• ঢাকা বুধবার, ১৮ ডিসেম্বর ২০২৪, ৩ পৌষ ১৪৩১

নতুন ভ্যারিয়েন্ট নিয়ে সতর্কতা

এশিয়ায় বাড়ছে কোভিড-১৯

   ২০ মে ২০২৫, ০৬:৩৯ পি.এম.
ফাইল ছবি

আন্তর্জাতিক ডেস্ক

কোভিড-১৯ সংক্রমণ আবারও দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার একাধিক দেশে উদ্বেগজনকভাবে বাড়ছে। হংকং, সিঙ্গাপুর, চীন এবং থাইল্যান্ডের মতো জনবহুল শহর ও অঞ্চলগুলোতে আক্রান্তের সংখ্যা লাফিয়ে বাড়ছে। বিশেষজ্ঞদের মতে, সংক্রমণের এই নতুন ঢেউয়ের পেছনে প্রধান চালিকাশক্তি হিসেবে কাজ করছে ওমিক্রনের উপ-ভেরিয়েন্ট জেএন.ওয়ান।

এনডিটিভির এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, হংকংয়ের স্বাস্থ্য সংস্থা “সেন্টার ফর হেলথ প্রোটেকশন” জানিয়েছে, শহরে ভাইরাসের কার্যকলাপ বর্তমানে “উল্লেখযোগ্যভাবে বেশি” পর্যায়ে রয়েছে। শ্বাসযন্ত্রের নমুনায় কোভিড পজিটিভের হার গত এক বছরের মধ্যে সর্বোচ্চে পৌঁছেছে। ব্লুমবার্গের তথ্য অনুযায়ী, ৩ মে পর্যন্ত সপ্তাহে ৩১ জন গুরুতর কেস শনাক্ত হয়েছে যা গত ১২ মাসের মধ্যে সর্বাধিক।

সিঙ্গাপুরের স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, ৩ মে পর্যন্ত সপ্তাহে সংক্রমণ ২৮ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়ে পৌঁছেছে ১৪,২০০ তে। হাসপাতাল ভর্তির সংখ্যাও বেড়েছে প্রায় ৩০ শতাংশ। দেশটি গত এক বছরে প্রথমবারের মতো বিশদভাবে সরকারি পরিসংখ্যান প্রকাশ করেছে। তবে মন্ত্রণালয় বলেছে, কোনও প্রমাণ নেই যে প্রচলিত রূপগুলো অতীতের তুলনায় বেশি সংক্রমণযোগ্য বা মারাত্মক।

থাইল্যান্ডে, ১৭ মে পর্যন্ত সপ্তাহে আক্রান্তের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৩৩,০৩০, যা আগের সপ্তাহের ১৬,০০০ থেকে দ্বিগুণের বেশি। সবচেয়ে বেশি সংক্রমণ ঘটেছে রাজধানী ব্যাংককে (৬,২৯০), এরপর রয়েছে চোন বুরি, রায়ং ও নন্থাবুরি। আক্রান্তদের মধ্যে বেশিরভাগই ৩০-৩৯ বছর বয়সী। থাই কর্তৃপক্ষ বিশেষ করে ঝুঁকিপূর্ণ গোষ্ঠীগুলোকে দ্রুত বুস্টার ডোজ নেওয়ার আহ্বান জানিয়েছে।

চীনের রোগ নিয়ন্ত্রণ ও প্রতিরোধ কেন্দ্র জানিয়েছে, ৩১ মার্চ থেকে ৪ মে পর্যন্ত বহির্বিভাগ ও জরুরি বিভাগে কোভিড-১৯ শনাক্তের হার ৭.৫ শতাংশ থেকে বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১৬.২ শতাংশে। একই সময়ে হাসপাতালে ভর্তি রোগীদের পজিটিভিটি হার ৩.৩ শতাংশ থেকে বেড়ে ৬.৩ শতাংশ হয়েছে।

ভারতের স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের তথ্য অনুযায়ী, দেশে বর্তমানে ২৫৭ জন সক্রিয় কোভিড রোগী রয়েছেন। যদিও প্রাদুর্ভাবের কোনও বড় লক্ষণ নেই, তবে কর্তৃপক্ষ পরিস্থিতির উপর নিবিড় নজর রাখছে।

বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা জেএন.ওয়ান ভ্যারিয়েন্টকে “ভ্যারিয়েন্ট অব ইন্টারেস্ট” হিসেবে স্বীকৃতি দিয়েছে। যদিও এটি এখনও “ভ্যারিয়েন্ট অব কনসার্ন” নয়, তবে এর উচ্চ সংক্রমণক্ষমতার সম্ভাবনার কারণে সতর্কতা অবলম্বন করা হচ্ছে। এখনো পর্যন্ত এই ভ্যারিয়েন্ট গুরুতর অসুস্থতার জন্য দায়ী এমন কোনও নিশ্চিত প্রমাণ নেই।

ভিওডি বাংলা/ এমপি

  • দেশজুড়ে এর পাঠক প্রিয়
আরও পড়ুন
ইরানে হামলা অব্যাহত রেখেছে ইসরায়েল: আইডিএফ
ইরানে হামলা অব্যাহত রেখেছে ইসরায়েল: আইডিএফ
ইরানের জনগণকে বিদ্রোহ করার ডাক দিলেন নেতানিয়াহু
ইরানের জনগণকে বিদ্রোহ করার ডাক দিলেন নেতানিয়াহু
চুক্তিতে রাজি না হলে ইসরায়েলি হামলা হবে ‘আরও নৃশংস’: ট্রাম্প
চুক্তিতে রাজি না হলে ইসরায়েলি হামলা হবে ‘আরও নৃশংস’: ট্রাম্প