বরগুনায় সালিশি বৈঠকে মৎস্য ব্যবসায়িদের হামলা ও ভাঙচুর

 
                                            
                                    
বরগুনায় পচা মাছ বিক্রিকে কেন্দ্র করে সৃষ্ট মারামারির ঘটনায় আয়োজিত সালিশি বৈঠকে হামলা ও ভাঙচুর চালিয়েছে বরগুনা মৎস্য ব্যবসায়ী সমিতির নেতৃবৃন্দ। এ ঘটনায় বন্দর ক্লাবের সদস্যরা লাঞ্ছিত হন এবং এক দোকান মালিক গুরুতর আহত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি রয়েছেন।
ঘটনাটি ঘটে শনিবার (২৬ অক্টোবর) রাতে বরগুনা বন্দর ক্লাবে।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, ২৬ অক্টোবর সকালে শহরের এক দোকান মালিক রাফির সঙ্গে এক মৎস্য ব্যবসায়ীর পচা মাছ বিক্রি নিয়ে কথা কাটাকাটি থেকে সংঘর্ষের সূত্রপাত হয়। পরে মাছ বাজারের ব্যবসায়ীরা একত্র হয়ে রাফির দোকানে হামলা ও লুটপাটের চেষ্টা করলে স্থানীয় সাংবাদিক ও বন্দর ক্লাবের সদস্য সচিব মো. মোশাররফ হোসেন সুষ্ঠু বিচার আশ্বাস দেন।
পরদিন সন্ধ্যায় বন্দর ক্লাবে সালিশি বৈঠকের আয়োজন করা হয়। এতে মৎস্য ব্যবসায়ী সমিতির প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি জহিরুল হক পনু, স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিসহ ক্লাবের নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন। সালিশ চলাকালে রাফির বাবা রিপন মিয়া মাফ চান ও যেকোনো সিদ্ধান্ত মেনে নেওয়ার প্রতিশ্রুতি দেন।
এসময় উপস্থিত অর্ধশতাধিক মৎস্য ব্যবসায়ী উশৃঙ্খল আচরণ শুরু করে। একপর্যায়ে তারা চেয়ার-টেবিল ভাঙচুর করে, বন্দর ক্লাবের সদস্যদের লাঞ্ছিত করে এবং রাফির ওপর বেধড়ক মারধর চালায়। তাঁকে ক্লাবের দোতলা থেকে টেনে-হিঁচড়ে নামিয়ে রাস্তায় নিয়ে গিয়ে দীর্ঘ সময় মারধর করা হয়। পরে স্থানীয়রা রাফিকে উদ্ধার করে বরগুনা জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করেন।
বন্দর ক্লাবের সদস্য সচিব রেজাউল ইসলাম টিটু বলেন,১৯৩৪ সালে প্রতিষ্ঠিত বরগুনার ঐতিহ্যবাহী সংগঠন বন্দর ক্লাবে কিছু মৎস্য ব্যবসায়ী পরিকল্পিতভাবে হামলা চালিয়ে ভাঙচুর করেছে। সমাজের শৃঙ্খলা রক্ষায় তাদের বিরুদ্ধে কঠোর আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি জানাচ্ছি।
বন্দর ক্লাবের আহ্বায়ক শামসুল আলম শানু বলেন,আমরা সুষ্ঠুভাবে বিচার প্রক্রিয়া শুরু করেছিলাম। কিন্তু মাছ বাজার সমিতির ব্যবসায়ীরা এখানে অরাজকতা সৃষ্টি করে আমাদের ওপর অতর্কিত হামলা চালিয়েছে। বিষয়টি এখন থানায় অভিযোগ আকারে দেওয়া হয়েছে।
বরগুনা সদর থানার অফিসার ইনচার্জ ইয়াকুব হোসেন বলেন,ঘটনাটি দুঃখজনক। অভিযোগ পাওয়া গেছে, বিষয়টি তদন্ত করে পরবর্তী আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
ভিওডি বাংলা/ এমএইচ
 
                             
                         
                 
                






