খোলা হয়েছে কন্ট্রোল রুম
বাঁধ ভেঙে ফেনীর ২০ গ্রাম প্লাবিত, প্রস্তুত ১৩১ আশ্রয়কেন্দ্র


ফেনী প্রতিনিধি
গত কয়েকদিনের টানা বর্ষণ ও ভারতের উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢলের সম্ভাব্য বন্যা পরিস্থিতি মোকাবিলায় ফুলগাজী ও পরশুরাম উপজেলায় নানা প্রস্তুতি গ্রহণ করেছে জেলা প্রশাসন। ঝুঁকিপূর্ণ এলাকার মানুষদের নিরাপদ আশ্রয়ে সরিয়ে নিতে দুই উপজেলায় মোট ১৩১টি আশ্রয়কেন্দ্র প্রস্তুত রাখা হয়েছে। দুর্গতদের জন্য শুকনো খাবার ও রান্না করা খাবারের জন্য সাড়ে ৬ লাখ টাকা বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে।ফেনী জেলা প্রশাসক সাইফুল ইসলাম এসব তথ্য জানিয়েছেন।
জেলা প্রশাসন সূত্রে জানা গেছে, ফুলগাজী উপজেলায় ৩২টি মাধ্যমিক বিদ্যালয় ও ৬৭টি প্রাথমিক বিদ্যালয় এবং পরশুরাম উপজেলায় ৩২টি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানকে আশ্রয়কেন্দ্র হিসেবে প্রস্তুত করা হয়েছে। আশ্রয়কেন্দ্রগুলোতে শুকনো খাবার, রান্না করা খাবার ও বিশুদ্ধ পানি নিশ্চিতে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে।
এ ছাড়া সার্বক্ষণিক পর্যবেক্ষণের জন্য জেলা ত্রাণ ও পুনর্বাসন শাখায় ২৪ ঘণ্টার কন্ট্রোল রুম (মোবাইল নম্বর-01818-444500, 01336-586693 ) খোলা হয়েছে।
জেলা প্রশাসক সাইফুল ইসলাম বলেন, ফুলগাজী ও পরশুরাম উপজেলায় ৪০০ করে মোট ৮০০ প্যাকেট শুকনো খাবার বিতরণ করা হয়েছে। পাশাপাশি দুর্গতদের মাঝে রান্না করা খাবার সরবরাহের জন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে।
ফেনী আবহাওয়া অফিসের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. মজিবুর রহমান বলেন, জেলায় টানা দুই দিন ধরে মাঝারি ও ভারী বৃষ্টিপাত হচ্ছে। মঙ্গলবার (৮ জুলাই) রাত ১২টা পর্যন্ত ২৪ ঘণ্টায় সর্বোচ্চ ৪৪১ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে। যা বিগত কয়েক বছরে সর্বোচ্চ।
ফেনীতে ভারী বৃষ্টিপাত ও ভারতের উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢলে মুহুরী ও সিলোনিয়া নদীর ১১টি স্থানে ভাঙন সৃষ্টি হয়েছে। বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধ ভেঙে লোকালয়ে পানি প্রবেশ করে প্রায় ২০টি গ্রাম প্লাবিত হয়েছে। ভোগান্তিতে পড়েছেন হাজারো মানুষ।
ফেনীর উত্তরাঞ্চলে মুহুরী, কহুয়া ও সিলোনিয়া নদীর ৮ স্থানে ভেঙেছে বাঁধ। গতকাল মঙ্গলবার সন্ধ্যা থেকে ভাঙন শুরু হয়। কোথাও কোথাও নদীর পানি বেড়িবাঁধের উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। ফুলগাজী ও পরশুরাম উপজেলায় কমপক্ষে ২০টি গ্রাম প্লাবিত হয়েছে। এর ফলে পরশুরাম সড়কে যান চলাচল বন্ধ হয়ে গেছে। তীব্র গতিতে বাড়ছে পানি। এখানকার বাসিন্দারা চরম অবর্ণনীয় দুর্ভোগের মধ্যে রাত কাটিয়েছেন।
এদিকে, ফুলগাজীতে দেড়পাড়া, শ্রীপুর, মুন্সিরহাট, বরইয়া, নিলক্ষীসহ ১০টি গ্রাম প্লাবিত হয়েছে। ফুলগাজী বাজারে পানি ঢুকে দোকানপাট পানিতে নিমজ্জিত হয়েছে। পরশুরাম উপজেলার উত্তর ধনীকুন্ডা, মধ্যম ধনীকুন্ডা, রামপুর, দুর্গাপুর ও রতনপুর প্লাবিত হয়েছে। এ ছাড়া পরশুরামের বল্লামুখায় ভারতের অংশে বাঁধ ভেঙে বাংলাদেশ অংশে পানি ঢুকছে।
পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী আকতার হোসেন জানিয়েছেন, মুহুরী নদীর পানি বিপদসীমার ১৩৭ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।
গত দুই দিনের টানা বর্ষণে ফেনী শহরের বিভিন্ন এলাকায় জলাবদ্ধতা সৃষ্টি হয়েছে। এসব এলাকা থেকে এখন পানি কমতে শুরু করেছে। তবে যেসব নিচু এলাকা রয়েছে, সেসব নিচু ঘরগুলো থেকে পানি কমলেও এখনো বসবাসের উপযোগী হয়নি। চরম ভোগান্তিতে রাত পার করছেন তারা।
ভিওডি বাংলা/ এমএইচ
ষড়যন্ত্র করে কোন লাভ হবে না: কামরুল হুদা
চৌদ্দগ্রাম (কুমিল্লা) প্রতিনিধি
কুমিল্লা দক্ষিণ জেলা বিএনপির যুগ্ম আহবায়ক মোঃ …

শ্লোগান দিতে দিতে মাটিতে লুটিয়ে পড়লেন মহিলাদল নেত্রী
পাবনা প্রতিনিধি
বিএনপি নেতার কারামুক্ত সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে মিছিল শেষে হৃদযন্ত্রের …

কুড়িগ্রামে মৎস্য চাষিদের মাঝে মাছের পোনা বিতরণ করেন ডিসি
কুড়িগ্রাম প্রতিনিধি
মাছের উৎপাদন বৃদ্ধির লক্ষ্যে মৎস্য চাষিদের মাঝে মাছের …
