চারজন শিক্ষকের স্কুলে শিক্ষার্থী শূন্য


ঝালকাঠি প্রতিনিধি
ঝালকাঠির নলছিটি উপজেলার ১৪০ নং চাঁদপুরা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে চলছে চরম অব্যবস্থাপনা ও দায়িত্বহীনতা। শিক্ষার্থীবিহীন শ্রেণিকক্ষ, পাঠদান বন্ধ, চারদিকে অযত্ন-অবহেলা পুরো পরিবেশটি যেন একটি পরিত্যক্ত ভবনের মতো।
১৪ জুলাই সোমবার বেলা ১১টা ৩০ মিনিটে সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, বিদ্যালয়ের ৪ জন শিক্ষকের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন মাত্র ২ জন। ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক রাজিয়া সুলতানা ছিলেন অনুপস্থিত ছুটির আবেদন ছাড়াই। অপর শিক্ষক নাসিমা বেগম উপজেলা কার্যালয়ে ‘রিটার্ন’ জমা দিতে গেছেন বলে জানানো হয়। বিদ্যালয়ে উপস্থিত ছিলেন কেবল সহকারী শিক্ষক মোসাঃ রাজিয়া আক্তার ও হযরত আলী।
শ্রেণিকক্ষগুলো ছিল শিক্ষার্থীশূন্য। ঘরজুড়ে ধুলাবালি ও মাকড়সার জাল। দীর্ঘদিন কোনো পরিচ্ছন্নতা কার্যক্রম হয়নি যা চোখে পড়ার মতো। দুপুর ১২টা ৩০ মিনিট পর্যন্তও কোনো শিক্ষার্থী বিদ্যালয়ে আসেনি।
ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক কোথায় জানতে চাইলে সহকারী শিক্ষক জানান, তিনি পাশের বাড়ির ওয়াশরুমে গিয়েছেন। পরে ফোনে যোগাযোগ করা হলে রাজিয়া সুলতানা জানান, তিনি অসুস্থ এবং বিদ্যালয়ে রওনা হয়েছেন। কিছুক্ষণ পর তিনি বিদ্যালয়ে এসে উপস্থিত হন।
সহকারী শিক্ষক হযরত আলী বলেন, “অভিভাবকদের সচেতনতার অভাবে শিক্ষার্থীরা আসেন না। আমরা আসি-যাই কিন্তু শিক্ষার্থীবিহীন কতক্ষণ বসে থাকা যায়। বরিশাল থেকে আসতে আমার ৩০০ টাকা খরচ হয়, সেটা কে দেবে! দুপুরের খাবারের টাকাই বা কে দেবে! তার এই ধরনের ব্যক্তিকেন্দ্রিক ও দায়িত্বজ্ঞানহীন মন্তব্যে উপস্থিত সাংবাদিকরা হতবাক হন। একজন শিক্ষকের কাছ থেকে এমন মন্তব্য তাঁর পেশাগত মানসিকতা ও নিষ্ঠা নিয়ে প্রশ্ন তোলে।
বিদ্যালয়-সংলগ্ন এলাকার অভিভাবকরা জানান, শিক্ষক হযরত আলীর রুক্ষ ও অমার্জিত আচরণের কারণে অনেকেই তাদের সন্তানদের বিদ্যালয়ে পাঠাতে অনিচ্ছুক। এর সঙ্গে যুক্ত হয়েছে পাঠদানের মানহীনতা, নোংরা পরিবেশ এবং প্রশাসনিক গাফিলতি।
ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক রাজিয়া সুলতানা বলেন, বিদ্যালয়ের আশপাশে বসতি কম এবং রাস্তার দুরবস্থার কারণে শিক্ষার্থীদের উপস্থিতি কম। তিনি ছুটিতে ছিলেন কিনা জানতে চাইলে তিনি বলেন আমি ৮ দিন ধরে অসুস্থ আগামীকাল ছুটি নেবো। শ্রেণিকক্ষে নোংরা পরিবেশে ও অগোছালো সম্পর্কে জানতে চাইলে বলেন দপ্তরী নেই।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা (চলতি দায়িত্ব) শিরিন আকতার এর ব্যবহৃত মোবাইল নম্বরে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন,আমি স্যারদের সঙ্গে জরুরি মিটিংয়ে আছি, পরে কথা বলব।
এ বিষয়ে ঝালকাঠি জেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা (চলতি দায়িত্বে) মোঃ শাহিনুর ইসলাম মজুমদার বলেন, আপনার মাধ্যমেই বিষয়টি জানতে পারলাম। ছুটি না নিয়ে বিদ্যালয়ে অনুপস্থিত থাকার সুযোগ নেই। বিষয়টি গুরুত্বের সঙ্গে দেখা হবে। উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তাকে নির্দেশ দেওয়া হবে, সত্যতা মিললে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
ভিওডি বাংলা/ এমএইচ
বাঁশখালী উপজেলায় গণ অধিকার পরিষদের নতুন কমিটি গঠিত
বাঁশখালী প্রতিনিধি
চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলার অন্তর্গত বাঁশখালী উপজেলা গণ অধিকার …

বাঁশখালীতে বিএনপির বিক্ষোভ মিছিল ও প্রতিবাদ সমাবেশ অনুষ্ঠিত
বাঁশখালী প্রতিনিধি
বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের ছবি পদদলিত …

হাফেজ মাওলানা আবদুল্লাহ সাহেব (রহ:) এর আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত
বাঁশখালী(চট্টগ্রাম) প্রতিনিধি :
সোমবার (১৪ জুলাই) দুপুরে জলদী মিয়ার বাজার হাবিব …
