ত্বক ফর্সাকারী ক্রিম ব্যবহারে মারাত্মক বিপদ!

 
                                            
                                    
বর্তমানে রঙ ফর্সাকারী ক্রিমের বাজারে চলছে ব্যাপক প্রচার-প্রচারণা। টিভি, অনলাইন কিংবা সোশ্যাল মিডিয়ায় নানা রকম চটকদার বিজ্ঞাপন ও ‘আগে-পরে’র তুলনামূলক ছবি ব্যবহার করে ক্রেতাদের আকৃষ্ট করা হচ্ছে। বিশেষ করে তরুণ প্রজন্মকে লক্ষ্য করে তৈরি করা হচ্ছে এইসব প্রচারণা। সামাজিকভাবে গায়ের রঙের ভিত্তিতে হেয় প্রতিপন্ন হওয়ার ভয়ে অনেকেই এই ধরনের ক্রিমের প্রতি আগ্রহী হয়ে পড়ছেন।
কিন্তু এইসব ক্রিমে কী থাকে? কতটা নিরাপদ সেগুলোর উপাদান? দীর্ঘমেয়াদে ব্যবহারে কী ক্ষতি হতে পারে-এই সব প্রশ্নের উত্তর আমরা অনেকেই জানি না।
স্কিনেজ ডার্মাকেয়ারের চীফ কনসালট্যান্ট ডা. তাসনিম তামান্না হক আরটিভি অনলাইনকে জানান, বাজারে থাকা অধিকাংশ ফর্সা হওয়ার ক্রিমে ব্যবহৃত হয় উচ্চমাত্রার স্টেরয়েড, যা ত্বকের জন্য অত্যন্ত ক্ষতিকর। নিচে তিনি এইসব ক্ষতির বিস্তারিত তুলে ধরেন:
উচ্চমাত্রার স্টেরয়েড (যেমন Betnovate) ব্যবহারের কারণে ত্বক সাময়িকভাবে সাদা হলেও, এটি ত্বককে ধীরে ধীরে পাতলা করে ফেলে।
১. ত্বকের স্বাভাবিক প্রতিরোধ ক্ষমতা কমে যায়, ত্বকের ভাঁজে কালচে দাগ পড়ে, ব্রণ ও বিভিন্ন স্কিন ইনফেকশনের ঝুঁকি বেড়ে যায়।
২. সিস্টেমিক সাইড এফেক্ট- দীর্ঘমেয়াদি স্টেরয়েড ব্যবহারে Adrenal Insufficiency নামে জটিল শারীরিক সমস্যা দেখা দেয়। শরীরের কর্টিসোল হরমোনের উৎপাদন কমে যায়, যা রক্তচাপ ও ব্লাড সুগার নিয়ন্ত্রণে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে।
এর ফলে দেখা দিতে পারে- নিম্ন রক্তচাপ, মাথা ঘোরা, হঠাৎ ওজন কমে যাওয়া, ত্বক আরও কালো হয়ে যাওয়া, যৌন ইচ্ছা কমে যাওয়া, ওভুলেশন সমস্যা এবং প্রেগনেন্সির জটিলতা
বিশেষ পরামর্শ- কোন প্রসাধনী ব্যবহার করার আগে অবশ্যই লেবেল পরীক্ষা করুন।
যেখানে উপাদান উল্লেখ নেই কিংবা "২ সপ্তাহে গায়ের রঙ ফর্সা" হওয়ার গ্যারান্টি দেওয়া হচ্ছেএমন প্রোডাক্ট থেকে দূরে থাকুন।
ত্বকের যেকোনো সমস্যায় চিকিৎসকের পরামর্শ ছাড়া কোনো ধরনের স্টেরয়েডযুক্ত ক্রিম ব্যবহার করা একেবারেই অনুচিত।
ভিওডি বাংলা/জা
 
                             
                         
                 
                






