মাদারীপুরে যেই কলেজে পাস করেনি কেউ

ঢাকা শিক্ষাবোর্ডের অধীনে এইচএসসি পরীক্ষার প্রকাশিত ফলাফলে মাদারীপুরের শিরিন জাহান মেমোরিয়াল স্কুল অ্যান্ড কলেজের কেউ পাস করেনি। প্রতিষ্ঠানটির ২৮ জন শিক্ষার্থীর মধ্যে ২৫ জন পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করেছিল।
মাদারীপুর জেলা শিক্ষা অফিস সূত্রে জানা যায়, ২০২৫ সালের এইচএসসি পরীক্ষায় মাদারীপুর জেলার ৫টি উপজেলা থেকে মোট ৮০২৫ জন পরিক্ষার্থী অংশগ্রহণ করে। এর মধ্যে ৩ হাজার ৬৭৮ জন পাস ও ৪ হাজার ৩৪৭ জন ফেল করেছেন।
এছাড়াও জিপিএ ৫ পেয়েছেন ১১৮ জন শিক্ষার্থী। যার গড়ে পাসের হার ৫০.১৯ শতাংশ। তবে শতভাগ ফেলের তালিকায় রয়েছে মাদারীপুর সদর উপজেলার ধুরাইল ইউনিয়নের শিরিন জাহান মেমোরিয়াল স্কুল এন্ড কলেজ। কলেজটি থেকে মানবিক ও ব্যবসায় শাখায় মাত্র ২৫ জন শিক্ষার্থী এইচএসসি পরিক্ষায় অংশগ্রহণ করেছিল।
শতভাগ ফেল কলেজের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক বিকাশ চন্দন ভক্ত বলেন, আমাদের কলেজের মোট ২৮ জন এইচএসসি পরিক্ষার্থী ছিল।
এরমধ্যে ২৫ জন এইচএসসি পরীক্ষা দিয়েছিল। বাকি ৩ জন পরীক্ষা দেয় নাই। তারা মানবিক ও ব্যবসায় শাখার শিক্ষার্থী। বিজ্ঞান শাখার কোনো পরিক্ষার্থী ছিল না। কিন্তু ফলাফল প্রকাশের পর দেখলাম ২৫ জনের একজনও পাস করে নাই। সবাই ইংরেজিতে ফেল করেছে।
সর্বোচ্চ ৩ বিষয় পর্যন্ত ফেল আছে বলে জানতে পেরেছি। তবে সবাই ইংরেজিতে ফেল করার বিষয়ে কলেজের ইংরেজি শিক্ষককে জিজ্ঞেস করেছি। তিনি জানিয়েছেন অন্তত ৭ থেকে ৮ জন পাস করার কথা ছিল। তবে মনে হয় শিক্ষার্থীরা বোর্ড চ্যালেঞ্জ করলে একেবারে জিরো হবে না।
তিনি আরও বলেন, আগে এমন কোনদিন হয় নাই। গত বছরও আমাদের কলেজে শিক্ষার্থী বেশি ছিল। ৩৬ জন এইচএসসি পরীক্ষা দিয়েছিল এবং তারা কয়েকজন পাসও করেছে। কয়েক বছর আগে একত্রে এই কলেজ থেকে ১০০ জনের মতো পরীক্ষা দিয়েছিল। কিন্তু দিন দিন শিক্ষার্থী কমে যাচ্ছে।
মাদারীপুর জেলা শিক্ষা অফিসার মো. ফরিদুল ইসলাম স্বাক্ষরিত ফলাফলের তালিকায় দেখা যায়, জেলার মধ্যে পাসের হারে এগিয়ে আছে আলিম প্রতিষ্ঠান। এ বছর জেলার ৪টি উপজেলায় মোট ৫৪৮ জন আলিম (মাদরাসা) শিক্ষার্থী অংশগ্রহণ করে মোট ৩৯৪ জন পাস ও ১৫৪ জন ফেল করেছেন। জিপিএ ৫ পেয়েছেন ৮ জন। যার গড়ে পাসের হার দাঁড়িয়েছে ৭৭.৮৮ শতাংশ।
এছাড়া ৪টি উপজেলায় কারিগরি শিক্ষা বোর্ডের অধীনে এইচএসসি পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করেছেন মোট ২১৮ জন শিক্ষার্থী। এদের মধ্যে পাস করেছেন ১৩০ ও ফেল করেছেন ৮৮ এবং জিপিএ ৫ পেয়েছেন ৮ জন। যার অবস্থান জেলার মধ্যে দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে। গড়ে পাস করেছে ৫৫.৮৯ শতাংশ।
ভিওডি বাংলা-মহিবুল আহসান লিমন/জা







