ববিতে জলাবদ্ধতায় ভোগান্তিতে শিক্ষার্থীরা


বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিনিধি
দক্ষিণ অঞ্চলের উচ্চশিক্ষার অন্যতম বিদ্যাপীঠ বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়। কিন্তু বর্ষা এলেই বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয় (ববি) ক্যাম্পাসের চিরচেনা দৃশ্য—জলাবদ্ধতা, রাস্তার গর্ত আর নোংরা পানি। সামান্য বৃষ্টিতেই পুরো ক্যাম্পাসজুড়ে সৃষ্টি হয় জলাবদ্ধতা। বৃষ্টির পানি জমে থাকে দিনের পর দিন, রাস্তার ইট উঁচু-নিচু হয়ে খাঁদা-খন্দকে পরিণত হয়েছে। ফলে চলাচলে দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে শিক্ষার্থীসহ শিক্ষক-কর্মকর্তা-কর্মচারীদের।
সরেজমিনে দেখা যায়, বৃষ্টি হলেই বিশ্ববিদ্যালয়ের একাডেমিক ভবন ও প্রশাসনিক ভবনের সামনে সহ, ক্যাম্পাস জুড়ে সকল সড়কগুলোতে সৃষ্টি হয় জলাবদ্ধতা। বিশেষ করে গ্রাউন্ডফ্লোরের সামনের স্থানটি পুকুরে পরিনত হয়। জলাবদ্ধতার তীব্রতায় কেউ কেউ বাধ্য হন জুতা হাতে, প্যান্ট গুটিয়ে নোংরা পানির ভেতর দিয়ে ক্লাসে যেতে হয়।
ক্যাম্পাসের বিভিন্ন সড়কের দৃশ্য দেখে মনে হয় কোনো মাছের ঘের! রাস্তার মাঝখানে পানি জমে তৈরি হয়েছে ছোট ছোট পুকুর। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমেও এ নিয়ে শুরু হয়েছে সমালোচনার ঝড়। বিষয়টি নিয়ে ব্যঙ্গ করেই উক্ত পোস্ট করেন তিনি। এছাড়াও অন্যান্যরাও নানা ধরনের মন্তব্য করেন জলাবদ্ধতার বিষয়টি নিয়ে।
ছবি ও বাস্তবতা বলছে, প্রতিষ্ঠার ১৫ বছর পার করেও বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসের অধিকাংশ সড়ক এখনও লাল ইটের তৈরি। এই লাল ইটের রাস্তা এখন অধিকাংশ জায়গায় ভেঙে গর্তে পরিণত হয়েছে। ছাত্র-ছাত্রীরা বারবার পাকা সড়কের দাবি তুললেও কর্তৃপক্ষের টনক নড়েনি। বর্ষা এলেই ভোগান্তি চরমে ওঠে।
বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিবহন সড়কেও একই অবস্থা। শিক্ষার্থীরা বলছেন, বছরের পর বছর বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের নীরবতা আর অবহেলা তাদেরকে দুর্ভোগে রেখেছে। কোথাও কোথাও রাস্তার ইট উঠে গিয়ে খাদ-খন্দক তৈরি হয়েছে।বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের কোনো উদ্যোগ চোখে পড়ছে না বলে অভিযোগ শিক্ষার্থীদের। তাদের দাবি একটাই —বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ের সড়কগুলো দ্রুত পাকা করতে হবে, যেন আর বর্ষায় জলাবদ্ধতার স্বীকার হতে না হয়।
রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষার্থী মো. জুবায়ের হোসেন প্রশ্ন রেখে বলেন, " জ্ঞানচর্চার জন্য বিশ্ববিদ্যালয়ে এসে পানি ডিঙ্গিয়ে এভাবে ক্লাসে যাওয়ার পর অনুভব হয়, যেন আমরা জলাশয়ে এসে পৌঁছেছি। পানির মধ্য দিয়ে জুতা খুলে বা ভিজিয়ে ক্লাসে যাওয়ার দৃশ্য বিশ্ববিদ্যালয়ের জন্য লজ্জার। জুতা হাতে ক্লাসে যাওয়া যেন আমাদের নিত্যদিনের অভ্যাস হয়ে গেছে। এটা কি কোনো পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের চিত্র হতে পারে?"
জলাবদ্ধতা নিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের ব্যবস্থাপনা বিভাগের স্নাতকোত্তরের শিক্ষার্থী শহিদ আফ্রিদি বলেন,, “বর্ষাকালে আমাদের সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ হয়ে দাঁড়ায় ক্লাসে যাওয়ার পথ। হাঁটতে গেলে জুতা-চাপ্পল আটকে যায়, কখনো পানিতে পা ডুবে যায়। বিশ্ববিদ্যালয় পাকা রাস্তা দেবে, এই দাবি তো নতুন নয়, কিন্তু কেউ শোনে না।”
জলাবদ্ধতা ও ড্রেনেজের বিষয়ে জানতে চাইলে, পরিকল্পনা দপ্তরের ভারপ্রাপ্ত পরিচালক মো.হুমায়ুন কবির বলেন, আমাদের এই মুহুর্তে এটি নিয়ে বিশেষ কোনো পরিকল্পনা নেই, এটি প্রকৌশল শাখা দেখবে। তবে ২য় পর্যায়ের কাজ আসলে সেখানে আমরা ড্রেনেজের বিষয়টি অন্তর্ভুক্ত করেছি,তখন এটি বাস্তবায়ন হবে।
তবে ভিন্ন কথা বলছেন প্রকৌশল দপ্তরের উপ-প্রকৌশলী মুরশীদ আবেদীন। এই বিষয়ে প্রশ্ন করলে তিনি জানান, পরিকল্পনা দপ্তরে এই বিষয়ে অনেক আগেই আমরা প্রস্তাব জমা দিয়েছি। তারা অর্থায়নের ব্যবস্থা করতে পারলে এই কাজটা করতে পারবো এবং সমস্যা সমাধান হবে।
এ সম্পর্কে জানতে চাইলে উপাচার্য (অন্তর্বর্তীকালীন) অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ তৌফিক আলম বলেন, এ বিষয়ে আমার শীঘ্রই ব্যবস্থা নিব। আমরা গত অর্থবছরে চেষ্টা করেছি, কিন্তু বিভিন্ন কারনে পারিনি ,সমস্যা হয়েছিলো। এ বছরেই আমরা চেষ্টা করব। আমরা এস্টিমেটও করে রেখেছি।
বিশ্ববিদ্যালয়ের মেইন ফটকের সামনের রাস্তাও ব্যাপক জলাবদ্ধতা হয়ে থাকে। এ নিয়ে প্রশ্ন করলে তিনি বলেন, এ বিষয়ে আমি রোডস এন্ড হাইওয়ে ইন্জিনিয়ারের সাথে কথা বলেছি , তিনি বলেছেন বৃষ্টির মধ্যে কাজ করা যায় না, বৃষ্টি কমলে সেই দিনই কাজ করবে।
ভিওডি বাংলা/ এমএইচ
ইবিতে সাংবাদিকদের ওপর হামলার তদন্তে পাঁচ সদস্যের কমিটি গঠন
ইবি প্রতিনিধি
কুষ্টিয়ার ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের (ইবি) সাংবাদিকদের মারধর করে সংবাদ …

ভেটেরিনারি অনুষদীয় বৃত্তি পেলেন ৩৩ অস্বচ্ছল শিক্ষার্থী
বাকৃবি প্রতিনিধি
বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের (বাকৃবি) ভেটেরিনারি অনুষদের উদ্যোগে দরিদ্র …

বেরোবিতে শহীদ আবু সাঈদ স্মরণে আন্তঃবিভাগ বিতর্ক প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত
বেরোবি প্রতিনিধি
‘অন্যায়ের বিরুদ্ধে, তর্কের নির্ভীক বিস্ফোরণ’ স্লোগানকে ধারণ করে …
