• ঢাকা বুধবার, ১৮ ডিসেম্বর ২০২৪, ৩ পৌষ ১৪৩১

ট্রাইব্যুনালে দেশি-বিদেশি গণমাধ্যমকর্মীদের ভিড়

নিজস্ব প্রতিবেদক    ১৭ নভেম্বর ২০২৫, ১১:১০ এ.এম.
শেখ হাসিনার রায়কে কেন্দ্র করে ট্রাইব্যুনাল এলাকায় ভোর থেকেই গণমাধ্যমকর্মীদের ভিড়। ছবি: সংগৃহীত

জুলাই গণহত্যার দায়ে মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাসহ তিন আসামির বিরুদ্ধে আজ রায় ঘোষণা হবে। ঐতিহাসিক এ রায় কাভার করতে ভোর থেকেই আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে ভিড় জমিয়েছেন দেশি-বিদেশি গণমাধ্যমকর্মীরা।

সোমবার (১৭ নভেম্বর) সকাল থেকেই রয়টার্স, এপি, এএফপি, আল জাজিরা, বিবিসি ওয়ার্ল্ডসহ নামকরা আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যমের প্রতিনিধিরা ট্রাইব্যুনাল প্রাঙ্গণে অবস্থান করছেন রায় ঘোষণা সরাসরি কভার করার জন্য। 

এ বিষয়ে সুপ্রিম কোর্ট রিপোর্টার্স ফোরামের সভাপতি মাসউদুর রহমান বলেন, বাংলাদেশের ইতিহাসে এই প্রথম কোনো প্রধানমন্ত্রীর বিরুদ্ধে মানবতাবিরোধী অপরাধের রায় ঘোষণা হতে যাচ্ছে। তাই বিশ্বের চোখ আজ ট্রাইব্যুনালের দিকে। আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমের প্রতিনিধিরাও সেই ঐতিহাসিক মুহূর্তের সাক্ষী হতে এসেছেন। তিনি আরও জানান, রয়টার্স এ বিচারকাজ সরাসরি প্রচার করবে বলে জানা গেছে।

রায়কে কেন্দ্র করে ট্রাইব্যুনাল ও সুপ্রিম কোর্ট এলাকায় নেওয়া হয়েছে নজিরবিহীন নিরাপত্তাব্যবস্থা। পুলিশ, র‍্যাব, এপিবিএন, বিজিবির পাশাপাশি সেনাবাহিনীও মোতায়েন রয়েছে। সক্রিয় রয়েছে গোয়েন্দা সংস্থাগুলোও। নিরাপত্তার স্বার্থে রোববার সন্ধ্যার পর থেকেই দোয়েল চত্বর হয়ে শিক্ষাভবনমুখী সড়কে যান চলাচল বন্ধ রাখা হয়েছে। সাধারণ মানুষের চলাচলও সীমিত করা হয়েছে।

গত ১৩ নভেম্বর এ মামলার রায় ঘোষণার জন্য আজকের দিন ধার্য করেন ট্রাইব্যুনাল-১ এর চেয়ারম্যান বিচারপতি মো. গোলাম মর্তূজা মজুমদার। বিচারপতি মো. শফিউল আলম মাহমুদ ও বিচারপতি মো. মোহিতুল হক এনাম চৌধুরী-বিশিষ্ট এই তিন সদস্যের বেঞ্চেই রায় ঘোষণা হবে।

মোট ২৮ কার্যদিবসে ৫৪ জন সাক্ষীর সাক্ষ্য-জেরা শেষ হয় মামলাটিতে। আর যুক্তিতর্ক ও পাল্টা যুক্তি-খণ্ডন চলে ৯ কার্যদিন ধরে। ২৩ অক্টোবর রাষ্ট্রের প্রধান আইনকর্তা অ্যাটর্নি জেনারেল মো. আসাদুজ্জামান, চিফ প্রসিকিউটর মোহাম্মদ তাজুল ইসলাম এবং রাষ্ট্রনিযুক্ত আইনজীবী আমির হোসেন যুক্তিখণ্ডন শেষ করলে রায়ের তারিখ ঘোষণা করা হয়।

প্রসিকিউশন শেখ হাসিনা ও কামালের সর্বোচ্চ সাজা চেয়েছে। তবে রাজসাক্ষী হওয়ায় চৌধুরী আবদুল্লাহ আল-মামুনের বিষয়ে সিদ্ধান্ত ট্রাইব্যুনালের ওপরই ছেড়ে দিয়েছে। তার খালাস চেয়েছেন আইনজীবী যায়েদ বিন আমজাদ। অন্যদিকে রাষ্ট্রনিযুক্ত আইনজীবী আমির হোসেন দাবি করেন-হাসিনা ও কামালও খালাস পাওয়ার যোগ্য।

এ মামলায় তিন আসামির বিরুদ্ধে উসকানি, মারণাস্ত্র ব্যবহার, আবু সাঈদ হত্যা, চানখারপুলে হত্যা ও আশুলিয়ায় লাশ পোড়ানোর মতো মানবতাবিরোধী অপরাধের পাঁচটি অভিযোগ আনা হয়। আনুষ্ঠানিক অভিযোগের পৃষ্ঠা সংখ্যা ৮ হাজার ৭৪৭। এর মধ্যে তথ্যসূত্র রয়েছে ২ হাজার ১৮ পৃষ্ঠায়, জব্দতালিকা ও দালিলিক প্রমাণাদি ৪ হাজার ৫ পৃষ্ঠায় এবং শহীদদের বিবরণ ২ হাজার ৭২৪ পৃষ্ঠায়। সাক্ষী করা হয়েছে ৮৪ জনকে। গত ১২ মে তদন্ত সংস্থা চিফ প্রসিকিউটরের কাছে মামলার প্রতিবেদন জমা দেয়।

ভিওডি বাংলা/জা

  • দেশজুড়ে এর পাঠক প্রিয়
আরও পড়ুন
শেখ হাসিনা-কামাল-মামুনের ভাগ্য নির্ধারণ সোমবার
শেখ হাসিনা-কামাল-মামুনের ভাগ্য নির্ধারণ সোমবার
জামিন পেলেন মেহজাবীন চৌধুরী
জামিন পেলেন মেহজাবীন চৌধুরী
বিচারকদের নিরাপত্তা চেয়ে হাইকোর্টে রিট
বিচারকদের নিরাপত্তা চেয়ে হাইকোর্টে রিট