

এদিকে, মাছের বাজারেও ক্রেতা কম। বাজার ঘুরে দেখা গেছে, কাতল ৩৫০ থেকে ৩৮০ টাকা, রুই ৩৫০, পাবদা ৩৫০ টাকা, পাঙ্গাস ১৫০ থেকে ২০০ টাকা, তেলাপিয়া মাছ ১৫০ থেকে ২০০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে।

রাজধানীর পান্থপথ থেকে কারওয়ান বাজারে মাছ কিনতে এসেছেন হাবিবুল বাশার। তিনি বলেন, মাছের দাম আগের মতোই আছে। কোরবানির ঈদ হিসেবে দাম কমেনি। তবে বাজারেও মাছ কম। রুই-কাতলের দাম আগের মতোই।

কারওয়ান বাজারের কামারপট্টি এলাকায় রাস্তার ওপর বিভিন্ন ধরনের মাছ নিয়ে বেচাকেনা করছেন আজগর। তিনি বলেন, বাজারে ক্রেতা খুবই কম। পাঙ্গাস-তেলাপিয়া মোটামুটি কম দামে বিক্রি হচ্ছে। ক্রেতা বাড়লে মাছের দাম সামনে আরও বাড়তে পারে।

সার্বিকভাবে কারওয়ান বাজারে এখনো ঈদ পরবর্তী স্থবিরতা বিরাজ করছে। ক্রেতা কম, বিক্রি কম। পণ্যের দামও স্থিতিশীল। শহরবাসী ফিরলে এবং পরিবহন ও সরবরাহ স্বাভাবিক হলে আবারও বাজারে গতি ফিরবে। এমনটাই মনে করছেন ব্যবসায়ীরা।

ভিওডি বাংলা/ডিআর

  • দেশজুড়ে এর পাঠক প্রিয়
আরও পড়ুন
ঈদে কসমেটিকস স্টোর হারল‌্যানের বিক্রি বেড়েছে
ঈদে কসমেটিকস স্টোর হারল‌্যানের বিক্রি বেড়েছে
৩ দিনে বাংলাদেশের প্রবাসী আয় ৬০ কোটি ৪০ লাখ ডলার
৩ দিনে বাংলাদেশের প্রবাসী আয় ৬০ কোটি ৪০ লাখ ডলার
আজ ব্যাংক খোলা থাকছে যেসব এলাকায়
আজ ব্যাংক খোলা থাকছে যেসব এলাকায়