“হার্টে ছিদ্র নয়, এ যেন নিয়তির নির্মমতা”


ভাঙ্গুড়া (পাবনা) প্রতিনিধি
সাত মাস বয়সী একটি শিশু,চোখে জল, মুখে হাসি নেই, বুকের ভেতর হাঁপিয়ে ওঠা নি:শ্বাস। নাম তার সাজ্জাদ হোসেন, জন্ম থেকেই হার্টে ছিদ্র। কোলের ভেতরে চুপচাপ তাকিয়ে থাকে। চারপাশে নির্বাক চোখে যেন বলতে চায়, “এই সুুন্দর পৃথিবীতে আমি আরো সময় বাঁচতে চাই।” পাবনার ভাঙ্গুড়া উপজেলার পৌর সদরের ভদ্রপড়ার রেললাইনের পাশের লাইনপাড়ায় বসবাস করেন সাজ্জাদের বাবা জেল হক ও মা শাপলা খাতুন।
জানা গেছে, পেশায় দিনমজুর জেল হক অন্যের বাড়িতে কাজ করেন,শাপলা গৃহিণী। দুই কন্যার পর সাজ্জাদের জন্ম হয়েছিল পরিবারে খুশির বার্তা হয়ে। কিন্তু সেই আনন্দের স্থায়িত্ব ছিল খুবই ক্ষণিকের, জন্মের পর থেকেই শিশুটি অসুস্থ। কাঁদে বেশি, খায় কম, ঘুম হয় না। স্থানীয় চিকিৎসকের কাছে নিয়ে গেলে প্রাথমিকভাবে হার্টের সমস্যা শনাক্ত হয়। পরে ধারদেনা করে ছেলেকে নেওয়া হয় ঢাকায়। সেখানকার চিকিৎসকেরা নিশ্চিত করেন সাজ্জাদের হৃদপিন্ডে বড় ছিদ্র রয়েছে। চিকিৎসকেরা বলছেন জরুরি ওপেন হার্ট সার্জারি ছাড়া তাকে বাঁচানো যাবে না। এই অস্ত্রোপচারের জন্য প্রয়োজন প্রায় ৩ লাখ টাকা। কিন্তু জেল হক-শাপলা দম্পতির পক্ষে এই টাকার ব্যবস্থা করা একেবারেই অসম্ভব।
সাজ্জাদের বাবা জেল হক হোসেন বলেন, “ঢাকায় ডাক্তাররা বলেছে হার্টে বড় ফুটো, সার্জারি অবশ্যই লাগবে। কিন্তু এত টাকার ব্যবস্থা আমি দিনমজুর মানুষ কীভাবে যোগাড় করব? রেল লাইনের পাশে থাকি, দিন আনি দিন খাই। এখন তিন লাখ টাকা জোগাড় না হলে ছেলেকে হয়তো হারিয়ে ফেলব" তাকে বাঁচানো আমার পক্ষে সম্ভব না।
সাজ্জাদের মা শাপলা বেগম কান্না করে বলেন, “ছেলেটা জন্মের পর থেকেই ঠিকমতো খায় না, ঘুমায় না। কোলের ভেতর থেকেই কাঁদতে কাঁদতে ঘুমায়। একটাও হাসি দেখি নাই সাত মাসে। আমার বুকের মানিকটা একটু বাঁচুক, এইটুকু চাই। সবাই একটু সাহায্য করলে হয়তো আমার ছেলেটা সুস্থ হয়ে আমার কোলে আবারো ফিরে আসবে" আমার বিশ্বাস।
সাজ্জাদের প্রতিবেশী সাবিনা খাতুন বলেন, “ছেলেটাকে আমরা প্রতিদিন দেখি ওর কান্না, নি:শ্বাস নিতে কষ্ট হয়। এমন নিষ্পাপ একটা শিশুকে হারানোর আগে যদি কেউ পাশে না দাঁড়ায়, তাহলে আমাদের মানবতা নিয়ে প্রশ্ন থাকবে। সরকার বা সমাজ যদি পাশে না আসে, এরা একা একীই বা কি করতে পারবে?”
এ বিষয়ে পাবনার ভাঙ্গুড়া উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও পৌর প্রশাসক মোছা: নাজমুন নাহার পরিবারটির পাশে থাকার আশ্বাস দিয়ে বলেন, “আমরা পরিবারটির বিষয়টি জেনেছি এবং প্রশাসনিকভাবে পাশে থাকার চেষ্টা করছি। সাজ্জাদের চিকিৎসার জন্য সমাজের সামর্থ্যবান ও হৃদয়বান মানুষদের এগিয়ে আসার অনুরোধ জানাই। একটি শিশুর জীবন বাঁচানো আমাদের সবার দায়িত্ব।
মাত্র তিন লাখ টাকার অভাবে একটি প্রাণ হারিয়ে গেলে তা শুধু একটি শিশুর মৃত্যু নয়, সমাজেরও এক প্রকার মৃত্যু বলা যায় বা করুণ পরাজয়। সাজ্জাদ হোসেন এখনো বেঁচে আছে সমাজের ধনী ব্যক্তিের কাছে একটি সুযোগের অপেক্ষায়। একজন মানুষের একটি সহায়তা, একটি ফোন কল, একটি বিকাশ লেনদেন হয়তো ফিরিয়ে দিতে পারে এক শিশুর বেঁচে থাকার অধিকার ।
যারা এই অসহায় পরিবারটির পাশে দাঁড়াতে চান, তারা সরাসরি যোগাযোগ করতে পারেন নিচের এই ঠিকানায়। বিকাশ নম্বরে সাহায্য পাঠানো যাবে: জেলহক (শিশুর পিতা), ঠিকানা: লাইনপাড়া (ভদ্রপাড়া), ভাঙ্গুড়া পৌরসভা, ভাঙ্গুড়া, পাবনা। মোবাইল: 01728869062 (বিকাশ)।
ভিওডি বাংলা/ এমএইচ
নিহত সোহাগের স্ত্রীর গুরুতর অভিযোগ
নিজস্ব প্রতিবেদক
মিটফের্ডের নৃশংশ হত্যাকাণ্ডের শিকার সোহাগের স্ত্রী লাকী বেগম …

ফরিদপুর জেলা ছাত্রলীগের নেতা ইনামুল হাসান গ্রেপ্তার
ফরিদপুর প্রতিনিধি:
ফরিদপুরের আলফাডাঙ্গায় বিস্ফোরক মামলার আসামি ছাত্রলীগের সাবেক জেলা …

রাতভর গাছের সঙ্গে বেঁধে রাখা হয় বিএনপি নেতাকে
মানিকগঞ্জ প্রতিনিধি
মানিকগঞ্জের দৌলতপুরে প্রবাসীর স্ত্রীর ঘরে ঢুকে অনৈতিক কাজের …
