ব্রাজিলে ইনফ্লুয়েন্সারের রহস্যজনক মৃত্যু: স্বামী গ্রেপ্তার

ব্রাজিলের সাও পাওলোতে জনপ্রিয় অনলাইন ইনফ্লুয়েন্সার মারিয়া কাতিয়ানে গোমেস দা সিলভা (২৫)-এর রহস্যজনক মৃত্যু ঘিরে দেশজুড়ে চাঞ্চল্য সৃষ্টি হয়েছে। ১০ তলা ভবনের ব্যালকনি থেকে পড়ে মারিয়ার মৃত্যুর ঘটনার ১০ দিন পর তার স্বামী, ব্যবসায়ী অ্যালেক্স লিয়েনড্রো বিস্পো দস সান্তোস (৪০)-কে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। তার বিরুদ্ধে পরিকল্পিতভাবে স্ত্রীকে হত্যার অভিযোগ আনা হয়েছে। খবর এনডিটিভির।
গত ২৯ নভেম্বর মারিয়ার অ্যাপার্টমেন্ট ভবনের নিচে তার নিথর দেহ উদ্ধার করা হয়। ঘটনাস্থলে পৌঁছে পুলিশ দেখতে পায়, স্বামী সান্তোস মরদেহ জড়িয়ে ধরে কান্নাকাটি করছেন। সে সময় তিনি দাবি করেন, দাম্পত্য কলহের জেরে আত্মহত্যা করেছেন মারিয়া। তবে শুরু থেকেই তদন্তকারীদের কাছে বিষয়টি সন্দেহজনক বলে মনে হয়।
তদন্তের একপর্যায়ে ভবনের সিসিটিভি ফুটেজে উঠে আসে গুরুত্বপূর্ণ তথ্য। ব্রাজিলের গণমাধ্যম জি১ ও ও গ্লোবোর প্রতিবেদনে বলা হয়, ঘটনার দিন পার্কিং এলাকায় সান্তোসকে মারিয়ার ওপর শারীরিক নির্যাতন করতে দেখা যায়।
আরেকটি ভিডিওতে দেখা যায়, লিফটের ভেতরে দুজনের তীব্র বাগবিতণ্ডার সময় সান্তোস মারিয়ার গলার দিকে হাত বাড়িয়ে তাকে জোরপূর্বক টেনে বের করে আনেন। কিছুক্ষণ পর সান্তোসকে একা লিফটে ফিরে আসতে দেখা যায়।
প্রতিবেশীরাও পুলিশকে জানিয়েছেন, ঘটনার আগে ওই ফ্ল্যাট থেকে উচ্চস্বরে ঝগড়ার শব্দ শোনা গিয়েছিল। এরপরই ভবনের বাইরে বিকট শব্দে কিছু পড়ে যাওয়ার আওয়াজ পাওয়া যায়। এসব ভিডিও ফুটেজ ও পারিপার্শ্বিক সাক্ষ্যের ভিত্তিতে গত ৯ ডিসেম্বর সান্তোসকে গ্রেপ্তার করা হয়।
ব্রাজিলের গ্রামাঞ্চল ক্রাতেউস থেকে কাজের সন্ধানে একসময় সাও পাওলোতে পাড়ি জমিয়েছিলেন মারিয়া। রেস্তোরাঁ ও সুপারমার্কেটে কাজ করার পাশাপাশি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে কঠোর পরিশ্রমে নিজের অবস্থান তৈরি করেন তিনি। ইনস্টাগ্রামে ভ্রমণ, রূপচর্চা ও স্বাস্থ্য সচেতনতা বিষয়ক পোস্টের মাধ্যমে বিপুল জনপ্রিয়তা অর্জন করেন মারিয়া।
হাজার হাজার অনুসারীর কাছে অনুপ্রেরণা হওয়া এই তরুণীর মর্মান্তিক মৃত্যুতে গভীর শোক ও ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন তার ভক্তরা। পুলিশ বর্তমানে সান্তোসকে রিমান্ডে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করছে। মামলাটি এখন ব্রাজিলের আলোচিত হত্যাকাণ্ডগুলোর একটি হিসেবে বিবেচিত হচ্ছে।
ভিওডি বাংলা/জা






