• ঢাকা বুধবার, ১৮ ডিসেম্বর ২০২৪, ৩ পৌষ ১৪৩১

উচ্ছৃঙ্খল নেতাকর্মীদের লাগাম টানতে কঠোর অবস্থানে বিএনপি

   ১৩ জুলাই ২০২৫, ০৪:৫০ পি.এম.
ছবি: সংগৃহীত

নিজস্ব প্রতিবেদক

বিভিন্ন ইস্যু ঘিরে বিএনপিকে ‘চাপে ফেলার প্রবণতা’ চলছে বলে মনে করছেন দলটির নীতিনির্ধারকরা। তারা বলছেন, কোনো নেতিবাচক ঘটনা ঘটলেই সংঘবদ্ধভাবে বিএনপির নেতাকর্মীদের জড়িয়ে অপপ্রচার চালানো হচ্ছে। বিশেষ করে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ও নেট দুনিয়ায় কটাক্ষপূর্ণ এবং অশালীনভাবে আক্রমণ চলছে। অথচ যে কোনো অন্যায়ের বিরুদ্ধে বিএনপি সবসময় ‘জিরো টলারেন্স নীতি’ গ্রহণ করেছে। দলের উচ্ছৃঙ্খল নেতাকর্মীদের লাগাম টানতে বহিষ্কারের মতো কঠোর অবস্থানে দলের হাইকমান্ড।

সংশ্লিষ্টরা বলছেন, শেখ হাসিনার পতনের পর পরিবর্তিত পরিস্থিতিতে ধৈর্যের সঙ্গে এগোচ্ছে বিএনপি। এক্ষেত্রে বেশি ধৈর্যের পরিচয় দিচ্ছেন দলটির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান। সারাদেশে তৃণমূল পর্যায়ে নেতাকর্মীদের বক্তব্য, কর্মকাণ্ড ও গতিবিধি কঠোরভাবে পর্যবেক্ষণ করছেন তিনি। শীর্ষ নেতাদের বক্তব্য, অভ্যন্তরীণ দ্বন্দ্ব মীমাংসা, সাংগঠনিক সিদ্ধান্ত, সরকার ও রাজনৈতিক নেতাদের মধ্যে যাতে ভুল বোঝাবুঝি না হয়, সেটিও তিনি মোকাবিলা করছেন। এর পরও ধৈর্যের পরীক্ষায় মুখোমুখি থাকা বিএনপিকে চাপে ফেলার ইঙ্গিত মিলছে নানা ইস্যুতে।

বিশ্লেষকরা বলছেন, সন্ত্রাসী ও দুষ্কৃতকারীকে দমনের দায়িত্ব আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর। কারণ সন্ত্রাসীদের কোনো দলীয় পরিচয় নেই। তবে দলীয় সম্পৃক্ততার কারণে বিএনপি এরই মধ্যে বহিষ্কারের মতো কঠোর ব্যবস্থা নিয়েছে। এখন সরকার ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনী কী পদক্ষেপ নেয়, সেটি দেখার বিষয়। তারা আরও বলেন, একটি বড় রাজনৈতিক দলের সামনে সম্ভাবনা ও সংকট দুটোই থাকে। বিএনপি এখন এক কঠিন সন্ধিক্ষণে দাঁড়িয়ে যেখানে ধৈর্যের পরীক্ষা যেমন চলছে, আবার চতুর্মুখী সংকটও তৈরি হয়েছে। সামনের দিনগুলোতে দলটির কৌশল, নেতৃত্ব ও জনসম্পৃক্ততার ওপরই নির্ভর করবে তারা এই পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হবে কি না? 

 অনেকে বলছেন, তৃণমূল থেকে কেন্দ্র পর্যন্ত উচ্ছৃঙ্খল নেতাকর্মীদের লাগাম না টানলে বিএনপির ভাবমূর্তি ধরে রাখা কঠিন হবে। নির্বাচন হলে ‘বিএনপি ক্ষমতায় আসবে’ এমন পরিস্থিতির মধ্যে এ ধরনের ঘটনা অত্যন্ত বিব্রতকর। বিএনপির হাইকমান্ডও এসব ঘটনায় অস্বস্তি ও বিব্রতকর অবস্থায় পড়েছে। কারণ সব রাজনৈতিক দল এই ইস্যুতে বিএনপিকে চাপে ফেলতে উঠেপড়ে লেগেছে।

এরপরও পুরান ঢাকার ব্যবসায়ী হত্যাকাণ্ড দলকে নতুন করে সতর্কবার্তা দিচ্ছে। বিশেষ করে বিএনপি ক্ষমতায় এলে কী করবে এমন নেতিবাচক কথাবার্তা জনমনে শুরু হয়েছে। পাশাপাশি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে নেটিজেনরা সংঘবদ্ধভাবে নেতিবাচক প্রচার-প্রচারণা চালাচ্ছে। অন্যদিকে বিএনপির তৃণমূলের লাগাম টেনে ধরার এখনই উপযুক্ত সময় বলে কেউ কেউ মনে করেছেন।

সার্বিক বিষয়ে বিশ্লেষক ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের রাষ্ট্রবিজ্ঞানের অধ্যাপক কাজী মোহাম্মদ মাহবুবুর রহমান বলেন, আইনশৃঙ্খলার অবনতির জন্য দায়ী সরকার। তাদের দায়িত্ব সন্ত্রাসীদের ধরে শাস্তির আওতায় আনা। মিটফোর্ড এলাকায় ব্যবসায়ীকে হত্যার ঘটনায় নিন্দা জানিয়ে তিনি বলেন, এরই মধ্যে বিএনপি তার অঙ্গসহযোগী সংগঠনের পাঁচজনকে বহিষ্কার করেছে এবং তাদের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নিতে বলেছে। আমি মনে করি, সন্ত্রাসী এবং দুষ্কৃতকারীদের কোনো দলীয় পরিচয় থাকতে পারে না। বিএনপি বহিষ্কারের মতো কঠোর ব্যবস্থা নেওয়ার পরও কেউ যদি কাউকে (বিএনপি) নিয়ে সংঘবদ্ধভাবে নেতিবাচক প্রচারণা চালায় সেটি দুঃখজনক।

ভিওডি বাংলা/ এমপি

  • দেশজুড়ে এর পাঠক প্রিয়
আরও পড়ুন
তারেক রহমানকে নিশ্চিহ্ন করার চক্রান্ত হচ্ছে: মির্জা ফখরুল
তারেক রহমানকে নিশ্চিহ্ন করার চক্রান্ত হচ্ছে: মির্জা ফখরুল
মব ভায়োলেন্সে বিশ্বাস করে না বিএনপি: জাহিদ হোসেন
মব ভায়োলেন্সে বিশ্বাস করে না বিএনপি: জাহিদ হোসেন
‘জীবনের শেষ রক্তবিন্দু দিয়ে জাতীয় পার্টিকে রক্ষা করবো’
‘জীবনের শেষ রক্তবিন্দু দিয়ে জাতীয় পার্টিকে রক্ষা করবো’