ষড়যন্ত্রকারীদের সতর্কবার্তা দিলেন আমিনুল হক


বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল (বিএনপি)-এর কেন্দ্রীয় ক্রীড়া বিষয়ক সম্পাদক ও ঢাকা মহানগর উত্তর বিএনপির আহ্বায়ক জননেতা আমিনুল হক বলেছেন, আগামী ফেব্রুয়ারির জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে বানচাল করার জন্য নানাভাবে ষড়যন্ত্র চলছে। কেউ নির্বাচনকে প্রশ্নবিদ্ধ করতে চাইছে, কেউ আবার বিদেশি প্রভুদের সহযোগিতা নিয়ে নির্বাচন পিছিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করছে। তবে বাংলাদেশের জনগণ ঐক্যবদ্ধ—তারা অবাধ ও নিরপেক্ষ নির্বাচন ছাড়া কিছুই মেনে নেবে না।
সোমবার (২৫ আগস্ট) বিকালে রাজধানীর পল্লবী ২ নম্বর কমিউনিটি সেন্টারে বিএনপির ৪৭তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে আয়োজিত যৌথ সভায় সভাপতির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
নিরপেক্ষ নির্বাচনের দাবিতে জনগণের ঐক্য নিয়ে আমিনুল হক বলেন, “বাংলাদেশের মানুষ দীর্ঘদিন ধরে একটি অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচনের অপেক্ষায় আছে। সেই নির্বাচনের মধ্য দিয়েই আমরা জনগণের সরকার প্রতিষ্ঠা করতে চাই। এ নির্বাচনকে বানচাল করার মতো শক্তি কারো নেই।”
তিনি আরও বলেন, জনগণই সিদ্ধান্ত নেবে কে ক্ষমতায় আসবে। আর গণতন্ত্রের মূল সৌন্দর্য হলো মতের ভিন্নতা। তাই সমালোচনা ও ভিন্নমতকে ধারণ করার মানসিকতা থাকতে হবে।
নতুন দল ও পিআর পদ্ধতির সমালোচনা করে বিএনপির এই নেতা বলেন, কিছু ইসলামিক রাজনৈতিক দল পিআর (Proportional Representation) পদ্ধতির দাবি তুলেছে। এর উদ্দেশ্য হলো অল্প ভোট পেয়েও সংসদে আসন নিশ্চিত করা। কিন্তু বাংলাদেশের মানুষ এখনো এই প্রক্রিয়া সম্পর্কে ওয়াকিবহাল নয়। আমিনুল হক হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করে বলেন, “আমরা কোনোভাবেই এই পদ্ধতি মেনে নেব না। দেশের মানুষকেও এ বিষয়ে সতর্ক থাকতে হবে।”
তিনি অভিযোগ করে বলেন, নতুন কিছু রাজনৈতিক দলের নেতৃত্ব ও উপদেষ্টাদের বিরুদ্ধে চাঁদাবাজির মতো গুরুতর অভিযোগ থাকা সত্ত্বেও অন্তবর্তী সরকারের পক্ষ থেকে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি। এসময় তিনি বিতর্কিত উপদেষ্টাদের অপসারণ করে যোগ্য ব্যক্তিদের দায়িত্ব দেওয়ার আহ্বান জানান।
ষড়যন্ত্র-প্রভাব বিস্তারের বিরুদ্ধে সতর্কবার্তা দিয়ে আমিনুল হক অভিযোগ করে বলেন, নতুন দলগুলো ক্ষমতার মোহে বিদেশি সহযোগিতা নিয়ে দেশের ভেতরে ষড়যন্ত্র ও অস্থিরতা সৃষ্টির চেষ্টা করছে। তিনি দৃঢ় কণ্ঠে ঘোষণা দেন, “বাংলাদেশের জনগণ কখনোই এ ষড়যন্ত্র মেনে নেবে না।”
এসময় তিনি বিএনপির নেতাকর্মীদের সতর্ক করে বলেন, সাধারণ মানুষের ওপর কোনো ধরনের প্রভাব বিস্তার কিংবা অন্যায়-অবিচার করা যাবে না। যদি কারও বিরুদ্ধে এমন অভিযোগ ওঠে, তবে তার বিরুদ্ধে সাংগঠনিক ও প্রয়োজনে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
তিনি স্পষ্টভাবে বলেন, বিএনপি জনগণের দল। তাই সাধারণ মানুষের সমস্যা সমাধানকেই সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার দিতে হবে। “যারা জনগণের সমস্যা নিজেদের সমস্যা মনে করে কাজ করবে, তারাই আমাদের জন্য প্রয়োজন। আর যারা করবে না- তাদের আমাদের দলে কোনো প্রয়োজন নেই।”
ঢাকা মহানগর উত্তর বিএনপির সদস্য সচিব হাজী মোঃ মোস্তফা জামান এর সঞ্চালনায় সভায় ঢাকা মহানগর উত্তর বিএনপির সিনিয়র সদস্য আনোয়ারুজ্জামান আনোয়ার, যুগ্ম আহবায়ক মোস্তাফিজুর রহমান সেগুন, এস এম জাহাঙ্গীর হোসেন, এবিএমএ রাজ্জাক, আকতার হোসেন, এম কফিল উদ্দিন আহমেদ, হাজী মোঃ ইউসুফ, তহিরুল ইসলাম তুহিন, শাহআলম, মাহাবুব আলম মন্টু, দারুস সালাম থানা বিএনপি আহ্বায়ক একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ঢাকা ১৪ আসনের বিএনপি মনোনীত প্রার্থী এস এ সিদ্দিক সাজু, মহানগর সদস্য আলী আকবর আলী, রেজাউর রহমান ফাহিম, জিয়াউর রহমান জিয়া, আবুল হোসেন আব্দুল, হাফিজুল হাসান শুভ্র, শামীম পারভেজ, নুরুল হুদা ভূঁইয়া নূরু, এমএস আহমাদ আলী,ইব্রাহিম খলিল, মহিলাদল ঢাকা মহানগর উত্তর এর সদস্য সচিব এডভোকেট রুনা লায়লা রুনা, তাতীদল সভাপতি শামসুন্নাহার বেগম প্রমুখ।
ভিওডি বাংলা/ এমএইচ