মানবাধিকার সমুন্নত রাখার আহ্বান প্রধান বিচারপতির

নিজস্ব প্রতিবেদক

বিশ্বব্যাপী আঞ্চলিক ও জাতীয়ভাবে আইনের শাসন প্রচার, প্রতিষ্ঠা এবং মানবাধিকার সমুন্নত রাখার আহ্বান জানিয়েছেন প্রধান বিচারপতি ড. সৈয়দ রেফাত আহমেদ।

মঙ্গলবার (১০ জুন) রাতে ইউএনডিপি’র বার্ষিক ‘রুল অব ল’ সম্মেলনের উদ্বোধনী অধিবেশনে অনলাইনে যুক্ত হয়ে দেয়া বক্তব্যে এ আহ্বান জানান তিনি। 

যুক্তরাষ্ট্রের নিউইয়র্কে ১০ থেকে  ১২ জুন এই আন্তর্জাতিক সম্মেলন অনুষ্ঠিত হচ্ছে। বিশ্বের বিভিন্ন দেশের বিচার বিভাগের শীর্ষ কর্মকর্তারা এ সম্মেলনে অংশ নিয়েছেন। প্রধান বিচারপতি এ সময় বলেন, ‘আইনের শাসন প্রতিষ্ঠা, ন্যায্য ও সমান ন্যায়বিচার প্রদানকে সমর্থন করা, সবার জন্য ন্যায়বিচারের সুবিধা নিশ্চিত করা এবং আইনের শাসন ও মানবাধিকার সমুন্নত রাখার জন্য আমাদের কাজ আগের চেয়েও বেশি প্রাসঙ্গিক হয়ে উঠেছে।’ 

তিনি বলেন, ‘ন্যায়বিচার ও মানবাধিকার প্রতিষ্ঠায় ঐক্যবদ্ধ হওয়ার আহ্বান জাতিসংঘ সনদের একেবারে কেন্দ্রবিন্দুতে নিহিত। যেখানে টেকসই উন্নয়নের জন্য শান্তিপূর্ণ, ন্যায়সংগত এবং অন্তর্ভুক্তিমূলক সমাজ গঠনের প্রচেষ্টা জোরদার করা, সবার জন্য ন্যায়বিচারের সুযোগ প্রদান করা এবং সর্বস্তরে কার্যকর,  জবাবদিহিমূলক এবং অন্তর্ভুক্তিমূলক প্রতিষ্ঠান গড়ে তোলা এবং মানবাধিকার ও  মৌলিক স্বাধীনতা সমুন্নত রাখার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।’ 

বাংলাদেশের বিচার বিভাগের সংস্কার ও রোডম্যাপের প্রেক্ষাপট তুলে ধরার সময় জুলাই- আগস্টের গণঅভ্যুত্থানের বিষয়টি উল্লেখ করেন প্রধান বিচারপতি বলেন, ‘ছাত্র-নেতৃত্বাধীন বিপ্লবে অন্যায়, স্বেচ্ছাচারিতা ও নিপীড়নের বিরুদ্ধে তরুণদের এক অভূতপূর্ব বিদ্রোহ এবং ন্যায়বিচারের এক স্পষ্ট আকাঙ্খার প্রতিফলন লক্ষ্য করা যায়। এই প্রেক্ষাপটে বাংলাদেশের প্রধান বিচারপতি হিসেবে দায়িত্ব গ্রহণের পর থেকে বিপ্লবের চূড়ান্ত মূল্য পরিশোধের লক্ষ্যকে সামনে রেখে বিচারিক সংস্কারের  জন্য একটি রূপান্তরমূলক এজেন্ডার মাধ্যমে ন্যায়বিচার পুনরুদ্ধারে আমার সংকল্পকে আরো দৃঢ় করেছে।’ 

তিনি বলেন, ‘আমাদের সংস্কার ও রোডম্যাপের মূল লক্ষ্য বিচার বিভাগীয় স্বাধীনতা এবং দক্ষ বিচার বিভাগ গড়ে তোলা।’ 

তিনি আরও বলেন, ‘শক্তিশালী এবং স্বাধীন বিচার বিভাগ গড়ে তোলা এত কঠিন যে, এই ধারণার মুখোমুখি হয়ে আমি এই মিশনকে সমর্থন করার জন্য জাতিসংঘকে আহ্বান জানাচ্ছি।’ 

প্রধান বিচারপতি বলেন, ‘সাংবিধানিকতা বৈধতা এবং মানবাধিকারের অভিভাবক হিসেবে অন্যান্য সব সংস্কার প্রচেষ্টার সম্মতি প্রদানকারী বিচার বিভাগকে অবশ্যই প্রথমে স্বৈরাচারী কব্জা থেকে মুক্ত করতে হবে এবং আমাদের আদালতের সামনে ন্যায়বিচার প্রার্থীদের জন্য কার্যকর প্রতিকার প্রদানকারী একটি স্বাধীন এবং বিশ্বস্থ বিচারক হিসেবে নিজেকে রূপান্তরিত করতে হবে।

ভিওডি বাংলা/ডিআর