ঝালমুড়ি বিক্রেতার এক মাসে বিদ্যুৎ বিল ১১ লাখ টাকা!


গাজীপুরের শ্রীপুরে ঝালমুড়ি বিক্রেতা মো. আব্দুল মান্নানের বাড়িতে মাত্র দুটি বাল্ব, দুটি ফ্যান আর একটি ফ্রিজ ব্যবহারের পরও জুলাই মাসের বিদ্যুৎ বিল এসেছে প্রায় ১১ লাখ টাকা। এই ‘ভুতুড়ে বিল’ দেখে দিশেহারা ভুক্তভোগী পরিবার।
মাত্র ১৪০, ১১৫, ১২৬ টাকার মতো বিদ্যুৎ বিল দিয়ে অভ্যস্ত ছিলেন গাজীপুরের শ্রীপুর উপজেলার গাড়ারণ গ্রামের ঝালমুড়ি বিক্রেতা মো. আব্দুল মান্নান। কিন্তু জুলাই মাসে হঠাৎ করেই তার বাড়ির বিদ্যুৎ বিল এসেছে ১০ লাখ ৯২ হাজার ৮৬৪ টাকা।
আব্দুল মান্নান বলেন, –আমার স্ত্রী মর্জিনা বেগম প্রবাসে থাকেন, তার নামে একটি পল্লী বিদ্যুতের মিটার রয়েছে। রোববার দুপুরে পল্লী বিদ্যুতের কর্মীরা বাড়িতে বিলের কাগজ দিয়ে যায়। বিল দেখে তো চোখ কপালে উঠল। এত টাকা বিদ্যুতের বিল! এটা কোনোভাবেই সম্ভব না।–
তিনি আরও বলেন, –আমরা গরিব মানুষ। এখন হয়রানির জন্য অফিসে অফিসে ঘুরতে হবে। মাথা ঘুরে যাচ্ছে চিন্তায়। সারাজীবনে এত টাকার বিদ্যুৎ ব্যবহার করিনি। এমন ভুল বা হয়রানি যেন আর কেউ না ভোগে, সেই দাবি জানাই।
এ বিষয়ে ময়মনসিংহ পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি-২ এর শ্রীপুর জোনাল অফিসের ডেপুটি জেনারেল ম্যানেজার আনোয়ারুল আলম বলেন, –একজন ঝালমুড়ি বিক্রেতার বাড়িতে এত বিল আসা পরিষ্কারভাবে ভুল। বিষয়টি আমাদের নজরে এসেছে। এটি সংশোধন করে দেওয়া হবে। পাশাপাশি যিনি বিল প্রস্তুত করেছেন, তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।–
এদিকে, দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে বিদ্যুৎ উৎপাদন কেন্দ্রের পাশেই লোডশেডিংয়ে ভোগান্তি বাড়ছে, সেখানে আবার এ ধরনের ভুতুড়ে বিল গ্রাহকদের মধ্যে আতঙ্ক ছড়াচ্ছে। ভুক্তভোগীরা দ্রুত সময়ের মধ্যে নির্ভরযোগ্য ও জবাবদিহিমূলক বিদ্যুৎ সেবা নিশ্চিতের দাবি জানাচ্ছেন।
ভিওডি বাংলা/ডিআর