সংস্কার-বিচার
শর্ত পূরণ করে নির্বাচন বিএনপির জন্য চ্যালেঞ্জ


জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক
ফেব্রুয়ারীর প্রথমার্ধে ভোটের নিশ্চয়তা বিএনপির জন্য কিছুটা স্বস্তির হলেও আছে শর্তপূরণের চাপ। বিচার ও সংস্কারের মতো বিষয়গুলো বাস্তবায়নের চ্যালেঞ্জ অন্তর্বর্তী সরকার বিএনপির ঘাড়েই তুলে দিয়েছে বলে মনে করছেন বিশ্লেষকরা। এক্ষেত্রে অন্য রাজনৈতিক শক্তির কতটুকু আস্থা আর সমর্থন মিলবে সে প্রশ্নের উত্তরও খুঁজতে হবে বিএনপিকে।
গত শুক্রবার দেশবাসীর নজর ছিল লন্ডনে। নির্বাচনের সময়সীমা, বিচার ও সংস্কার প্রস্তাবের ভবিষ্যত অনেকটাই নির্ভর করছিল ড. ইউনূস-তারেক রহমানের বৈঠকের ওপর।
সৌহার্দ্যপূর্ণ বৈঠকের পর জানা গেলো দু’পক্ষেরই সন্তুষ্টির কথা। বলা হলো- বিচার ও সংস্কার প্রক্রিয়া এগুলে ফেব্রুয়ারির প্রথমার্ধে হতে পারে ত্রয়োদশ জাতীয় নির্বাচন। অনেকেরই মত রাজনীতির পাশা খেলায় বিএনপি এগিয়ে থাকলো। কিন্তু এগিয়ে থাকার স্বস্তি সঙ্গে এনেছে কিছু চ্যালেঞ্জও। জুলাই আন্দোলনে মানবতাবিরোধী অপরাধের বিচার, সংবিধান, জনপ্রশাসন, নির্বাচন, বিচার বিভাগ ও দুর্নীতি দমনসহ অন্য কমিশনের মৌলিক সংস্কার এর সব কিছুর বাস্তবায়নের ভার নিতে হবে বিএনপিকেই।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উন্নয়ন অধ্যয়ন বিভাগের অধ্যাপক ড. আসিফ শাহান বলেন, বিএনপিকে হয়তো প্রমাণ করতে হবে যে তারা সংস্কারের প্রতি আন্তরিকভাবে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। কিছু গুরুত্বপূর্ণ সংস্কার নিয়ে তাদের একমত হতে হবে, যা ক্ষমতার ভারসাম্যের সঙ্গে সরাসরি যুক্ত। তা না হলে সরকার সহজেই বলতে পারবে, ‘সংস্কারগুলো শর্ত হিসেবে ছিল, যেহেতু তা বাস্তবায়ন হয়নি, তাই ফেব্রুয়ারিতে নির্বাচন সম্ভব নয়।’
রাজনৈতিক ঘটনাপ্রবাহে একটি বিষয় স্পষ্ট যে অন্য রাজনৈতিক শক্তিগুলোর সমর্থন আস্থা ছাড়া বিএনপির জন্য সামনের পথচলা খুব একটা মসৃণ হবে না। এই চ্যালেঞ্জ কিভাবে উৎরাবে দলটি সেই পথনকশাও মাথায় রাখার পরামর্শ এই বিশ্লেষকের।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উন্নয়ন অধ্যয়ন বিভাগের এ অধ্যাপক আরও বলেন, নির্বাচন পরবর্তী সময়ে যখন সংসদে সংবিধান সংশোধন হবে বা পুনরায় লেখা হবে। এ দুটোর যেটাই হোক না কেন, সে জায়গাতে এসে যদি দেখা যায় যে, বিএনপি তাদের পূর্বের প্রতিশ্রুতির কোনো কিছুই বাস্তবায়ন করছে না বা যে প্রেক্ষাপটে ৫ আগস্টের গণঅভ্যুত্থান আমরা দেখেছি সেটার সঙ্গে বিএনপি পুরোপুরি রিজেক্ট করছে সেই কেসটা কিন্তু বিএনপির বিরুদ্ধে বানানো রাজনৈতিক দলগুলোর জন্য অনেক সহজ হয়ে যাবে।
এই বিশ্লেষকের মতে, বিচার-সংস্কারের বিষয়গুলো স্পর্শকাতর। সুনিপুণভাবে এগুলো বাস্তবায়ন না করা গেলে-শঙ্কা আছে রাজনৈতিক মতবিরোধ-সংঘাতে রূপ নেয়ার।
ভিওডি বাংলা/ এমএইচ
উপদেষ্টাদের গাড়ি আটকে বিক্ষোভ, যুবদল নেতা বহিষ্কার
নিজস্ব প্রতিবেদক
সিলেটের গোয়াইনঘাট উপজেলা যুবদলের যুগ্ম আহ্বায়ক জাহিদ খানকে …

ছাত্রদলের কমিটিতে ছাত্রলীগদের পুনর্বাসন
ক্যাম্পাস প্রতিনিধি:
মানারাত ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটিতে ছাত্রদলের কমিটিতে নিষিদ্ধ ছাত্রলীগের নেতাকর্মীদের …

জাপা থেকে জিএম কাদেরের মাইনাস হওয়ার গুঞ্জন
ডেস্ক রিপোর্ট
আবারও বড় ধরনের ভাঙনের মুখে জাতীয় পার্টি। তবে …
