চানখারপুলে হত্যা: অভিযোগ গঠন আজ


আদালত প্রতিবেদক
ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থান চলাকালে রাজধানীর চানখারপুলে গুলি চালিয়ে ছয়জনকে হত্যার ঘটনায় দায়ের করা মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় চার পুলিশ সদস্যকে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে হাজির করা হয়েছে। পলাতক রয়েছেন মামলার প্রধান আসামি ডিএমপির সাবেক কমিশনার হাবিবুর রহমানসহ পুলিশের শীর্ষ চার কর্মকর্তা।
সোমবার (১৪ জুলাই) সকালে ইন্সপেক্টর আরশাদ, কনস্টেবল মো. সুজন, কনস্টেবল ইমাজ হোসেন ইমন এবং কনস্টেবল নাসিরুল ইসলামকে প্রিজনভ্যানে করে ট্রাইব্যুনালে হাজির করে কারা কর্তৃপক্ষ।
এর আগে গত ২৫ মে এই মামলার আনুষ্ঠানিক অভিযোগ আমলে নেন আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল। মামলায় গ্রেপ্তার চারজনসহ মোট আটজনকে আসামি করা হয়েছে। আজ এই মামলায় অভিযোগ গঠনের আদেশ দেওয়ার কথা রয়েছে।
এই মামলার প্রধান আসামিসহ চারজন পলাতক রয়েছেন। তারা হলেন—
-
সাবেক ডিএমপি কমিশনার হাবিবুর রহমান
-
সাবেক যুগ্ম কমিশনার সুদীপ কুমার চক্রবর্তী
-
রমনা অঞ্চলের সাবেক অতিরিক্ত উপকমিশনার শাহ্ আলম মো. আখতারুল ইসলাম
-
সাবেক সহকারী কমিশনার মোহাম্মদ ইমরুল
৩ জুন ট্রাইব্যুনাল তাদের বিরুদ্ধে পত্রিকায় বিজ্ঞপ্তি প্রকাশের নির্দেশ দেয়। নির্ধারিত সময়েও হাজির না হওয়ায় তাদের অনুপস্থিতিতেই বিচার কার্যক্রম চলবে বলে আদেশ দেওয়া হয়।
তদন্ত প্রতিবেদনে বলা হয়, ২০২৪ সালের ৫ আগস্ট রাজধানীর চানখারপুল এলাকায় ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থানের সময় আসামিরা শান্তিপূর্ণ ও নিরস্ত্র বিক্ষোভকারীদের ওপর গুলিবর্ষণ করে। এতে শহীদ শাহরিয়ার খান আনাস, শেখ মাহদি হাসান জুনায়েদ, মো. ইয়াকুব, মো. রাকিব হাওলাদার, মো. ইসমামুল হক ও মানিক মিয়া ঘটনাস্থলেই নিহত হন।
এই ঘটনাকে একটি পূর্বপরিকল্পিত গণহত্যা এবং মানবতাবিরোধী অপরাধ হিসেবে বিবেচনা করে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে মামলা করা হয়।
আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের তদন্ত সংস্থা মামলাটির ৯০ পৃষ্ঠার বিশদ প্রতিবেদন দাখিল করে, যা প্রস্তুত করতে সময় লেগেছে ৬ মাস ১৩ দিন।
তদন্তে ৭৯ জন সাক্ষীর জবানবন্দি, ১৯টি ভিডিও ফুটেজ, ১১টি পত্রিকা প্রতিবেদন, ২টি অডিও, ১১টি বই ও রিপোর্ট, এবং ৬টি ডেথ সার্টিফিকেট যুক্ত করা হয়।
চিফ প্রসিকিউটর মোহাম্মদ তাজুল ইসলাম জানান, এই হত্যাকাণ্ড ছিল একটি “প্রশাসন-নির্ভর পরিকল্পিত গণহত্যা”, যার বিচার আন্তর্জাতিক মানদণ্ড অনুযায়ী করা হবে।
প্রসঙ্গত গত জুলাই-আগস্টে ছাত্র-জনতার অব্যাহত গণআন্দোলন দমন করতে গিয়ে আওয়ামী লীগ সরকার, তার দলীয় ক্যাডার এবং আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর একটি অংশ দেশের বিভিন্ন প্রান্তে গণহত্যা ও মানবতাবিরোধী অপরাধে জড়িয়ে পড়ে বলে একাধিক অভিযোগ জমা পড়ে। এসব ঘটনার বিচার দাবিতে দেশ-বিদেশে ক্রমবর্ধমান চাপের মুখে অবশেষে ট্রাইব্যুনালে বিচার শুরু হয়েছে।
ভিওডি বাংলা/ডিআর
তারেক রহমান ও জুবাইদা রহমানের খালাসের রায় প্রকাশ
নিজস্ব প্রতিবেদক
বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের স্ত্রী ডা. জুবাইদা …

জুলাই শহীদদের কেন জাতীয় বীর ঘোষণা নয়, জানতে চেয়ে রুল
আদালত প্রতিবেদক
গণ-অভ্যুত্থানে শহীদ আবু সাঈদ, মীর মুগ্ধ ও ওয়াসিমসহ …
