ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় হাফ ম্যারাথন দৌড় প্রতিযোগীতা অনুষ্ঠিত

ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় রানার্স কমিউনিটির আয়োজনে হাফ ম্যারাথন দৌড় অনুষ্ঠিত হয়েছে। শনিবার সকালে সীমনা-ব্রাহ্মণবাড়িয়া সড়কে এই ম্যারাথন দৌড় প্রতিযোগীতা অনুষ্ঠিত হয়। এতে চারটি ইভেন্টে নারী-পুরুষসহ বিভিন্ন বয়সের তিন শতাধিক দৌড়বিদ অংশ গ্রহন করেন।
শনিবার (১৩ ডিসেম্বর ) ভোরের সূর্য ওঠার আগে, কনকনে শীতকে উপেক্ষা করে প্রতিযোগীরা উপস্থিত হন হাফ ম্যারাথন দৌড় প্রতিযোগীতায়। হাফ ম্যারথনে ২১ কিলোমিটার, ১০ কিলোমিটার, ৫ কিলোমিটার এবং ২ কিলোমিটার পথ অতিক্রম করেন প্রতিযোগীরা ।
জেলার বিজয়নগর উপজেলার চর-ইসলামপুর থেকে শুরু হয়ে পুনরায় ব্রাহ্মণবাড়িয়া শহরের শিমরাইলকান্দি তিতাস নদীর উপর নির্মিত সেতুতে ফিনিশিং পয়েন্টে এসে দৌড় শেষ করেন প্রতিযোগীরা।
ম্যারাথনে ব্রাহ্মণবাড়িয়া ছাড়াও দেশের ২০ টি জেলা, এছাড়াও জাপান, ভারত, নেপাল ও ডেনমার্কের নাগরিকসহ নারী, পুরুষ, শিশুসহ বিভিন্ন বয়সী তিন শতাধিক প্রতিযোগী অংশ নেন।
আয়োজক ও অংশগ্রহণকারীরা জানান, সুস্থ দেহ ও সবল মনের জন্যে দৌড়ের কোনো বিকল্প নেই।
ম্যারাথনে অংশ নেয়া ডেনমার্ক প্রবাসী মাহফুজা বেগম বলেন, আমি তো ডেনমার্কে অনেক বছর ধরে বসবাস করি, এসব দৌড় দেখি। কিন্তু আমার এলাকায় যে, এত সুন্দর করে আয়োজন করেছে, এটা খুবই সুন্দর এবং খুবই আনন্দময়। এ রকম সুন্দর আয়োজন যে বাংলাদেশে করতে পারে আজকের আয়োজন এটাই প্রমাণ করে। যারা শ্রম দিয়েছেন তাদেরকে ধন্যবাদ জানান তিনি।
দৌড়ে অংশ নেয়া শিক্ষক মোসাম্মত ইসরাত জাহান বলেন, আমি সাধারণত দৌড়াই না। সময় পাই না, চাকুরি করি। কিন্তু এই ধরনের প্রতিযোগীতায় অংশগ্রহণ করতে আমার ভালো লাগে। আমি পরবর্তীতে প্রতিযোগীতা হলে রেগুলার থাকার চেষ্টা করবো।
ম্যারাথনে অংশ নেয়া মোঃ মনির ব্যাপারী বলেন, ক্রীড়া এমন একটা জিনিস যা মানুষকে মননশীল চর্চার জন্য অপরিহার্য। আজকে আমরা ক্রীড়া থেকে দূরে আছি বলে আমাদের এখানে মাদক, বিভিন্ন ধরনের সন্ত্রাসের ছড়া-ছড়ি আছে। আজকে ম্যারাথনে আমি এই বয়সে ও আমাদের ছেলেদের সাথে হেটে চলে দৌড়ে আমি অত্যন্ত আনন্দ পেয়েছি। ১০ কিলোমিটার দৌড় আমি সম্পন্ন করেছি। আশা করি, আগামী দিনে অনেক ভালো করবো।
পাপ্পু বনিক নামে আরেক প্রতিযোগী বলেন, রাস্তাঘাট অনেক পরিষ্কার। দৌড়াতে অনেক ভালো লেগেছে। ১০ কিলোমিটার দৌড়াতে আমার মাত্র ১ ঘন্টা সময় লেগেছে। অভিনন্দন জানাই, ব্রাহ্মণবাড়িয়া রানার্স কমিউনিটিকে। তিনি বলেন, আমরা আখাউড়া চিরসবুজ থেকে এসেছি। আমরা প্রায় ২০-২৫ জন সবাই আনন্দ করেছি।
ম্যারাথনে অংশ নেয়া ব্রাহ্মণবাড়িয়া হার্ট ফাউন্ডেশনের কার্ডিওলজি চিকিৎসক ডাঃ এম.এ মতিন বলেন, নিয়মিত দৌড়ালে হৃদরোগের ঝঁকি কমে। দেহের কোষগুলো সচল থাকে। সুস্থ থাকার জন্য দৌড়ের কোন বিকল্প নেই।
এ ব্যাপারে ব্রাহ্মণবাড়িয়া রানার্স কমিউনিটির প্রতিষ্ঠাতা এডমিন প্রফেসর দিলারা আক্তার খাঁন জানান, সুস্থ দেহ ও সবল মনের জন্য এবং যুব সমাজকে মাদক ও মোবাইল ব্যাধি থেকে দূরে রাখার জন্যেই আমাদের এই আয়োজন। সকলের সহযোগিতা পেলে আগামী দিনে আরো বড় পরিসরে এমন আয়োজন করব।
ম্যারাথনে চারটি ইভেন্টে জাপান, ভারত, নেপাল ও ডেনমার্কের নাগরিকসহ তিন শতাধিক প্রতিযোগী অংশ নেন। পরে বিজয়ীদের হাতে পুরষ্কার হিসেবে মেডেল এবং ক্রেস্ট তুলে দেন অতিথিরা।
ভিওডি বাংলা/ আহাদ/ আরিফ







