• ঢাকা বুধবার, ১৮ ডিসেম্বর ২০২৪, ৩ পৌষ ১৪৩১

শেখ হাসিনার মামলার রায় শুনতে ট্রাইব্যুনালে আহত জুলাইযোদ্ধারা

নিজস্ব প্রতিবেদক    ১৭ নভেম্বর ২০২৫, ১১:২৭ এ.এম.
রায় ঘোষণার অপেক্ষায় ট্রাইব্যুনালে উপস্থিত আহত জুলাইযোদ্ধারা-ছবি সংগৃহীত

চব্বিশের জুলাই-আগস্টে সংঘটিত গণহত্যার দায়ে মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামালসহ তিনজনের রায় শুনতে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে উপস্থিত হয়েছেন আহত জুলাইযোদ্ধারা।

সকাল ১০টা ৫০ মিনিটের দিকে ট্রাইব্যুনালে পৌঁছান তারা। এদের মধ্যে রয়েছেন জুলাইযোদ্ধা রাকিব হাওলাদার, নিয়ামুলসহ আরও কয়েকজন।

বেলা ১১টার পর ট্রাইব্যুনাল-১ এর চেয়ারম্যান বিচারপতি মো. গোলাম মর্তূজা মজুমদারের নেতৃত্বে তিন সদস্যের বিচারিক প্যানেল রায় ঘোষণা করার কথা রয়েছে। অন্য দুই সদস্য হলেন বিচারপতি মো. শফিউল আলম মাহমুদ ও বিচারপতি মো. মোহিতুল হক এনাম চৌধুরী।

এ মামলার দুই আসামি-শেখ হাসিনা ও কামাল-বর্তমানে পলাতক। অন্যদিকে সাবেক আইজিপি চৌধুরী আবদুল্লাহ আল-মামুন গ্রেপ্তার হয়ে এক বছর ধরে কারাগারে রয়েছেন। তিনি রাজসাক্ষী হয়ে সাবেক প্রধানমন্ত্রী ও সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর বিরুদ্ধে ট্রাইব্যুনালে সাক্ষ্য দিয়েছেন। ফলে তার শাস্তি নির্ধারণের বিষয়টি ট্রাইব্যুনালের ওপর ছেড়ে দেয় প্রসিকিউশন। একই সঙ্গে শেখ হাসিনা ও কামালের সর্বোচ্চ সাজাও চাওয়া হয়।

এদিন সকাল ৯টা ১০ মিনিটের পর কড়া নিরাপত্তায় প্রিজনভ্যানে করে মামুনকে ট্রাইব্যুনালে আনা হয়।

শেখ হাসিনার রায়কে কেন্দ্র করে ট্রাইব্যুনাল ও সুপ্রিম কোর্ট এলাকায় কয়েক স্তরের নিরাপত্তা জোরদার করা হয়েছে। পুলিশ, র‌্যাব, এপিবিএন, বিজিবি এবং সেনাবাহিনী মোতায়েন রয়েছে। গোয়েন্দা সংস্থার সদস্যরাও মাঠে তৎপর। নিরাপত্তার কারণে রোববার সন্ধ্যার পর দোয়েল চত্বর হয়ে শিক্ষাভবনমুখী সড়কে যান চলাচল বন্ধ ও জনসাধারণের চলাচল সীমিত করা হয়।

মামলাটিতে ২৮ কার্যদিবসে ৫৪ জন সাক্ষীর সাক্ষ্য-জেরা সম্পন্ন হয়। আরও ৯ কার্যদিন চলে প্রসিকিউশন ও স্টেট ডিফেন্সের যুক্তিতর্ক-পাল্টা যুক্তি। গত ২৩ অক্টোবর অ্যাটর্নি জেনারেল মো. আসাদুজ্জামানের সমাপনী বক্তব্য এবং চিফ প্রসিকিউটর মোহাম্মদ তাজুল ইসলাম ও রাষ্ট্রনিযুক্ত আইনজীবী আমির হোসেনের যুক্তিখণ্ডন শেষে রায়ের তারিখ নির্ধারণ করা হয়।

যুক্তিতর্কে শেখ হাসিনা ও কামালের সর্বোচ্চ সাজা চেয়েছে প্রসিকিউশন। তবে রাজসাক্ষী হওয়ায় মামুনের বিষয়ে সিদ্ধান্ত ট্রাইব্যুনালের ওপর ছেড়ে দেওয়া হয়। তার খালাস চেয়েছেন আইনজীবী যায়েদ বিন আমজাদ। রাষ্ট্রনিযুক্ত আইনজীবী আমির হোসেনের দাবি, শেখ হাসিনা ও কামালও খালাস পাবেন।

তিন আসামির বিরুদ্ধে মানবতাবিরোধী অপরাধের পাঁচটি অভিযোগ আনে প্রসিকিউশন-উসকানি, মারণাস্ত্র ব্যবহার, আবু সাঈদ হত্যা, চানখারপুলে হত্যা ও আশুলিয়ায় লাশ পোড়ানো। মোট আট হাজার ৭৪৭ পৃষ্ঠার অভিযোগপত্রে ৮৪ জনকে সাক্ষী করা হয়। গত ১২ মে ট্রাইব্যুনালের তদন্ত সংস্থা প্রতিবেদন জমা দেয় চিফ প্রসিকিউটরের কাছে।

ভিওডি বাংলা/জা

  • দেশজুড়ে এর পাঠক প্রিয়
আরও পড়ুন
ট্রাইব্যুনালে দেশি-বিদেশি গণমাধ্যমকর্মীদের ভিড়
ট্রাইব্যুনালে দেশি-বিদেশি গণমাধ্যমকর্মীদের ভিড়
বিচার স্বচ্ছ হয়েছে, শেখ হাসিনা খালাস পেলে খুশি হতাম
বিচার স্বচ্ছ হয়েছে, শেখ হাসিনা খালাস পেলে খুশি হতাম
মাথা নিচু করে ট্রাইব্যুনালে সাবেক আইজিপি মামুন
মাথা নিচু করে ট্রাইব্যুনালে সাবেক আইজিপি মামুন