• ঢাকা বুধবার, ১৮ ডিসেম্বর ২০২৪, ৩ পৌষ ১৪৩১
টপ নিউজ
ঢাকেশ্বরী জাতীয় মন্দিরের পূজা প্রস্তুতি পরিদর্শন করেছেন প্রধান উপদেষ্টা প্রতিভাবান খেলোয়াড়দের দায়িত্ব রাষ্ট্র নেবে: আমিনুল হক ডাকসুর নেত্রীদের ‘গৃহদাসী’ মন্তব্য করে চাকরি হারালেন ব্র্যাক গবেষক ক্যান্সার আক্রান্ত হেফাজত নেতা মাওলানা ফারুকী’র পাশে তারেক রহমান ১৩ দিনে ১৬ হাজার কোটি টাকা রেমিট্যান্স এরদোগানের পদত্যাগের দাবিতে উত্তাল আঙ্কারা মোহাম্মদপুর মহিলা কলেজের নবীনবরন অনুষ্ঠানে চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা বীর মুক্তিযোদ্ধা আবদুস সালাম আন্তর্জাতিক গণতন্ত্র দিবস উপলক্ষে তারেক রহমানের বাণী মানুষের পশুত্ব বর্জনই হোক সবার অঙ্গীকার : তারেক রহমান টানা ৪ দিনের ছুটি মিলছে সরকারি কর্মচারীদের

ঢাবিতে মানবাধিকার রক্ষায় জাতীয় কর্মশালা অনুষ্ঠিত

নিজস্ব প্রতিবেদক    ২৯ জুলাই ২০২৫, ০১:২১ পি.এম.
ঢাবিতে মানবাধিকার রক্ষায় জাতীয় কর্মশালা অনুষ্ঠিত। ছবি : সংগৃহীত

বাংলাদেশের বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে চলমান সহিংসতা ও মানবাধিকার লঙ্ঘনের প্রেক্ষাপটে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে অনুষ্ঠিত হয়েছে দিনব্যাপী একটি জাতীয় কর্মশালা। মানবাধিকার সংস্থা ‘সোচ্চার - টর্চার ওয়াচডগ বাংলাদেশ’-এর উদ্যোগে আয়োজিত এ কর্মশালায় অংশ নেন দেশের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী, মানবাধিকারকর্মী, আইনজীবী ও গবেষকরা।

সোমবার (২৮ জুলাই) ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কলা অনুষদের শহীদ মোফাজ্জল হায়দার চৌধুরী মিলনায়তনে এই কর্মশালা অনুষ্ঠিত হয়। কর্মশালায় সারাদেশের বিভিন্ন পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয় থেকে আসা প্রায় ৪৫ জন শিক্ষার্থী অংশ নেন।

আলোচনায় উঠে আসে— মানবাধিকার রক্ষায় ক্যাম্পাসভিত্তিক সচেতনতা, সহিংসতা প্রতিরোধ, আইনি সহায়তা, ট্রমা ম্যানেজমেন্ট ও গবেষণার গুরুত্ব।

জাতিসংঘের বাংলাদেশ অফিসে নিযুক্ত মানবাধিকার উপদেষ্টা হিউমা খান বলেন, –তরুণ শিক্ষার্থীরা কেবল ভবিষ্যতের নেতা নয়, তারা বর্তমানেই পরিবর্তনের অগ্রদূত। মানবাধিকার রক্ষা শুরু হয় বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্লাসরুম ও করিডর থেকে। জাতিসংঘ সবসময় মানবাধিকার কর্মীদের পাশে রয়েছে।

কানাডার রেজিনা বিশ্ববিদ্যালয়ের সহযোগী অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ আসাদুল্লাহ বলেন, –বিশ্ববিদ্যালয় কেবল জ্ঞানচর্চার স্থান নয়, এটি মানবিক মূল্যবোধ চর্চারও কেন্দ্র। শিক্ষার্থীদের সচেতনতা সমাজ পরিবর্তনের ভিত্তি গড়ে দেয়।

সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী শায়েখ মাহদী বলেন, –নির্যাতন বন্ধে দুটি পথ আছে। হয় সমাজের সবাই ফেরেশতার মতো মানুষ হয়ে উঠবে, না হয় নির্যাতকদের জবাবদিহির আওতায় আনতে হবে। সমাজে একটি নির্যাতক হয়ে উঠার পেছনে একধরনের ‘ইকোসিস্টেম’ কাজ করে, যেখানে শিক্ষক থেকে শুরু করে হলের কর্মচারীরাও পরোক্ষভাবে তাতে ভূমিকা রাখেন।

সিভিক ইয়ুথ বাংলাদেশের জাতীয় সমন্বয়কারী রাকিবুল ইসলাম খান বলেন, –যেখানে শিক্ষার্থীরা কথা বলতে পারে না, সেখানে গণতন্ত্র দুর্বল হয়ে পড়ে। এই কর্মশালা সাহসী কণ্ঠ গড়ে তুলেছে, যা ভবিষ্যতে বৃহত্তর সামাজিক পরিবর্তনের ভিত্তি হবে।

‘সোচ্চার - টর্চার ওয়াচডগ বাংলাদেশ’-এর সহকারী পরিচালক সুমাইয়া তাসনিম বলেন, –অধিকাংশ সহিংসতার পেছনে থেকে যায় না বলা মানসিক ক্ষত। তাই ট্রমা ম্যানেজমেন্টকে মানবাধিকার রক্ষার একটি অপরিহার্য উপাদান হিসেবে গুরুত্ব দিতে হবে।

আয়োজক সংস্থার পক্ষ থেকে জানানো হয়, এ ধরনের কর্মশালা দেশের অন্যান্য শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানেও আয়োজন করা হবে, যাতে মানবাধিকার রক্ষায় তরুণদের আরও বেশি সম্পৃক্ত করা যায়।

ভিওডি বাংলা/ডিআর

  • দেশজুড়ে এর পাঠক প্রিয়
আরও পড়ুন
চাকসু নির্বাচনে মনোনয়নপত্র সংগ্রহ করল ছাত্রদল
চাকসু নির্বাচনে মনোনয়নপত্র সংগ্রহ করল ছাত্রদল
দুই মাসের ব্যবধানে বেরোবি’র ৩ শিক্ষার্থীর আত্মহত্যা
দুই মাসের ব্যবধানে বেরোবি’র ৩ শিক্ষার্থীর আত্মহত্যা
আমরা কারসাজির ‘ক’ও বুঝি না: রাবি উপাচার্য
আমরা কারসাজির ‘ক’ও বুঝি না: রাবি উপাচার্য