রাজবাড়ীতে টাইফয়েড টিকাদান ক্যাম্পেইন নিয়ে ওরিয়েন্টেশন কর্মশালা


“শিশু, কিশোর-কিশোরী ও নারী উন্নয়নে সচেতনতা মূলক প্রচার কার্যক্রম” প্রকল্পের আওতায় ইউনিসেফ বাংলাদেশের সহযোগিতায় টাইফয়েড টিকাদান ক্যাম্পেইন উপলক্ষে রাজবাড়ীতে কর্মরত সাংবাদিকদের নিয়ে এক ওরিয়েন্টেশন কর্মশালা অনুষ্ঠিত হয়েছে।
সোমবার (২৯ সেপ্টেম্বর) সকাল ১০টায় জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষে জেলা প্রশাসন ও জেলা তথ্য অফিসের আয়োজনে এ কর্মশালা অনুষ্ঠিত হয়।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন, জেলা প্রশাসক সুলতানা আক্তার। বিশেষ অতিথি ছিলেন, সিভিল সার্জন ডা. এস. এম. মাসুদ। সভাপতিত্ব করেন অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) শংকর চন্দ্র বৈদ্য। সঞ্চালনায় ছিলেন জেলা তথ্য কর্মকর্তা রেখা ইসলাম।
এছাড়া উপস্থিত ছিলেন রাজবাড়ী সদর উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. অচিন্ত কুমার কীর্ত্তনিয়া এবং জেলায় কর্মরত প্রিন্ট ও ইলেকট্রনিক মিডিয়ার সাংবাদিকরা।
অনুষ্ঠানের শুরুতে সূচনা বক্তব্যে ডা. অচিন্ত কুমার কীর্ত্তনিয়া টিকাদান কর্মসূচির লক্ষ্য, সময়সূচি ও জনসচেতনতা বৃদ্ধির জন্য প্রয়োজনীয় তথ্য তুলে ধরেন এবং সাংবাদিকদের বিভিন্ন প্রশ্নের উত্তর দেন।
বিশেষ অতিথির বক্তব্যে সিভিল সার্জন ডা. এস. এম. মাসুদ বলেন,“টাইফয়েড একটি প্রতিরোধযোগ্য ব্যাধি। টিকা গ্রহণের মাধ্যমে শিশুদের এ রোগ থেকে সুরক্ষিত রাখা সম্ভব। এজন্য জনসচেতনতা বাড়াতে গণমাধ্যমের বিশেষ ভূমিকা রয়েছে।”
তিনি আরও জানান, “এ বছর জেলায় ৯ থেকে ১৫ বছর বয়সী ৩ লক্ষ ১১ হাজার ৭২১ জন শিশুকে টাইফয়েড টিকাদান ক্যাম্পেইনের আওতায় আনা হবে।”
প্রধান অতিথির বক্তব্যে জেলা প্রশাসক সুলতানা আক্তার বলেন, “শিশু, কিশোর-কিশোরী ও নারী উন্নয়নসহ বিভিন্ন সামাজিক ও স্বাস্থ্য খাতে সচেতনতা তৈরিতে সাংবাদিকদের ভূমিকা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। গণমাধ্যম জনগণের কাছে তথ্য পৌঁছে দিয়ে সমাজকে উন্নয়নের পথে এগিয়ে নেয়।”
অনুষ্ঠানটি বাস্তবায়নে সহযোগিতা করেছে সম্প্রসারিত টিকাদান কর্মসূচি (EPI), স্বাস্থ্য অধিদপ্তর, স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়, Gavi, PATH, UNICEF এবং বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (WHO) বাংলাদেশ।
ভিওডি বাংলা/ এমএইচ