তেঁতুলিয়ায় মৃদু শৈত্যপ্রবাহ

পঞ্চগড়ে শীতের তীব্রতা ক্রমেই বাড়ছে। টানা পাঁচ দিন ধরে সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ১০ ডিগ্রি সেলসিয়াসের ঘরে থাকার পর বৃহস্পতিবার (১১ ডিসেম্বর) তেঁতুলিয়ায় তাপমাত্রা নেমে আসে ৯ দশমিক ২ ডিগ্রি সেলসিয়াসে। ভোর ৬টায় তেঁতুলিয়া আবহাওয়া পর্যবেক্ষণ কেন্দ্র এই তাপমাত্রা রেকর্ড করে। এ সময় বাতাসের আর্দ্রতা ছিল ৯৯ শতাংশ। ফলে এলাকায় মৃদু শৈত্যপ্রবাহ বইতে শুরু করেছে।
শীত বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে বাড়ছে মানুষের দুর্ভোগও। হাড়কাঁপানো ঠান্ডা উপেক্ষা করে নিম্নআয়ের মানুষদের মাঠে-ঘাটে কাজ করতে কষ্ট হচ্ছে। রাস্তাঘাট ও চায়ের দোকানের সামনে অনেকেই খড়কুটো জ্বালিয়ে শীত নিবারণের চেষ্টা করছেন।
গত পাঁচ দিনে তেঁতুলিয়ার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল বুধবার (১০ ডিসেম্বর) সকাল ৯টায় রেকর্ড করা ১০ দশমিক ৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস। এ সময় বাতাসের আর্দ্রতা ছিল ৭৭ শতাংশ এবং দিনের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল ২৮ দশমিক ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস।
মঙ্গলবার (৯ ডিসেম্বর) সকালে একই সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়, আর্দ্রতা ছিল ৯৯ শতাংশ এবং দিনের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল ২৭ দশমিক ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস। সোমবার (৮ ডিসেম্বর) সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল ১০ দশমিক ৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস এবং আর্দ্রতা ৮৪ শতাংশ। সেদিন সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড হয় ২৭ দশমিক ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস।
তেঁতুলিয়া আবহাওয়া পর্যবেক্ষণ কেন্দ্রের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা জিতেন্দ্রনাথ রায় জানান, টানা কয়েক দিন ধরে শীতের ধকল বাড়ছে এবং সামনে তাপমাত্রা আরও কমতে পারে।
পঞ্চগড়ের জেলা প্রশাসক কাজী মো. সায়েমুজ্জামান বলেন, শীতে ক্ষতিগ্রস্ত মানুষের পাশে দাঁড়ানোই প্রশাসনের প্রধান দায়িত্ব। দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা অধিদপ্তর থেকে বরাদ্দ পাওয়া ৩০ লাখ টাকায় ৮ হাজার ৬৪০টি কম্বল ক্রয় করে জেলার পাঁচটি উপজেলার ৪৩টি ইউনিয়নে বিতরণ করা হয়েছে। এছাড়া অতিরিক্ত ৬৫ হাজার কম্বলের চাহিদা মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হয়েছে।
ভিওডি বাংলা/জা






