নবজাতককে চুমু খাওয়া মারাত্মক স্বাস্থ্যঝুঁকির কারণ


নবজাতককে চুমু খাওয়া ভালোবাসার প্রকাশ মনে হলেও এটি গুরুতর স্বাস্থ্যঝুঁকি তৈরি করতে পারে। প্রাপ্তবয়স্কদের জন্য সাধারণ জীবাণু ক্ষতিকারক না হলেও নবজাতকের ক্ষেত্রে তা দ্রুত প্রাণঘাতী হয়ে উঠতে পারে। বিশেষ করে জন্মের প্রথম কয়েক সপ্তাহে শিশুর রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা একেবারেই দুর্বল থাকে। ফলে মুখে বা ঠোঁটে একটি সাধারণ চুমু থেকেও মারাত্মক জটিলতা দেখা দিতে পারে।
নবজাতকের প্রতিরোধ ক্ষমতা কেন দুর্বল
শিশুর জন্মের পর প্রতিরোধ ক্ষমতা পুরোপুরি বিকশিত হয় না। পরিপক্ক সংক্রমণ-প্রতিরোধী কোষ না থাকায় তারা সহজেই ভাইরাস ও ব্যাকটেরিয়ার আক্রমণে আক্রান্ত হতে পারে। এ কারণে নিউমোনিয়া, সেপসিস কিংবা মেনিনজাইটিসের মতো সংক্রমণ দ্রুত মারাত্মক আকার ধারণ করে।
ভাইরাস ও ব্যাকটেরিয়ার ঝুঁকি
হারপিস সিমপ্লেক্স ভাইরাস: প্রাপ্তবয়স্কদের জন্য সাধারণ হলেও নবজাতকের ক্ষেত্রে এটি মারাত্মক। সংক্রমণ হলে শিশুর চোখ, মুখ বা ত্বক আক্রান্ত হতে পারে এবং রক্তপ্রবাহে ছড়িয়ে পড়লে তা জীবনহানির ঝুঁকি তৈরি করে।
গ্রুপ বি স্ট্রেপ্টোকক্কাস (GBS) ও ই. কোলাই: প্রাপ্তবয়স্কদের জন্য তুলনামূলকভাবে কম ক্ষতিকর হলেও নবজাতকের দুর্বল প্রতিরোধ ক্ষমতার কারণে এসব ব্যাকটেরিয়া সেপসিস বা মেনিনজাইটিস ঘটাতে পারে।
নিরাপদে স্নেহ প্রকাশের উপায়
শিশুকে স্পর্শ করার আগে হাত ভালোভাবে ধোয়া সবচেয়ে কার্যকর প্রতিরোধমূলক পদক্ষেপ। শিশুর মুখ বা হাত চুম্বন করা থেকে বিরত থাকুন, কারণ এগুলো সংক্রমণের জন্য সবচেয়ে ঝুঁকিপূর্ণ জায়গা। চাইলে মাথার পেছনে বা পায়ে হালকা চুমু দেওয়া তুলনামূলকভাবে নিরাপদ। এছাড়া যাদের সর্দি-কাশি বা ফ্লু রয়েছে, তাদের একেবারেই শিশুর কাছাকাছি যাওয়া উচিত নয়।
চিকিৎসকরা মনে করিয়ে দেন, সামান্য সতর্কতা নবজাতকের জীবনকে বড় ঝুঁকি থেকে রক্ষা করতে পারে।
ভিওডি বাংলা/জা