সেপ্টেম্বরে ফিলিস্তিনকে স্বাধীন রাষ্ট্রের স্বীকৃতি দেবে যুক্তরাজ্য


গাজায় চলমান যুদ্ধ এবং মানবিক সংকট নিরসনের লক্ষ্যে ফিলিস্তিনকে স্বাধীন রাষ্ট্র হিসেবে স্বীকৃতি দেওয়ার ঘোষণা দিয়েছে যুক্তরাজ্য। এ ঘোষণার প্রেক্ষিতে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ও ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহু কড়া আপত্তি জানিয়েছেন, তবে ফ্রান্স ও মাল্টা যুক্তরাজ্যের পদক্ষেপকে স্বাগত জানিয়েছে।
মঙ্গলবার (২৯ জুলাই) ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী কিয়ার স্টারমার ঘোষণা দেন, মধ্যপ্রাচ্যে স্থায়ী শান্তি প্রতিষ্ঠার একমাত্র পথ দ্বিরাষ্ট্র সমাধান। তিনি বলেন –ইসরায়েলকে অবিলম্বে যুদ্ধবিরতি কার্যকর করতে হবে এবং পশ্চিম তীরে বসতি সম্প্রসারণ বন্ধ করতে হবে। অন্যথায়, সেপ্টেম্বরে জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদের অধিবেশনে যুক্তরাজ্য ফিলিস্তিনকে স্বাধীন রাষ্ট্র হিসেবে স্বীকৃতি দেবে।
তিনি আরও বলেন, যুক্তরাষ্ট্র, মিশর ও কাতারের প্রস্তাবিত যুদ্ধবিরতির খসড়া টেকসই শান্তির প্রথম ধাপ মাত্র, এর বাইরে আরও উদ্যোগ নিতে হবে।
ডোনাল্ড ট্রাম্প ব্রিটেনের এই ঘোষণাকে “হামাসকে পুরস্কার” দেওয়ার শামিল বলে মন্তব্য করেন। তার ভাষায় – এটি আমার পছন্দ নয়। হামাসকে কোনোভাবেই পুরস্কৃত করা উচিত নয়।
নেতানিয়াহু বলেন, যুক্তরাজ্যের এই সিদ্ধান্ত ভবিষ্যতে তাদের নিজেদের নিরাপত্তার জন্য হুমকি হয়ে উঠতে পারে।
ফ্রান্সের পররাষ্ট্রমন্ত্রী জ্যঁ নোয়েল ব্যারো যুক্তরাজ্যের ঘোষণাকে স্বাগত জানিয়ে বলেন –আমরা যুক্তরাজ্যের সঙ্গে সংঘাতের অবসান চাই। গাজার ভয়াবহতা বন্ধ করতেই হবে।
অন্যদিকে, জার্মান চ্যান্সেলর ফ্রেডরিখ মার্জ খানিক সতর্ক অবস্থান নিয়ে বলেন, যদিও দ্বিরাষ্ট্র সমাধানই আদর্শ, তবে এ মুহূর্তে জার্মানি এমন সিদ্ধান্ত নিচ্ছে না।
মাল্টা, অবশ্য আর দেরি না করে ফিলিস্তিনকে স্বীকৃতি দেওয়ার আনুষ্ঠানিক ঘোষণা দিয়েছে। ঘোষণার পর হাজার হাজার মানুষ ফিলিস্তিনের পতাকা নিয়ে রাস্তায় নেমে আসে, যুদ্ধবিরতি এবং নেতানিয়াহুর বিরুদ্ধে আন্তর্জাতিক বিচারের দাবি তোলে।
ভিওডি বাংলা/ডিআর
ক্ষতিপূরণ না দিলে পরমাণু আলোচনা নয়: ইরানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী
যুক্তরাষ্ট্র ও ইসরায়েলের সাম্প্রতিক আগ্রাসনের ক্ষতিপূরণ না দিলে তেহরান পরমাণু …

ক্যালিফোর্নিয়ায় মার্কিন নৌবাহিনীর যুদ্ধবিমান বিধ্বস্ত
যুক্তরাষ্ট্রের ক্যালিফোর্নিয়া অঙ্গরাজ্যে মার্কিন নৌবাহিনীর একটি এফ-৩৫সি যুদ্ধবিমান বিধ্বস্ত হয়েছে। …
