জামায়াত কর্মীর বিরুদ্ধে মামলা বাণিজ্য ও চাঁদাবাজির অভিযোগ


লক্ষীপুর প্রতিনিধি
লক্ষ্মীপুরে মামলার হুমকি দিয়ে চাঁদাবাজির অভিযোগ উঠেছে মেহেদী হাসান তুষার নামের এক যুবকের বিরুদ্ধে। তিনি নিজেকে জামায়াত কর্মী দাবি করলেও জামায়াত বলছে তুষার দলের কেউ নয়। তুষার লক্ষ্মীপুর পৌর শহরের ৬ নং ওয়ার্ডের বাহার ভেন্ডারের ছেলে।
সম্প্রতি শরিফুল ইসলাম নামের এক কৃষক লীগ নেতাকে মামলার হুমকি দিয়ে তিন লাখ টাকা আত্মসাৎ করে তুষার। পরবর্তীতে সাংবাদিকদের কাছে অভিযোগ করে শরীফুল ইসলাম বলেন, তুষার বিভিন্ন সময় সমন্বয়ক ও শিবির পরিচয় দিয়ে আমাকে ব্ল্যাকমেইল করে তিন লাখ টাকা নিয়েছে। সে আমাকে পুলিশে ধরিয়ে দিবে, মামলা দিবে বলে ব্ল্যাকমেইল করেছে এবং হুমকি ধমকি দিচ্ছে।
সাবেক স্কুল শিক্ষক আবুল হোসেন বলেন, বাহার ভেন্ডারের ছেলে তুষার কয়েকটি মোটরসাইকেল নিয়ে এসে বাগবাড়ি এলাকা থেকে আমাকে তুলে নিয়ে যায়। রসুলগঞ্জ থেকে আরও ভিতরের নদীর পাড়ে আমাকে ৪ ঘণ্টা আটক রেখে ১ লাখ ৪৭ হাজার টাকা আদায় করে তুষার। কথা ছিলো আমাকে ছেড়ে দিবে কিন্তু ছেড়ে না দিয়ে লক্ষ্মীপুর বালিকা বিদ্যানিকেতনের সামনে এনে পুলিশ ডেকে তুলে দেয়। এ ঘটনায় আমার স্ত্রী স্কুল শিক্ষক হাসিনা আক্তার তুষারের বিরুদ্ধে অপহরণের মামলা দায়ের করেছে। সেই মামলায় তার বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি হয়।
এছাড়া তুষারের বিরুদ্ধে রয়েছে জমি দখলের অভিযোগ। ৩০ বছর আগে প্রবাসী ওমর ফারুকের ক্রয়কৃত দোকান ঘর জোরপূর্বক দখল করে নেয় তুষার ও তার বাবা বাহার ভেন্ডার। প্রবাসী ওমর ফারুকের ছেলে আহমেদ ফাহাদ বলেন, লক্ষ্মীপুর বাজারের ভেন্ডার বাড়ির সামনে দীর্ঘ ৩০ বছর যাবত আমরা দোকানঘর ভোগ-দখল করে আসছি। কিন্তু সম্প্রতি তুষার ও তার বাবা জোরপূর্বক আমাদের দোকান দখল করে নেয়। আমার বাবা অসুস্থ হওয়া কোন ব্যবস্থা নিতে পারিনি। এছাড়া থানা-পুলিশ করেও কোনো লাভ হয়নি। বরং বিভিন্ন সময় আমাকে হুমকিধমকি দিয়ে আসছে তুষার। আমরা এর প্রতিকার চাই।
অভিযোগের বিষয়ে মেহেদী হাসান তুষার বলেন, আমি জামায়াত নেতা বা কর্মী সেটা সময়ের পরিপ্রেক্ষিতে দেখা যাবে। তবে এজাহারের বিষয়ে আমার কোনো সম্পৃক্ততা নেই। আমার বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র হচ্ছে। তাছাড়া অন্য যে অভিযোগগুলো আনা হয়েছে তাও মিথ্যা। একটি মহল আমার বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র এবং অপপ্রচার করছে।
লক্ষ্মীপুর পৌর জামায়াতের আমির আবুল ফারাহ নিশান বলেন, তুষারের বিরুদ্ধে আমরা অভিযোগ শুনেছি, তবে কোনো সুনির্দিষ্ট অভিযোগ পাইনি। এছাড়া সে জামায়াতের কেউ না। সে জামায়াতের কর্মীও না, কোনো দায় দায়িত্বেও নেই। সে যদি জামায়াতের নাম ব্যবহার করে কোনো অপকর্ম করে থাকে তাহলে তার বিরুদ্ধে প্রশাসন যাতে যথাযথ ব্যবস্থা নেয়।
এ বিষয়ে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) মো. রেজাউল হক বলেন, যে এজাহারটি ঘুরপাক খাচ্ছে তা ভুয়া। এছাড়া চাঁদা দাবির বিষয়ে আমাদের কাছে এমন কোনো অভিযোগ নেই। অভিযোগ পেলে আমরা যথাযথ ব্যবস্থা নেবো।
ভিওডি বাংলা/ডিআর
স্ত্রীকে তালাকের পর দুধ দিয়ে গোসল করলেন শাকিল!
নাটোর প্রতিনিধি:
নাটোরের নলডাঙ্গায় স্ত্রী তালাক দেয়ায় প্রায় এক মণ …

মাদারীপুর স্টেডিয়াম মাদকের স্বর্গরাজ্য! প্রশাসনের নীরবতায় উদ্বিগ্ন স্থানীয়রা
মাদারীপুর প্রতিনিধি:
এক সময়ের প্রাণচাঞ্চল্যপূর্ণ ক্রীড়াঙ্গন মাদারীপুর জেলা স্টেডিয়াম …

সাইমুম সাজিদের বাড়িতে হামলার অভিযোগ আ.লীগ সমর্থকদের বিরুদ্ধে
পাবনা প্রতিনিধি:
ভারত ও ফ্যাসিস্ট বিরোধী কনটেন্ট তৈরি করায় পাবনার …
