টানা বৃষ্টিপাত, দুঃচিন্তায় কৃষক


যশোর প্রতিনিধি
গত কয়েক দিনের টানা বৃষ্টিপাতে যশোরের নিম্ন্রঞ্চাল প্লাবিত হয়েছে। ডুবে গেছে মাঠ, ঘাট, খাল বিল, ভেসে গেছে পুকুর, মাছের ঘের, নিচু বসত ভিটা। তলিয়ে গেছে আমনের বীজতলা, হাসফাস হয়ে উঠেছে জনজীবন। চারিদিকে পানিতে টইটম্বুর, যেদিকে চোখ যায় শুধু পানি আর পানি। অতিরিক্ত পানির প্রভাবে শিশু ও বড়দের মধ্যে দেখা দিয়েছে জ্বর, সর্দি, কাঁশিসহ অন্যান রোগ। ক্ষতি হয়েছে বিভিন্ন ধরণের শাক-সবজি ও তরকারির ক্ষেত। যার প্রভাব পড়েছে মানুষের নিত্য পণ্য তরকারি বাজারে। গত কয়েক দিনের ব্যবধানে ৫ থেকে ২০ টাকা পর্যন্ত বৃদ্ধি পেয়েছে তরকারি দাম। এভাবে বৃষ্টির ধারা অব্যহত থাকলে সঠিক সময়ে নিচুঁ জমির পানি বের না হলে আমন চাষ ব্যহত হবে। ফলে পূরণ হবে না কায্খিত লক্ষ্যমাত্রা। কৃষকেরা মনে করছেন এভাবে বৃষ্টিপাত অব্যহত থাকলে আমন চাষ বাঁধাগ্রস্থ হবে। চলতি মাসে আবহাওয়া নিয়ে তেমন কোন সুসংবাদও নেই। ফলে কৃষকদের মনে দেখা দিয়েছে শঙ্কা। আমন ধান চাষে বাঁধাগ্রস্থ হলে গো-খাদ্যের সংকট দেখা দিতে পারে। এমনিতে গত কয়েক দিনের টানা বৃষ্টিতে মানুষ গৃহপালিত পশুপাখি নিয়ে নাযেহাল।
সাধারণত জুলাই থেকে শুরু করে আগস্ট মাসের মধ্যে আমন চাষ শেষ করে। কিন্তু চলতি মাসের ১০ দিন চলে গেলে কৃষকরা এখনও পর্যন্ত আমন চাষ শুরু করতে পারেনি।
যশোর কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের তথ্যমতে, ইতোমধ্যে জেলার বিভিন্ন উপজেলায় ২০০ হেক্টর বীজতলা পানির নিচে ডুবে গেছে। যেটা আমন চাষের জন্য বড় ধাক্কা। এখন নতুন করে বীজতলা তৈরি করে আমন চাষ কষ্টসাধ্য।
চলতি মৌসুমে জেলার আমন চাষের লক্ষ্যমাত্রা সম্পর্কে সঠিক তথ্য জানা গেলেও গত আমন মৌসুমে লক্ষ্যমাত্রা ছিল ১লাখ ৪০ হাজার ৩৭ হেক্টর জমিতে। তবে গত মৌসুমে লক্ষ্যমাত্রা অতিক্রম করে ২৫৮ হেক্টর জমিতে বেশি আমন চাষ হয়। ফলে মোট উৎপাদন দাড়ায় ১ লাখ ৪০ হাজার ২৯৫ হেক্টর জমি।
যশোর বীরশ্রেষ্ঠ মতিউর রহমান রহমান বিমান ঘাঁটির আবহাওয়া থেকে পাওয়া তথ্যনুযায়ী গত দু' দিনে ৭১মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে। এর মধ্যে মঙ্গলবার সকাল ৬টা থেকে বুধবার সকাল ৬টা পর্যন্ত গত ২৪ ঘন্টায় ৫৮ মিলিমিটার এবং বুধবার সকাল ৬টা থেকে বৃস্পতিবার সন্ধ্যা পর্যন্ত ১২ ঘন্টায় ১৩ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড কর হয়েছে। তবে বুধবার সন্ধ্যা ৬ থেকে এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত কত মিলিমিটার বৃষ্টিপাত হয়েছে সে সম্পর্কে জানা যায়নি।
যশোর সদরের হৈবতপুর ইউনিয়নের শমশপুর গ্রামের অর্নাস পড়ুয়া হামিম ভিওডি (ভয়েস অফ ডেমোক্রেসি) কে জানান, "আমি ১ বিঘা জমিতে পেঁপো চাষ করেছিলাম। গাছে সুন্দর ফলও এসেছিল কিন্তু গত কয়েক দিনের টানা বৃষ্টিপাতে আমার জমিতে পানি উঠে গেছে। ইতোমধ্যে আমার অনেক গাছ মারা গেছে। যেটা আমার জন্য অপূরণীয় ক্ষতি। আমি লেখাপড়ার পাশাপাশি কৃষি কাজ করি। কিন্তু বৃষ্টিপাতের ফলে আমার ক্ষতি কাটিয়ে তোলা বেশ কষ্টসাধ্য।"
জেলার চৌগাছা উপজেলার পাশাপোল গ্রামের আজিজুর রহমান ভিওডি বলেন, "আমি চলতি আমন মৌসুমে পাঁচ বিঘা জমিতে আমন চাষ করব সে মোতাবেক বীজতলা তৈরি করেছিলাম। ধানের চারাও সুন্দর হয়েছিল। কিন্তু টানা বৃষ্টিপাতে বীজতলা পানিতে ডুবে অনেক চারা মারা গেছে। এভাবে বৃষ্টির ধারা অব্যহত থাকলে আমার ধানের চারাগুলো বাঁচবে কিনা জানিনা। এখন আমি আমন ধান করা নিয়ে চিন্তায় আছি।"
তবে কৃষি কর্মকর্তারা মনে করছেন এ বৃষ্টিপাতে আমন চাষে তেমন প্রভাব পড়বে না। কৃষি কর্মকর্তাদের কথার উপর ভরসা রাখতে পারছেন না স্থানীয় কৃষকেরা।
ভিওডি বাংলা/ এমএইচ
ষড়যন্ত্র করে কোন লাভ হবে না: কামরুল হুদা
চৌদ্দগ্রাম (কুমিল্লা) প্রতিনিধি
কুমিল্লা দক্ষিণ জেলা বিএনপির যুগ্ম আহবায়ক মোঃ …

শ্লোগান দিতে দিতে মাটিতে লুটিয়ে পড়লেন মহিলাদল নেত্রী
পাবনা প্রতিনিধি
বিএনপি নেতার কারামুক্ত সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে মিছিল শেষে হৃদযন্ত্রের …

কুড়িগ্রামে মৎস্য চাষিদের মাঝে মাছের পোনা বিতরণ করেন ডিসি
কুড়িগ্রাম প্রতিনিধি
মাছের উৎপাদন বৃদ্ধির লক্ষ্যে মৎস্য চাষিদের মাঝে মাছের …
