বাঁশখালীতে ভেঙে পড়লো বাঁশের সাঁকো, জনদূর্ভোগে ৩০ হাজার মানুষ


বাঁশখালী(চট্টগ্রাম) প্রতিনিধি
বাঁশখালীতে ছনুয়া খালের ওপর স্থাপন করা সাঁকো ভেঙে যাওয়ায় দুই ইউনিয়নের অন্তত ৩০ হাজার মানুষকে দূর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে।
জানা যায়, দীর্ঘদিন ধরে বাঁশখালীর উপজেলার ছনুয়া ও পেকুয়া উপজেলার রাজাখালীর মানুষকে ছনুয়া খাল পারাপারে দুর্ভোগ পোহাতে হতো। প্রাকৃতিক দুর্যোগে খাল পারাপারে দুর্ভোগের সীমা ছিল না স্থানীয়দের। দীর্ঘদিনের দুর্ভোগ লাঘবে ২০২৪ সালের মাঝামাঝি সময়ে ছনুয়া খালে চট্টগ্রাম জেলা পরিষদের সহায়তায় প্রায় ৪ লক্ষ টাকা ব্যয়ে বাঁশের সাঁকো স্থাপন করে ছনুয়া উন্নয়ন পরিষদ নামে একটি সামাজিক সংগঠন।
এতে করে রাজাখালী ফৈজুন্নেছা উচ্চ বিদ্যালয় অ্যান্ড কলেজ, রাজাখালী ফৈজুন্নেছা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় এবং রাজাখালী বিইউআই কামিল মাদ্রাসার শিক্ষার্থীসহ দুই ইউনিয়নের মানুষের দীর্ঘদিনের ভোগান্তি দূর হয়। রবিবার (২৯ জুন) ভোরে এলাকাবাসীর স্বপ্নের সাঁকোটি আচমকা পানিতে নুইয়ে পড়ে।
স্থানীয়রা জানান, স্থাপনের ৯ মাসের মধ্যে লবণ বোঝাই দুটি বিশালাকৃতির ট্রলার নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে সাঁকোতে আঘাত হানে। ফলে সাঁকোটি লণ্ডভণ্ড হয়ে যায়।
স্থানীয় বাসিন্দা সাইফুল আলম বলেন, সাঁকোটি স্থাপন হওয়ার পর প্রসূতি মায়েদের আনা-নেওয়ার যে দূর্ভোগ ছিল, তা কমে গেছে। স্বাধীনতার ৫৪ বছর পর ওই স্থানে সাঁকো স্থাপন হওয়ায় আমরা খুব খুশি হয়েছিলাম। এখন আমাদের স্বপ্নের সাঁকোটি তছনছ হয়ে গেল।
রাজাখালী ফৈজুন্নেছা উচ্চ বিদ্যালয় অ্যান্ড কলেজের অধ্যক্ষ মোহাম্মদ ইউসুফ বলেন, তিনটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীদের জন্য আর্শীবাদ ছিল সাঁকোটি। খেয়াঘাটে তো সবসময় নৌকা মিলে না। এখন আমাদের ছাত্র-ছাত্রীদের যাতায়াতে চরম দূর্ভোগ পোহাতে হবে।
ছনুয়া উন্নয়ন পরিষদের প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক মোহাম্মদ বেলাল উদ্দিন বলেন, সাঁকো স্থাপনের আগে ছনুয়া খালের ওই স্থান হয়ে মানুষ নৌকাযোগে পারাপার করতো। কিন্তু রাত ৮টায় খেয়া পারাপার বন্ধ হয়ে গেলে মানুষের চরম দূর্ভোগ পোহাতে হতো। তাই আমরা দূর্ভোগ লাঘবে আমাদের সংগঠনের পক্ষ তদবির করে ২০২৩-২৪ অর্থ চট্টগ্রাম জেলা পরিষদ ২ লাখ টাকার একটি প্রকল্পের এবং ছনুয়া উন্নয়ন পরিষদের পক্ষে ২ লাখ টাকাসহ ৪ লাখ টাকায় সাঁকোটি নির্মিত হয়েছিল।
ছনুয়া উন্নয়ন পরিষদের সভাপতি মো. আমিরুল হক এমরুল কায়েস বলেন, সাঁকো স্থাপনের ৯ মাসের মধ্যে দুটি লবণ বোঝাই বোটের আঘাতে সাঁকোটি ক্ষতিগ্রস্ত হয়। ফলে খুঁটির ভিত্তি নড়বড়ে হয়ে গেছে। এখন সাঁকোটি ভেঙে দুটি ইউনিয়নের প্রায় ৩০ হাজার মানুষের যোগাযোগ ব্যবস্থা অনিশ্চিত হয়ে গেল।
বাঁশখালী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) জামশেদুল আলম বলেন, সাঁকোটির ছবিটি আমি দেখছি। এখন তো বড়সড় উদ্যোগ গ্রহণের মতো বরাদ্দ উপজেলা পরিষদের নেই। বরাদ্দ আসলে যতটুকু সম্ভব ওই সাঁকোর জন্য বরাদ্দ দেওয়া হবে।
ভিওডি বাংলা/ এমএইচ
অষ্টগ্রামে বিএনপি’র দুই গ্রুপের সংঘর্ষে আহত ৩৫
কিশোরগঞ্জ জেলা প্রতিনিধিঃ
কিশোরগঞ্জের অষ্টগ্রামে ইউনিয়ন বিএনপি নেতা কামাল পাশা …

ভাঙ্গুড়ায় আ.লীগ নেতা রঞ্জু আটক
ভাঙ্গুড়া (পাবনা) প্রতিনিধি
পাবনার ভাঙ্গুড়া উপজেলা পরিষদের সাবেক ভাইস চেয়ারম্যান …
