সমবায় অফিসের নেই কোন পদক্ষেপ
কুমারখালীতে সমবায় সমিতির আড়ালে চলছে সুদের ব্যবসা


কুমারখালী (কুষ্টিয়া)প্রতিনিধি
কুষ্টিয়া কুমারখালী উপজেলায় সমবায় সমিতির নামে আইন বহির্ভূতভাবে ঋণ দিয়ে কিস্তি আদায়ের মাধ্যমে চলছে রমরমা সুদের ব্যবসা। শতকরা ২০–৩০ টাকা পর্যন্ত সুদ আদায়সহ বার্ষিক মেয়াদের পরিবর্তে মাসিক মেয়াদে সুদাসল আদায় করা হচ্ছে। উপজেলায় এক শ' আট টি সমবায় সমিতি রয়েছে। এর অনেক গুলোর কার্যক্রম চোখে পড়ে না।
উচ্চ আদালত সমবায় সমিতির নামে অনিবন্ধিত সুদের ব্যবসা বন্ধে একটি নির্দেশনা আছে। এতেও বন্ধ হয়নি সমবায় নামে সুদের ব্যবসা।
-অনুসন্ধানে জানা যায়, কুমারখালীতে অনিয়ম করে চলছে নামে-বেনামে বেশকিছু সমিতির কার্যক্রম। ইতিমধ্যে কোটি টাকা নিয়ে লাপাত্তা হয়েছে কুমারখালী আলাউদ্দিন নগরের বিশ্বাস ফাউন্ডেশন নামে একটি সমিতি। এছাড়াও কুমারখালীর বিভিন্ন এলাকায় বেশ কিছু সমিতি কোটি কোটি টাকা নিয়ে উধাও হওয়ার ঘটনা ঘটছে।
উপজেলায় যত্রতত্র সমিতির কার্যক্রম বিদ্যমান। তারা লাখ লাখ টাকা এফডিআর, প্রতিদিনের কিস্তি, মোটা অঙ্কের সুদের বিনিময়ে দাদন ব্যবসা ও ব্যাকিং কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছে। সব সমিতিতে আমানত সুরক্ষা নিবন্ধক ও সমিতির যৌথ স্বাক্ষর থাকার বিধান আছে। ঝুঁকিপূর্ণ সমিতর তালিকা নেই উপজেলা অফিসে।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একাধিক ব্যক্তি বলেন, কুমারখালী উপজেলা সমবায় সমিতির কর্মকর্তা ও কর্মচারীরা এই বিষয়ে কোনো পদক্ষেপ নিতে দেখা যায় না। আমাদের কুমারখালী উপজেলা থেকে প্রায়ই কোটি কোটি টাকা হাতিয়ে নিচ্ছে এই চক্র। সুদের জালে পেঁচিয়ে সর্বোচ্চ বিক্রি করে অসহায় হচ্ছে সাধারণ মানুষ।
স্থানীয় গ্রাহকেরা এসব সমিতির খপ্পরে পড়ে অতিরিক্ত সুদ দিয়ে দিশেহারা হয়ে পড়ছেন। এসব সমিতির খপ্পরে পড়ে বিশেষ ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন নিম্ন আয়ের মানুষেরা। সমবায় সমিতির নামে এসব এনজিওর খপ্পরে পড়ে স্বল্প সময়ের ঋণ পরিশোধের ফলে পুঁজি হারিয়ে সর্বস্বান্ত হয়ে পড়ছেন অনেকে।
দেখা গেছে, সমবায়ের লাইসেন্স নিয়ে উপজেলার বিভিন্ন ইউনিয়নের হাটবাজারে ব্যাঙের ছাতার মতো গড়ে উঠেছে অসংখ্য এনজিও। তাঁরা মেয়াদি আমানতসহ চড়া সুদে তাঁদের সমিতির বাইরেও বিভিন্ন লোককে দিচ্ছেন ঋণ। খালি চেকে স্বাক্ষর রেখে তাঁদের ঋণ দেওয়ার ঘটনা এ উপজেলায় খোলামেলা। অভিযোগ রয়েছে সমবায়ের আদলে গড়ে ওঠা এসব এনজিওগুলো সংশ্লিষ্ট কর্তাব্যক্তিদের ম্যানেজ করে সমিতি চালাচ্ছেন।
কুমারখালী থানা মোড়ের তালাচাবির মিস্ত্রী হামিদুল বলেন , তিনি বাজারের একটি ডেলি সমিতি থেকে ঋণ নিয়েছে ১৫ হাজার টাকা । প্রতিদিন কিস্তি ১৫০ টাকা ও সঞ্চয় দিতে হয়। আমার টাকা আমাদের কে ঋণ দেচ্ছে তারা। প্রতি মাসে প্রায় ৫০০ টাকা করে সুদ দিতে হয় , ৪ মাস পর্যন্ত।
কুমারখালী কণ্যালপুর মৃৎশিল্প সমবায় সমিতির, বটো পাল বলেন , কিছু মানুষ আছে যারা পূজিপতি তারা সমবায় সমিতির আড়ালে সুদে ব্যবসা করছে। এই অঞ্চলের বেশ কিছু কোম্পানি সমবায় সমিতির নাম দিয়ে গ্রাহকদের কাছ থেকে বেশি সুদের ডিপোজিট এর নাম করে । গ্ৰাহকদের কাজ থেকে কোটি -কোটি টাকা নিয়ে লাপাত্তা হয়েছে। এর কারণে আমাদের মত মানুষের চরম সমস্যা তৈরি হচ্ছে। এই বিষয়গুলো সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের দেখা উচিত।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একাধিক ব্যক্তি বলেন, সমবায় নাম দিয়ে কুমারখালী বাজার, আলাউদ্দিন নগর সহ উপজেলার প্রায় ৫০ থেকে ৬০ টি সমিতি ঋণ দিয়ে কোটি কোটি টাকা সুদা আদায় করছে সাধারণ মানুষের থেকে। এই বিষয়ে প্রশাসন কোন ব্যবস্থা নেয় না। এই এনজিও গুলো মানুষের কাছ থেকে ডিপোজিট এবং প্রতিদিন টাকা তুলে সেই টাকা নিজেরা খাটিয়ে লাভবান হচ্ছে।
অমল কুমার পাল উপজেলা সমবায় সমিতির সভাপতি বলেন , যারা নিয়মিত কাজ করছে না তাদের বিরুদ্ধে আমরা কিছুই করতে পারি না। সমবায় উপজেলা কার্যালয় যদি এর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা না নেয় তাহলে সমবায় সমিতির নামে সুদে ব্যবসা বন্ধ হবে না।
উপজেলা সমবায় অফিসার মোছাঃ জহুরা খানম জানান, বর্তমানে উপজেলায় ১০৮ টি সমবায় সমিতি নিবন্ধন রয়েছে। অনিয়মের অভিযোগ কেউ আমাদের কাছে দেয়নি। কোন অনিয়মের অভিযোগ পেলে উর্দ্ধতন কর্মকর্তাদের পরামর্শে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
কুমারখালী উপজেলা নিবার্হী কর্মকর্তা মিকাইল ইসলাম বলেন, যারা সমবায় সমিতির নিবন্ধন নিয়েছে। তাদের কার্যক্রম তদারকি করা যায় সেই বিষয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। কারো বিরুদ্ধে অভিযোগ পেলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
ভিওডি বাংলা/এম
চিকিৎসা নিতে এসে খোয়াচ্ছে টাকা
কুমারখালী (কুষ্টিয়া) প্রতিনিধি:
কুষ্টিয়ার কুমারখালী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসা সেবা …

চিলমারীতে ডায়রিয়া-জ্বরে ভোগান্তি, হাসপাতালে স্যালাইন সংকট
কুড়িগ্রাম জেলা প্রতিনিধিঃ
কুড়িগ্রামের চিলমারীতে কয়েকদিন ধরে তীব্র ভ্যাপসা গরমে …

কিছু সাংবাদিক পরিকল্পিতভাবে অপতথ্য প্রচার করছেন: নার্গিস বেগম
যশোর প্রতিনিধি
বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান অধ্যাপক নার্গিস বেগম বলেছেন, ‘হাসিনার সুবিধাভোগী …
