গোপালগঞ্জে সংঘর্ষ: সরাসরি নির্দেশদাতা হাসিনা-সাদ্দাম


নিজস্ব প্রতিবেদক
জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) ঘোষিত ‘১৬ জুলাই: মার্চ টু গোপালগঞ্জ’ কর্মসূচি দমন করতে পরিকল্পিতভাবে হামলা চালানো হয়। অভিযোগ রয়েছে, ভারতের কলকাতা থেকে মোবাইল ফোনে সরাসরি এই হামলার নির্দেশ দেন ক্ষমতাচ্যুত সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তিনি শুধু ছাত্রলীগ নয়, আওয়ামী লীগ, যুবলীগ, স্বেচ্ছাসেবক লীগ, শ্রমিক লীগ, কৃষক লীগ, মহিলা আওয়ামী লীগসহ দলের বিভিন্ন অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীদের সঙ্গে একাধিকবার ফোনে কথা বলেন।
উপস্থিত নেতাকর্মীদের স্পষ্ট নির্দেশনা দেওয়া হয়– এনসিপি যেন গোপালগঞ্জে কোনোভাবেই কর্মসূচি পালন করতে না পারে এবং শীর্ষ নেতারা যেন জীবিত ফিরে যেতে না পারেন। শেখ হাসিনার এ নির্দেশের পর চারদিক থেকে সংগঠিত হয়ে একযোগে হামলা চালায় আওয়ামী লীগের কর্মীরা।
এ হামলার সমন্বয় করেন কলকাতায় অবস্থানরত শেখ হাসিনার ফুপাতভাই ও গোপালগঞ্জ-২ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য শেখ ফজলুল করিম সেলিম, লন্ডনে অবস্থানরত আওয়ামী লীগ প্রেসিডিয়াম সদস্য আব্দুর রহমান, শরীয়তপুর-১ আসনের সাবেক সাংসদ ইকবাল হোসেন অপু, গোপালগঞ্জ জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মাহবুব আলী খান এবং সাংগঠনিক সম্পাদক শফিকুল আলম কাজল।
এছাড়া ছাত্রলীগের পলাতক সভাপতি সাদ্দাম হোসেন কলকাতা থেকে ফেসবুক লাইভে এসে মাঠ পর্যায়ের কর্মীদের সরাসরি হামলার নির্দেশ দেন। আশপাশের জেলার ছাত্রলীগ নেতাকর্মীদের সংগঠিত করে হামলায় অংশগ্রহণে উদ্বুদ্ধ করেন তিনি।
ফলে এনসিপির শান্তিপূর্ণ কর্মসূচি চরম সহিংসতায় পরিণত হয়। হামলায় গাড়িবহরে গুলি ও বোমা ছোড়া হয়, আহত হয় একাধিক নেতা-কর্মী। পরিস্থিতি এমন ছিল যে, দলটি পরবর্তী কর্মসূচি (শরীয়তপুরের জাজিরা) অনিশ্চিত হয়ে পড়ে।
এই ঘটনা গোটা রাজনৈতিক অঙ্গনে ব্যাপক প্রতিক্রিয়া তৈরি করেছে এবং গোপালগঞ্জে আওয়ামী লীগের আগ্রাসী ভূমিকাকে নতুন করে প্রশ্নের মুখে ফেলেছে।
ভিওডি বাংলা/ডিআর
এদেশে কখনই ফ্যাস্টিটদের জায়গা হবেনা : রিজভী
বরিশাল প্রতিনিধি
বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী বলেছেন, …

গণঅভ্যুত্থান মেহনতি মানুষের অধিকার নিশ্চিত করেনি: সাইফুল হক
নিজস্ব প্রতিবেদক
বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির সাধারণ সম্পাদক সাইফুল হক বলেছেন, …

পিআর না বুঝলে রাজনীতি করার দরকার নেই: নুর
নিজস্ব প্রতিবেদক
গণঅধিকার পরিষদের সভাপতি নুরুল হক নুর বলেছেন, যারা …
