• ঢাকা বুধবার, ১৮ ডিসেম্বর ২০২৪, ৩ পৌষ ১৪৩১

কুড়িগ্রামে লাইট হাউজের উদ্ভাবনী উদ্যোগে

প্রযুক্তির আলোয় দুর্যোগ সচেতনতা

   ১৪ জুলাই ২০২৫, ০৬:২০ পি.এম.

কুড়িগ্রাম প্রতিনিধি

বাংলাদেশের অন্যতম দুর্যোগ প্রবন জেলা কুড়িগ্রাম। বন্যা, নদী ভাঙন ও জলবায়ু পরিবর্তন এই অঞ্চলের মানুষের জীবনে বার বার আঘাত হানে। ঠিক এমন বাস্তবতায় বেসরকারি উন্নয়ন সংস্থা লাইট হাউজ নামক সংগঠনটি স্থানীয় মানুষের সহায়তায় এগিয়ে এসেছে। কুড়িগ্রামের দুর্যোগ মোকাবেলায় গ্রামীণ ও শহরের সুবিধা বঞ্চিত জনগোষ্ঠীকে নিয়ে বিভিন্ন উন্নয়নমূলক কাজ পরিচালনা করছে সংস্থাটি। এই বাস্তবতাকে সামনে রেখে বেসরকারি উন্নয়ন সংস্থা লাইট হাউজ  প্রকল্পে মাধ্যমে দুর্যোগকালীন সময় ও পরবর্তী ঝুঁকি মোকাবেলায় প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর পাশে কাজ করছে।

এই প্রকল্পের আওতায় কুড়িগ্রামের ৫টি উপজেলায় ৩৫টি ইউনিয়নে দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা কমিটি গঠনের পাশাপাশি ৭০ জন প্রশিক্ষিত ভলান্টিয়ার মাঠ পর্যায়ে কাজ করছেন। তাদের মাধ্যমে তৈরি হচ্ছে এক ধরণের দুর্যোগ প্রস্তুতি নেটওয়ার্ক যা প্রযুক্তি সচেতনতা এবং মানবিক সহায়তা সমন্বয়ে কাজ করছে। এই প্রকল্পের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ দিক হলো একটি মোবাইল অ্যাপ। যার মাধ্যমে দুর্যোগের আগাম বার্তা দ্রুত ছড়িয়ে দেওয়া হচ্ছে গ্রাম অঞ্চলে। এই প্রযুক্তির মাধ্যমে স্বেচ্ছাসেবকরা ঝুঁকিপূর্ণ পরিবারগুলোকে আগাম সর্তকতা দিচ্ছে তাদের নিরাপদ আশ্রয়ে যেতে সহায়তা করছেন। লাইট হাউজ কেবল প্রযুক্তির উপর নির্ভর করছে না, তারা সমান গুরুত্ব দিচ্ছে কমিউনিটি লেভেলে সচেতনতা বাড়াতে উঠান বৈঠক, ওয়ার্কশপ, কিশোরী ও নারীদের স্বাস্থ্য হাইজিং, প্রতিবন্ধী ও তৃতীয় লিঙ্গের বিষয়ে সচেতনতামূলক জ্ঞান প্রদান করছেন।

বেসরকারি উন্নয়ন সংস্থা লাইট হাউজের সেচ্ছাসেবীর সাথে কথা বললে তারা জানায়, লাইট হাউজের প্রশিক্ষণে আমি শিখেছি দুর্যোগকালে কিভাবে আগে থেকেই প্রস্তুত করতে হয়। শুধু আশ্রয় কেন্দ্রে পাঠানো নয়, তাদের মনোভাব নিরাপত্তা ও প্রয়োজনীয় সহায়তার দিকগুলোও বুঝাতে সক্ষম। এখন আমি নিজেই এলাকার শিশু ও নারীদের সচেতন করতে নিয়মিত উঠান বৈঠক করি।
 
লাইট হাউজের প্রধান নির্বাহী হারুন অর রশিদ বলেন- প্রাকৃতিক দুর্যোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা মানুষের হাতে নেই। কিন্তু প্রস্তুতি থাকলে ক্ষতি অনেক কমিয়ে আনা সম্ভব। আমরা চাই কুড়িগ্রামের মতো দুর্যোগ প্রবন এলাকার মানুষ শুধু ত্রাণের অপেক্ষায় না থেকে নিজেরাই সচেতন ও প্রস্তুত হয়ে উঠুক। এ ধরণের কার্যক্রমকে দীর্ঘমেয়াদী করতে হলে দেশী ও বিদেশী দাতাদের সহযোগিতা দরকার। 

আজকের বাংলাদেশে দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা শুধু ত্রাণ বিতরণ বা সরকারি দায়িত্ব নয়। এটি কমিউনিটি ও নাগরিক শক্তিকে যুক্ত করার একটি মডেল। লাইট হাউজ যে পদ্ধতিতে কুড়িগ্রামে কাজ করছে- প্রযুক্তি নির্ভর, অন্তর্ভূক্তিমূলক ও সচেতনতা ভিত্তিক। যা সত্যিকার অর্থে সারাদেশের জন্য একটি অনুকরণীয় দৃষ্টান্ত হতে পারে।

ভিওডি বাংলা/ এমএইচ

  • দেশজুড়ে এর পাঠক প্রিয়
আরও পড়ুন
সীমান্তে বিজিবির অভিযান ৬৫ বোতল ভারতীয় মদসহ অটো ভ্যান গাড়ী আটক
সীমান্তে বিজিবির অভিযান ৬৫ বোতল ভারতীয় মদসহ অটো ভ্যান গাড়ী আটক
টাঙ্গাইলে শাজাহান সিরাজের মৃত্যুবার্ষিকী পালিত
টাঙ্গাইলে শাজাহান সিরাজের মৃত্যুবার্ষিকী পালিত
শ্রীপুরের রাব্বির লাশ তুলতে দেয়নি পরিবার
শ্রীপুরের রাব্বির লাশ তুলতে দেয়নি পরিবার