• ঢাকা বুধবার, ১৮ ডিসেম্বর ২০২৪, ৩ পৌষ ১৪৩১

পুত্রবধূকে ধর্ষণচেষ্টার অভিযোগে শ্বশুর গ্রেপ্তার

   ১৮ মার্চ ২০২৫, ১২:৪৮ পি.এম.

কিশোরগঞ্জ প্রতিনিধি

কিশোরগঞ্জের ভৈরবে পুত্রবধূকে ধর্ষণের অভিযোগে শ্বশুর ও শারীরিক নির্যাতনের অভিযোগে শাশুড়িকে গ্রেপ্তার করেছে থানা পুলিশ। 

সোমবার(১৭ মার্চ) বিকালে উপজেলার আগানগর ইউনিয়নের জগমোহনপুর এলাকার নিজ বাড়ি থেকে তাদের আটক করা হয়।

আটককৃতরা হলেন, ওই এলাকার তোতা আলীর ছেলে আমির আলী (৬৫) ও তার স্ত্রী সমেলা বেগম (৫৫)। অভিযোগকারী নারী অভিযুক্তের ছেলে সাব্বিরের স্ত্রী দেলোয়ারা (২৪)। তিনি ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার নাসিরনগর বিটুই গ্রামের হাসেম মিয়ার মেয়ে। এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন ভৈরব থানা অফিসার ইনচার্জ (ওসি) খন্দকার ফুয়াদ রুহানি।

থানা পুলিশ সূত্রে জানা যায়, উপজেলা আগানগর ইউনিয়নের জগমোহনপুর এলাকার আমির আলীর ছেলে সাব্বিরের সঙ্গে ৬ বছর আগে পারিবারিকভাবে বিয়ে হয় দেলোয়ারা বেগমের। সংসারে তাদের তিন সন্তান রয়েছে। গত ২ বছর আগে পরিবারের সচ্ছলতা ফেরাতে প্রবাসে চলে যায় সাব্বির। ছেলে প্রবাসে যাওয়ার পর থেকেই শুরু হয় দেলোয়ারার ওপর শারীরিক নির্যাতন। গত তিন বছর আগে শ্বশুর আমির আলী তার পুত্রবধূকে ধর্ষণের চেষ্টা করে। বিষয়টি স্থানীয়রা পারিবারিক সালিশের মাধ্যমে পুত্রবধূর কাছে ক্ষমা চেয়ে বিষয়টি মিটমাট করে। 

এদিকে ১২ মার্চ বুধবার রাতে পুত্রবধূর শয়নক্ষে ঢুকে ধর্ষণের চেষ্টা করে শ্বশুর আমির আলী। এ সময় ডাক-চিৎকার শুরু করলে তিনি পালিয়ে যান। বিষয়টি শাশুড়ি সমেলা বেগমকে অবগত করলে তিনি উল্টো পুত্রবধূকে শারীরিক নির্যাতন করেন। মারধর করে একপর্যায়ে চোখে মুখে জখম করে। পরবর্তীতে ১৬ মার্চ রোববার রাতে ভৈরব থানায় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে মামলা দায়ের করেন দেলোয়ারা বেগম।

এ বিষয়ে দেলোয়ারা বেগম বলেন, আমার শ্বশুর আমার বিয়ের পর থেকেই কুদৃষ্টি দেয়। তিন বছর আগে আমাকে ধর্ষণের চেষ্টা করলে কোনরকম বেঁচে যাই। স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ বিষয়টি মীমাংসা করে। এরপর থেকে আমাকে প্রায় সময় শারীরিক ও মানুষিক নির্যাতন করত। ১২ মার্চ বুধবার রাতে আমি নিজ ঘরে ঘুমিয়েছিলাম। হঠাৎ আমার শ্বশুর ঘরে ঢুকে আমাকে জোরপূর্বক ধর্ষণের চেষ্টা করে। আমি শাশুড়িকে বিষয়টি জানালে তিনিও আমাকে মারধর করে রক্তাক্ত করেন। পরে আমি কোনরকম প্রাণে বেঁচে আমার বড় বোনের বাসায় গিয়ে আশ্রয় নিই। পরে ভৈরব উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসা নিই। আমি আমার শ্বশুর ও তাকে সহায়তাকারী আমার শাশুড়ির বিচার চাই। 

এ বিষয়ে ভৈরব থানা অফিসার ইনচার্জ (ওসি) খন্দকার ফুয়াদ রুহানি বলেন, অভিযোগ পাওয়ার পর তদন্ত করে জানা যায় গৃহবধূর শ্বশুর আমির আলী লম্পট প্রকৃতির লোক। পরেই তাকে ও তার স্ত্রীকে গ্রেপ্তার করে থানায় আনা হয়েছে। বিষয়টি এখনো তদন্তাধীন রয়েছে। আটকৃতদের ১৭ মার্চ সোমবার বিকালে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।

ভিওডি বাংলা/এম 

  • দেশজুড়ে এর পাঠক প্রিয়
আরও পড়ুন
নেত্রকোণায় ১১০বোতল ভারতীয় মদসহ আটক ২
নেত্রকোণায় ১১০বোতল ভারতীয় মদসহ আটক ২
নতুন বাংলাদেশ গড়তে সাংবাদিকদের ভূমিকা অপরিসীম-আমিনুর ইসলাম
নতুন বাংলাদেশ গড়তে সাংবাদিকদের ভূমিকা অপরিসীম-আমিনুর ইসলাম
বিএনপি কার্যালয়ের ভাড়া চাওয়ায় দোকান মালিককে হত্যার অভিযোগ
বিএনপি কার্যালয়ের ভাড়া চাওয়ায় দোকান মালিককে হত্যার অভিযোগ