• ঢাকা বুধবার, ১৮ ডিসেম্বর ২০২৪, ৩ পৌষ ১৪৩১

বাণিজ্যের নামে গোপন চুক্তি জুলাইয়ের চেতনা বিরোধী : ন্যাপ

   ১৬ জুলাই ২০২৫, ০৪:৩৯ পি.এম.
ন্যাপের দলীয় পতাকা। ছবি : সংগৃহীত

নিজস্ব প্রতিবেদক

যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে বাংলাদেশের আলোচনার পর কিছু চুক্তি প্রকাশ না করার ঘোষণা নিয়ে গভীর উদ্বেগ ও আশঙ্কা প্রকাশ করেছে বাংলাদেশ ন্যাশনাল আওয়ামী পার্টি–বাংলাদেশ ন্যাপ। তারা বলেছে, এসব গোপন চুক্তি জুলাই গণ-অভ্যুত্থানের চেতনার পরিপন্থী এবং দেশের সার্বভৌমত্বের জন্য হুমকিস্বরূপ।

বুধবার (১৬ জুলাই) গণমাধ্যমে পাঠানো এক যৌথ বিবৃতিতে দলটির চেয়ারম্যান জেবেল রহমান গানি ও মহাসচিব এম. গোলাম মোস্তফা ভুইয়া বলেছেন— ‘যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে বাণিজ্যের নামে কোনো গোপন চুক্তি দেশবাসী মেনে নেবে না। এর মাধ্যমে জুলাই অভ্যুত্থানে অর্জিত নতুন রাজনৈতিক দিগন্তকে বিপর্যস্ত করার অপচেষ্টা চলছে।’

নেতৃদ্বয় বলেন, –যে চুক্তি প্রকাশ করা যায় না, তা অবশ্যই দেশবিরোধী। এ ধরনের গোপনীয়তা পতিত স্বৈরাচার শেখ হাসিনার আমলেও দেখা গেছে, যিনি ভারতের সঙ্গে দেশের স্বার্থবিরোধী বহু চুক্তি করেছেন, যার অধিকাংশ আজও জনসমক্ষে আসেনি। এখন অন্তর্বর্তীকালীন সরকারও যদি একই পথে হাঁটে, তাহলে নতুন রাজনীতির দাবি কোথায়? শহীদ আবু সাঈদ ও মুগ্ধর মতো তরুণেরা কি এই ‘পুরনো বন্দোবস্ত’ টিকিয়ে রাখার জন্য জীবন দিয়েছিল?

তারা উল্লেখ করেন, ‘সম্প্রতি ইউএসটিআর (United States Trade Representative)-এর একটি চিঠি সরকার প্রকাশ না করলেও একটি জাতীয় দৈনিকে তার গুরুত্বপূর্ণ অংশ প্রকাশিত হয়েছে। সেখানে দেখা যাচ্ছে, চীনা পণ্য বর্জন, সামরিক সরঞ্জামে মার্কিন নির্ভরতা, ডিজিটাল নীতিতে হস্তক্ষেপসহ এমন সব শর্ত আরোপ করা হয়েছে, যা অর্থনৈতিক উপনিবেশবাদ প্রতিষ্ঠার সামিল।’

ন্যাপ নেতারা প্রশ্ন তুলেছেন— ‘রাষ্ট্রের স্বার্থ, নিরাপত্তা ও পররাষ্ট্রনীতির সঙ্গে সম্পর্কিত কোনো চুক্তি গোপন রাখার মানে কী? এই অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের ম্যান্ডেটই বা কোথায়? জনগণ কি এ সরকারকে গোপন রাষ্ট্রীয় চুক্তির অধিকার দিয়েছে? যদি চুক্তি করতেই হয়, তবে তা জাতীয় ঐকমত্যের ভিত্তিতে, সব রাজনৈতিক দলের সঙ্গে আলোচনার মাধ্যমে হতে হবে।’

তারা বলেন, ‘যে কোনো গোপন চুক্তি প্রতিহত করতে হবে। দেশের জনগণ জানবে না— এমন কোনো চুক্তি সার্বভৌম বাংলাদেশে হতে পারে না। যদি শর্তাবলি গোপন রাখতে হয়, তাহলে বুঝে নিতে হবে সেগুলো দেশের স্বার্থবিরোধী এবং জনগণ তা মেনে নেবে না।’

নেতৃদ্বয় হুঁশিয়ার করে বলেন, ‘এই সরকারের উপদেষ্টাদের গোপন চুক্তির পক্ষে দেওয়া বক্তব্যে প্রমাণ হয়— রাষ্ট্র আজ জনগণের নয়, বরং কিছু গোষ্ঠীর হাতে বন্দি হয়ে আছে। সরকারকে স্মরণ করিয়ে দিতে চাই— দেশের স্বাধীনতা, সার্বভৌমত্ব, অর্থনীতি, নিরাপত্তা ও নীতিনির্ধারণ ক্ষমতা কারো অনুগত রাখার অধিকার কারও নেই।’

বিবৃতিতে ন্যাপ নেতারা বলেন, –‘জুলাই অভ্যুত্থানের পর রাজনৈতিক দলগুলো সংস্কার প্রস্তাব ও ক্ষমতার ভাগবাটোয়ারা নিয়ে ব্যস্ত, অথচ করিডোর, বন্দর, মানবাধিকার কমিশন, স্টারলিংক কিংবা ট্যারিফ চুক্তি নিয়ে কেউ মুখ খুলছে না। এমনকি ইসলামপন্থী ও বাম দলগুলোর অবস্থানও স্পষ্ট নয়।’–

তারা অভিযোগ করেন, রাজনীতির বড় অংশ ব্যবসায়ী ও প্রবাসীভিত্তিক হওয়ায় মার্কিন স্বার্থে নীরব থেকেছে। –‘অনেক নেতা ইউএস সিটিজেন বা গ্রিনকার্ডধারী বলেই হয়তো তারা মুখ খুলছেন না’– বলেন নেতারা।

ভিওডি বাংলা/ডিআর

  • দেশজুড়ে এর পাঠক প্রিয়
আরও পড়ুন
স্বৈরাচার আওয়ামী লীগ সব দখল করে নিয়েছিল- আবদুস সালাম
স্বৈরাচার আওয়ামী লীগ সব দখল করে নিয়েছিল- আবদুস সালাম
দেশের জনগণের সঙ্গে শিগগিরই সরাসরি দেখা হবে: তারেক রহমান
দেশের জনগণের সঙ্গে শিগগিরই সরাসরি দেখা হবে: তারেক রহমান
ফ্যাসিস্টের মধ্যে কোনো অনুশোচনা নেই : সালাহউদ্দিন
ফ্যাসিস্টের মধ্যে কোনো অনুশোচনা নেই : সালাহউদ্দিন