• ঢাকা বুধবার, ১৮ ডিসেম্বর ২০২৪, ৩ পৌষ ১৪৩১

মাদারীপুরে পুলিশ ক্লিয়ারেন্স পেতে ২৫ হাজার টাকা ঘুস দাবি, ৫ হাজারে সেবা

মাদারীপুর প্রতিনিধি    ২৪ জুলাই ২০২৫, ০১:৩৫ পি.এম.
কালকিনি থানা। ছবি: সংগৃহিত

উচ্চ শিক্ষার সুযোগ পেতে বা অনেক কোম্পানীতে চাকুরি কিংবা ভিসা ও ইমিগ্রেশনের জন্য প্রয়োজন হয় পুলিশ ক্লিয়ারেন্স সার্টিফিকেট। মূলত একটি সরকারি নথি যা প্রমাণ করে, কোনো ব্যক্তি কোনো অপরাধমূলক কাজের সাথে জড়িত নয় এবং তার বিরুদ্ধে কোনো মামলা নেই। কিন্তু পুলিশ ক্লিয়ারেন্স সার্টিফিকেট পেতে পদে পদে হয়রানীর অভিযোগ উঠেছে। এমনকি মোটা অংকের ঘুস দাবি করা হয়। পরে টাকা দিলে পাওয়া যায় এই সার্টিফিকেট।
 
এমন ঘটনার শিকার মাদারীপুরের বালিগ্রাম ইউনিয়নের বাসিন্দা শফিক মুন্সি (ছদ্মনাম) কথা হয় তার সাথে। তিনি জানান, পাসপোর্টে তার থানার ঠিকানা কালকিনি আর ভোটার আইডি কার্ডে থানা দেয়া ডাসার। অনলাইনে পুলিশ ক্লিয়ারেন্সের জন্য আবেদন করেন তিনি। কয়েক দফা পুলিশ সুপারের কার্যালয়ে ও ডাসার থানায় গিয়েও পাননি সেবা। শেষমেষ চলে আসেন কালকিনি থানায়। সেখানে যোগাযোগ করেন কালকিনি থানার কম্পিউটার অপারেটর মো. সোহেল খানের সাথে। গ্যারান্টি দেন পুলিশ ক্লিয়ারেন্স সার্টিফিকেট দেয়ার। এজন্য পুলিশের এই সদস্যকে দিতে হবে ২৫ হাজার টাকা। টাকা না দিলে কোন অবস্থাতেই মিলবে না এই সার্টিফিকেট।
 
এমন কি অন্যকেউ শফিক মুন্সিকে সহযোগিতাও করবেন না বলে সাফ জানিয়ে দেন পুলিশ সদস্য। শেষমেষ ৫ হাজার টাকা নগদ সোহেলের হাতে তুলে দিলে পহেলা জুলাই অনলাইনে আবেদন করিয়ে ১৫ দিনের মধ্যে পুলিশ ক্লিয়ারেন্স সার্টিফিকেট দেয়ার প্রতিশ্রুত দেন থানার এই কম্পিউটার অপারেটর। গত ২০ জুলাই জেলার পুলিশ সুপারের কার্যালয় থেকে পুলিশ ক্লিয়ারেন্স সার্টিফিকেট গ্রহণ করেন এই ভুক্তভোগী।
 
অভিযুক্ত পুলিশ সদস্য মো. সোহেল খান বলেন, ‘আমি কার কাছ থেকে কোন টাকা নেয়নি। আপনার কোন কথা থাকলে থানার ওসি স্যারের সাথে থানায় এসে কথা বলেন।’
 
কালকিনির থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা সোহেল রানা বলেন, ‘যে ব্যক্তির কাছ থেকে টাকা নিয়েছে তাকে থানায় আসতে বলেন। আমি তার সাথে কথা বলি, বিষয়টি কি হয়েছে জানার চেষ্টা করি। পুলিশ ক্লিয়ারেন্স পেতে কোন টাকা লাগার কথা নয়।’
 
মাদারীপুরের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. জাহাঙ্গীর আলম জানান, ‘অভিযোগের বিষয়টি পুলিশ গুরুত্ব সহকারে দেখা হচ্ছে। ওই পুলিশ সদস্য কোন অপরাধের সাথে জড়িত থাকলে ব্যবস্থা নেয়া হবে।’
 
প্রসঙ্গত, কালকিনি উপজেলার ৫টি ইউনিয়ন নিয়ে গঠিত হয় ডাসার থানা। পরে ঘোষণা হয় ডাসার উপজেলারও। জক্কিঝামেলা এড়াতে ডাসার থানার অনেক পাসপোর্টধারী পুরনো ঠিকানা অর্থাৎ কালকিন থানা ব্যবহার করছেন। এতেই পড়তে হচ্ছে নানাবিধ সমস্যায়। এক বছর ধরে কালকিনি থানার কম্পিউটার অপারেটর হিসেবে আছেন পুলিশ সদস্য মো. সোহেল খান।
 
ভিওডি বাংলা/এস এম রাসেল/এম 
 

  • দেশজুড়ে এর পাঠক প্রিয়
আরও পড়ুন
শেরপুরে পিটিআইর উদ্যোগে আলোচনা সভাও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান
শেরপুরে পিটিআইর উদ্যোগে আলোচনা সভাও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান
গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠার সাথে সাথে বিচার ব্যবস্থা স্ট্যাবলিষ্ট করতে হবে : সরোয়ার
গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠার সাথে সাথে বিচার ব্যবস্থা স্ট্যাবলিষ্ট করতে হবে : সরোয়ার
ঘোড়ার গাড়িতে চড়ে শিক্ষকের রাজকীয় বিদায়
ঘোড়ার গাড়িতে চড়ে শিক্ষকের রাজকীয় বিদায়