অভিবাসন নীতিতে পরিবর্তন আনছে কানাডা

অভিবাসীদের চাপ কমাতে নতুন অভিবাসন নীতির দিকে যাচ্ছে কানাডা। দেশটি এখন কম বিদেশি শিক্ষার্থী এবং তুলনামূলক বেশি দক্ষ গবেষক নিতে আগ্রহী বলে জানিয়েছে মার্কিন সংবাদমাধ্যম ব্লুমবার্গ। বর্তমানে কম সংখ্যক বিদেশি শিক্ষার্থী এবং তার তুলনায় অধিক সংখ্যক দক্ষ বিদেশী গবেষক চাইছে দেশটি; এ জন্যই নীতিতে পরিবর্তন আনা হচ্ছে।
কানাডার প্রধানমন্ত্রী মার্ক ক্র্যানির নেতৃত্বাধীন সরকারের প্রথম প্রস্তাবিত বাজেটেও তার আভাস পাওয়া গেছে। প্রস্তাবিত বাজেট পর্যালোচনা করে জানা গেছে, আগামী অর্থবছরে বিশ্বের বিভিন্ন দেশ থেকে এক হাজারেরও বেশি দক্ষ গবেষক আনার লক্ষ্য নিয়েছে মার্ক ক্র্যানির নেতৃত্বাধীন সরকার। এই প্রকল্পের জন্য বরাদ্দ করা হয়েছে ১২০ কোটি ডলার।
বাজেটের এক নথিতে এই প্রকল্পের প্রসঙ্গে বলা হয়েছে, “এই গবেষকদের দক্ষতা এবং জ্ঞান বৈশ্বিক প্রতিযোগিতায় আমাদের এগিয়ে রাখবে। পাশরপাশি আমাদের অর্থনীতিকেও সমৃদ্ধ করবে।”
বিদেশি দক্ষ কর্মী-গবেষকদের আনতে যুক্তরাষ্ট্রে ‘এইচ-ওয়ান বি’ নামের একটি ভিসা প্রকল্প চালু আছে। বাজেট নথির তথ্য থেকে জানা গেছে, মার্কিন এইচ-ওয়ান বি ভিসার আদলে শিগগির এমন একটি ভিসা প্রকল্প চালু করতে যাচ্ছে কানাডার সরকার।
প্রধানমন্ত্রী মার্ক ক্র্যানির নেতৃত্বাধীন সরকারের বাজেট নথি থেকে বিদেশি শিক্ষার্থীদে আগমণ নিয়ন্ত্রণে সরকারের পরিকল্পনা সম্পর্কেও আভাস মিলেছে। বাজেট নথির তথ্য অনুযায়ী, আগামী ২০২৬, ২০২৭ এবং ২০২৮-এই তিন বছরের প্রতি বছর সর্বোচ্চ ৩ লাখ ৮০ হাজার নতুন অভিবাসীকে স্থায়ীভাবে বসবাসের অনুমতি দেবে সরকার।
এর সঙ্গে তাল মিলিয়ে এখন যারা অস্থায়ীভাবে কানাডায় বসবাস করছেন, তাদের সংখ্যাও কমানো হবে ধীরে ধীরে। বাজেট নথি থেকে জানা গেছে, আগামী ২০২৬ সালে মোট ৩ লাখ ৮৫ হাজার অস্থায়ী অভিবাসী কমানো হবে। পরের দুই বছর অর্থাৎ ২০২৭ এবং ২০২৮ সালের প্রতি বছরে এই সংখ্যা কমানো হবে ৩ লাখ ৭০ হাজার করে।
কানাডার বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর জোট ইউনিভার্সিটি কানাডা সরকারের এ উদ্যোগকে স্বাগত জানিয়ে বলেছে, “মেধা ও অর্থনীতির ভারসাম্য ধরে টেকসই অভিবাসন ব্যবস্থা গঠন করা জরুরি। আমরা আশা করি নতুন ব্যবস্থা সফল হবে।”
সূত্র : ব্লুমবার্গ
ভিওডি বাংলা/জা







