লন্ডনের বৈঠক পছন্দ না হওয়ায় আলোচনায় আসেনি একটি দল: ফখরুল


জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক
বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর প্রতি ইঙ্গিত করে বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, লন্ডনে ড. মুহাম্মদ ইউনূস ও তারেক রহমানের বৈঠক একটি দলের পছন্দ হয়নি। এত কিছুর পরও অনেকের মন ভালো নেই, যে কারণে নারাজ হয়ে জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের মঙ্গলবারের বৈঠকে তারা হাজির হয়নি। বুধবার রাজধানীর উত্তরায় দলীয় সদস্যপদ নবায়ন কার্যক্রমের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে এ কথা বলেন তিনি।
তিনি বলেন, সংঘর্ষে না গিয়ে দুই নেতা শান্তিপূর্ণ নির্বাচনের ব্যবস্থা করেছেন। একেই বলে রাষ্ট্রনায়কোচিত নেতা। রাষ্ট্রনায়ক সব সময় জনগণের শান্তির কথা চিন্তা করে কোনো বিভাজনে না গিয়ে আমাদের একটা শান্তিপূর্ণ নির্বাচনের সুযোগ করে দিয়েছেন। অনেকের পছন্দ হয়নি। কারণ নির্বাচন হলেই তাদের বিপদ। এখন নির্বাচন নেই তাই তাদের অনেক গুরুত্ব। নির্বাচন হলে জনগণের ভালোবাসার দল ক্ষমতায় এলে তাদের গুরুত্ব কমে যাবে, এটা তারা জানে। যে কারণে ওরা নারাজ হয়েছে। এজন্য জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের বৈঠকে তারা হাজির হয়নি।
১৫ বছরে আওয়ামী লীগ সকল প্রতিষ্ঠানকে দলীয়করণ করেছে এমন অভিযোগ করে বিএনপি মহাসচিব বলেন, একটি ফ্যাসিবাদী সরকার গত ১৫ বছর ধরে আমাদের সকল প্রতিষ্ঠানকে দলীয়করণ করেছে। নির্বাচন ব্যবস্থাকে ধ্বংস করে দিয়েছে এবং প্রশাসনকে দলীয়করণ করেছে। এই ১৫ বছরে আওয়ামী লীগ যা করেছে আমরা এসব কিছুই করব না। আওয়ামী লীগের পরিণতি থেকে আমাদের শিক্ষা নিতে হবে। আমরা যেন সকলের অধিকার রক্ষা করতে পারি।
অনুষ্ঠানে তারেক রহমানের বিচক্ষণতার প্রশংসা ও ড. ইউনূসের প্রতি কৃতজ্ঞতা জ্ঞাপন করে লন্ডনের বৈঠককে ‘ঐতিহাসিক’ উল্লেখ করে মির্জা ফখরুল বলেন, আমরা ডিসেম্বরে নির্বাচনের কথা বলেছিলাম, আর ইউনূস সাহেব বলেছিলেন এপ্রিলে। এখানে এক প্রকার দ্বিধাদ্বন্দ্ব ছিল। কিন্তু তারেক রহমানের বিচক্ষণতা দেখেন, তিনি দেশের স্বার্থে সিদ্ধান্ত পরিবর্তন করেছেন, যাতে কোনো বিপদ না আসে। এমন বিচক্ষণ নেতা খুব কমই আছে। তাই তারেক রহমান ও ড. ইউনূসকে এজন্য ধন্যবাদ জানাই।
গতকাল জামায়াতে ইসলামীর ঐকমত্য কমিশনে অনুপস্থিতির প্রসঙ্গে টেনে বিএনপি মহাসচিব বলেন,
অনুষ্ঠানে নিজের বয়স এবং দলের তরুণ নেতৃত্বের প্রয়োজনীয়তা নিয়ে ফখরুল বলেন, আমাদের বয়স হয়েছে। যে কারণে বক্তব্য শুরু করতে আমার সময় লেগেছে। তার মানে আমাদের বয়স হওয়ায় কর্মক্ষমতা কমে গেছে। তাই আমাদের জায়গায় তরুণদের আসতে হবে, তাদের সুযোগ করে দিতে হবে। তরুণদের নেতৃত্বকে আরও শক্তিশালী করতে হবে। নেতৃত্বের প্রতিযোগিতা থাকতে হবে।
এ সময় নেতাকর্মীদের উদ্দেশে ফখরুল বলেন, যারা আওয়ামী লীগের মতো আচরণ করে, জোর করে অধিকার হরণ করে, চাঁদাবাজি করে- তারা তো আওয়ামী লীগের মতো হয়ে যাবে। এগুলো করা যাবে না। আমরা একটা নতুন বাংলাদেশ চাই, পরিবর্তন চাই। আওয়ামী লীগের আগের মতো দুঃশাসন চাই না।
সদস্য নবায়ন কর্মসূচিতে মির্জা ফখরুল সতর্ক করে বলেন, আজকে যে সদস্য নবায়ন করা হচ্ছে সেখানে যেন কোনো আওয়ামী লীগ না থাকে। কারণ এটা পরীক্ষিত, আওয়ামী লীগের কেউই ভালো না। আওয়ামী লীগ নিজের স্বার্থ ছাড়া আর কারো স্বার্থ দেখতে পারে না। তাই তাদের কাউকে দলে নেওয়া যাবে না। তবে নিরপেক্ষ কেউ থাকলে তাকে অবশ্যই দলে আসার জন্য আহ্বান জানানো হবে।
অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ঢাকা মহানগর উত্তর বিএনপির আহ্বায়ক আমিনুল হক।
ভিওডি বাংলা/ এমপি
এনসিপির জুলাই পদযাত্রা সমাপ্ত
জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) দেশ গড়তে জুলাই পদযাত্রা কর্মসূচি সমাপ্ত …

দুই ছাত্র উপদেষ্টার বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র চলছে: নাহিদ ইসলাম
জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) আহ্বায়ক নাহিদ ইসলাম বলেছেন, অন্তর্বর্তী সরকারের …

মেহরিন চৌধুরীর পরিবারকে সমবেদনা জানাল বিএনপি
রাজধানীর উত্তরায় মাইলস্টোন স্কুল অ্যান্ড কলেজের মর্মান্তিক বিমান দুর্ঘটনায় নিহত …
