• ঢাকা বুধবার, ১৮ ডিসেম্বর ২০২৪, ৩ পৌষ ১৪৩১

বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থীদের ভাবনায় ঈদুল আজহা

   ৬ জুন ২০২৫, ০৩:০৪ পি.এম.
সুন্দর উদ্যোগগুলো সমাজকে সত্যিকারের মানবিক করে তোলে। ছবি: ভিওডি বাংলা

ইবি প্রতিনিধি

মুসলিমদের জন্য ঈদুল আজহা পরম আনন্দের একটি দিন। প্রতি বছর ত্যাগের মহিমায় আমাদের অন্তরের পরিশুদ্ধতা দিতে আগমন ঘটে পবিত্র ঈদুল আজহার। এই ঈদ দিয়ে যায় ত্যাগ, আত্মসমর্পণ ও সহমর্মিতার মহান শিক্ষা। পরিবার থেকে দূরে থাকা মানুষগুলো এই দিনটার জন্য অধীর আগ্রহে দিন পার করে। ক্লাস,প্রেজেন্টেশন এসাইমেন্ট, টিউটোরিয়াল চাপে ব্যস্ত থাকা বিশ্ববিদ্যালয় পড়ুয়া শিক্ষার্থীদের জন্য এই ঈদের ছুটি মানে আপন মানুষ গুলোর সাথে সঙ্গে আনন্দ ভাগাভাগির এক অনবদ্য সুযোগ। এবারের ঈদুল আজহা নিয়ে ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের ভাবনা তুলে ধরেছেন মো. সামিউল ইসলাম। 

ত্যাগের আলোয় ঈদের আনন্দ

পবিত্র ঈদুল আজহা—এই দিনটি শুধুমাত্র একটি ধর্মীয় উৎসব নয়, এটি ত্যাগ, আত্মসমর্পণ ও নিঃস্বার্থ ভালোবাসার এক উজ্জ্বল প্রতীক। ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের একজন শিক্ষার্থী হিসেবে ঈদের দিনটি আমার জীবনে অনন্য তাৎপর্য বহন করে। তবে এবারের ঈদটা আরও বিশেষ, কারণ আমি বাবা-মা, ভাই-বোন ও এলাকার প্রিয় মানুষদের সঙ্গে নিজ বাড়িতে কাটাচ্ছি এই পবিত্র দিনটি।

ঈদুল আজহার আসল শিক্ষা হলো আল্লাহর সন্তুষ্টির জন্য নিজের সবচেয়ে প্রিয় জিনিসটি ত্যাগ করতে পারা। হযরত ইব্রাহিম (আ.) ও ইসমাইল (আ.)-এর সেই ঐতিহাসিক আত্মত্যাগ আজও আমাদের অনুপ্রাণিত করে ঈমানের শুদ্ধতায় পৌঁছাতে।

ঈদের দিন সকালে নামাজ শেষে, পরিবারের সঙ্গে একসাথে বসে নাস্তা করা, বাবার সঙ্গে কুরবানির পশু জবাইতে সহযোগিতা করা, আর মায়ের হাতের রান্না—এই সবকিছুতেই এক অদ্ভুত প্রশান্তি আছে। ভাই-বোনদের সঙ্গে হাসি-আনন্দে কাটানো সময়গুলো যেন হৃদয়ের গভীরে এক মধুর স্মৃতি হয়ে গেঁথে যায়।

এলাকার ছোট-বড় সবাই মিলে ঈদের আনন্দ ভাগাভাগি করি। কুরবানির গোশত পাড়া-প্রতিবেশী ও গরীব-অসহায়দের মধ্যে বিতরণ করতে গিয়ে মনে হয়, আমরা সবাই যেন এক পরিবার। কেউ হাসছে, কেউ খাচ্ছে, কেউ সহযোগিতা করছে—এই মিলনমেলাই ঈদের সবচেয়ে বড় সৌন্দর্য।

আমার কাছে ঈদুল আজহার সবচেয়ে মূল্যবান শিক্ষা হলো—ত্যাগে রয়েছে প্রকৃত আনন্দ। এই ত্যাগের চেতনা শুধু কুরবানির পশুর মধ্যেই সীমাবদ্ধ নয়, বরং জীবনের প্রতিটি ক্ষেত্রে আমাদের দায়িত্ব, সহানুভূতি ও পরোপকারে তা প্রতিফলিত হওয়া উচিত।

আল্লাহর প্রতি অগাধ ভালোবাসা, পরিবার ও সমাজের প্রতি দায়িত্ববোধ এবং নিঃস্বার্থভাবে অন্যের পাশে দাঁড়ানোর মানসিকতা—এই সবই আমি ঈদুল আজহার মাধ্যমে নতুন করে উপলব্ধি করি।

এই পবিত্র দিনে, আমি দোয়া করি—আল্লাহ যেন আমাদের সবাইকে এই আত্মত্যাগের মহিমা অন্তরে ধারণ করার তাওফিক দান করেন। ঈদ হোক আনন্দের, ঈদ হোক মানবতার।

মো. রোকনুজ্জামান
আইন বিভাগ, ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়, কুষ্টিয়া

ভ্রাতৃত্বের বন্ধনে ঈদ

ঈদ মানে আনন্দ, ঈদ মানে খুশি। ঈদ মানে ঈদগাহ ময়দানে ধনী গরীব এক কাতারে নামাজ আদায়ের মাধ্যমে ভ্রাতৃত্বের প্রতিষ্ঠা। ঈদ মানে সারা বছরের সকল বিভেদ ভুলে কোলাকুলির মাধ্যমে সৌহার্দ্যের বার্তা নিয়ে আসার এক অনন্য প্রতীক।

ঈদুল আজহা মুসলিম উম্মাহর কাছে হাজির হয় দ্বিগুণ আনন্দ নিয়ে। এই উৎসবে বান্দা সৃষ্টিকর্তার প্রতি ত্যাগের প্রতীকি রূপে কুরবানী দেয়। সামর্থ্যবান মুসল্লি গুনাহ মাফের উদ্দেশ্যে আল্লাহর ঘরে হাজির হন। সারা বিশ্বের হাজীরা হজ্ব পালন শেষে পশু কুরবানীর মাধ্যমে ঈদ উদযাপন করে।

সর্বস্তরের মুসলিম ঈদের সকালে এক কাতারে নামাজ আদায় শেষে বিত্তশালীরা কুরবানীর গোশত দরিদ্রদের মাঝে বিলিয়ে দেওয়ার মাধ্যমে ভ্রাতৃত্বের বন্ধন আরও সুদৃঢ় করে তোলেন।

ঈদে শিশুরা আনন্দের পাশাপাশি বড়দের সৌহার্দ্যপূর্ণ আচরণ দেখে বড় হয়। আর এভাবেই ইসলামের শুরু থেকে সমাজে ভ্রাতৃত্বের প্রতিষ্ঠা হয়ে আসছে।

সাদিয়া জান্নাত কেয়া
ইংরেজি বিভাগ , ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়, কুষ্টিয়া 


ত্যাগে গড়ে উঠুক সাম্য ও ভ্রাতৃত্বের সমাজ

ঈদ মুসলমানদের প্রধান ধর্মীয় উৎসব। ঈদুল ফিতরের পর ইসলামী বর্ষপঞ্জির শাওয়াল মাসের ১০ তারিখে পালিত হয় ঈদুল আজহা। ঈদ মানেই আনন্দ, ঈদ মানেই খুশি। তবে ঈদুল আজহা শুধুই আনন্দের উৎসব নয়, এটি আত্মত্যাগের এক মহান প্রতীক।

এই দিনে পশু কোরবানির পাশাপাশি আমাদের মনের ভেতরে জমে থাকা হিংসা, রাগ, ক্ষোভ এবং অহংকারকেও কোরবানি দিয়ে, সৌহার্দ্য আর একতায় এগিয়ে চলাটাই হওয়া উচিত আমাদের মূল লক্ষ্য।

কোরবানির পর মাংস বণ্টনের ক্ষেত্রেও থাকা উচিত সঠিক পদ্ধতি ও শরিয়াহ সম্মত দৃষ্টিভঙ্গি। বাড়ির পাশের প্রতিবেশী, আত্মীয়, দূর আত্মীয়, গরিব-দুঃখী—সবার মাঝে যেন ঈদের এই আনন্দ সমানভাবে ছড়িয়ে পড়ে, সেটাই হওয়া উচিত আমাদের কর্তব্য।

ঈদের এই মহাসময়ে সাম্য, সহমর্মিতা ও ভ্রাতৃত্বের বন্ধনে উজ্জীবিত হয়ে গড়ে উঠুক একটি সুন্দর ও সহনশীল সমাজ। তাই আসুন, সমস্ত বিভেদ ভুলে আমরা মেতে উঠি ঈদুল আযহার এই পবিত্র ও বর্ণিল আনন্দে।

ছাব্বির হোসেন বিজয় 
এনভায়রনমেন্টাল সায়েন্স এন্ড জিওগ্রাফি বিভাগ, ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়, কুষ্টিয়া 

ত্যাগ ও ধৈর্যের মহান উৎসব ইদুল আজহা

ঈদ মুসলমানদের প্রধান ধর্মীয় উৎসব।  এটি আসে আনন্দের বার্তা নিয়ে যা ধনী গরিব সবার মাঝে সর্বত্র  ছড়িয়ে পড়ে। তবে ঈদুল আজহা ব্যতিক্রম। এটিকে  কোরবানির ঈদও বলা হয়। এই ঈদেই সমগ্র পৃথিবী থেকে লক্ষ লক্ষ মুসলমান একত্রিত হয় "লাব্বাঈক আল্লাহুম্মা লাব্বাইক"  ধ্বনিতে পবিত্র কা'বা চত্বরে মুখরিত হয়। আরাফার ময়দান পৃথিবীর শ্রেষ্ঠ সম্মেলনে স্থলে পরিণত হয়। এই ঈদে আনন্দের পাশাপাশি ত্যাগের উৎকৃষ্ট মহিমা প্রত্যক্ষ করা যায়।  এই ত্যাগের নির্দেশ সর্বপ্রথম ইব্রাহিম (আ.) তার প্রিয় পুত্র ইসমাইলকে (আ.) কে স্বপ্নে কোরবানি করার মাধ্যমে পেয়েছিলেন। অতঃপর মহান আল্লাহর ইচ্ছাকে বাস্তবায়ন করতে গেলে আল্লাহ তাদের প্রতি  সন্তুষ্ট হয়ে যান এবং  ফেরেশতাগন  ইসমাইলের পরিবর্তে সেখানে জান্নাত থেকে  দুম্বা এনে দেন এবং সেটিই কোরবানি হয়ে যায়।  সেখান থেকেই মুসলমানরা প্রতিবছর  মহান আল্লাহকে সন্তুষ্টির উদ্দেশ্য তাদের সামর্থ অনুযায়ী পশু কোরবানি করে থাকে। কোরবানীকৃত পশুর গোশত আত্মীয়- স্বজন, গরিব, অসহায় সবার  মাঝে বন্টন করা হয়। কোরবানির আরেকটি শিক্ষা হলো  এটি মানুষকে আত্নসংযম শিক্ষা দেয়। এটি  মানুষেম মধ্যে লুকিয়ে থাকা সকল অসৎ গুনাবলী কে কোরবানি অর্থাৎ ত্যাগ করার   নির্দেশ দেয় ।

মোঃ রাকিবুল ইসলাম 
আরবি ভাষা ও সাহিত্য বিভাগ,  ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়, কুষ্টিয়া

কোরবানির চেতনায় গড়ে উঠুক মানবতা

মুসলিম জাতির বৃহত্তম দুটি ধর্মীয় উৎসবের একটি হচ্ছে ঈদুল আজহা। এই পবিত্র উৎসবটি আসে ত্যাগের মহিমা নিয়ে—যেখানে ব্যক্তিগত পছন্দের জিনিস আল্লাহর সন্তুষ্টির জন্য উৎসর্গ করার মধ্য দিয়ে গড়ে ওঠে তাকওয়ার প্রকৃত চর্চা। ঈদুল আযহা যেন ধনী-দরিদ্র সবার জন্য এক আনন্দের বারতা নিয়ে আসে। কোরবানির এই উৎসব আমাদের শেখায় আত্মত্যাগ ও সহানুভূতির মূল্য, যা আমরা সারাবছর পরোপকারের মাধ্যমে কাজে লাগাতে পারি।

এই আনন্দের সময় আমাদের উচিত আশপাশের খেটে খাওয়া মানুষদের প্রতিও সহমর্মিতা দেখানো—তাঁদের অন্ন জুটেছে কিনা, সেটিও খেয়াল রাখা আবশ্যক। একই সঙ্গে, পবিত্র প্রথম কিবলার সম্মান রক্ষার্থে আমাদের ফিলিস্তিনের যেসব ভাইবোনেরা নিজের প্রাণকেই কোরবানী করেছেন,তাঁদের যেন প্রার্থনায় স্মরণ রাখতে আমরা ভুলে না যায় এবং তাঁদের জীবনেও যেন ঈদের আনন্দ ফিরে আসে—এই প্রত্যাশায় রইলাম। ঈদুল আযহা হোক বিশ্ব মুসলিমের জন্য শান্তি, ত্যাগ ও মানবতার আলোকবর্তিকা।

ত্বকী ওয়াসীফ
অর্থনীতি বিভাগ, ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়, কুষ্টিয়া

ঈদের হাসি ছড়িয়ে পড়ুক প্রতিটি মুখে 

ঈদের কথা শুনতেই যেন মন খুশিতে নেচে ওঠে। একাডেমিক চাপে খুব একটা বাড়ি যাওয়া হয়ে ওঠে না। তাই ছুটির দিকে চাতক পাখির মতো চেয়ে থাকি কবে ছুটি হবে। পরিবারের সকলের সঙ্গে ঈদের আনন্দ ভাগাভাগি করে নেওয়ার মজাই আলাদা। ঈদুল আজহা আমাদের অন্যতম বড় ধর্মীয় উৎসব। এ উৎসব আমাদের ত্যাগ, আনুগত্য ও মানবতার মহান শিক্ষা দেয়। আমরা যেন সেই শিক্ষাকে অন্তরে ধারণ করতে পারি।
এই ঈদে শুধু একটি প্রাণী জবাই নয় বরং তার মাধ্যমে আমাদের হৃদয়ের পশুত্ব, অহঙ্কার, লোভ, ধর্মীয় উৎসব রিয়া, হিংসা, গর্ব ও গোনাহ জবাই করার প্রতীকী প্রতিশ্রুতি প্রদান করি।আমরা যেন এই মহামূল্যবান শিক্ষাকে অন্তরে ধারণ করতে পারি।

ঈদের আনন্দ ধনী-গরিব সবার মাঝে ছড়িয়ে পড়ুক—এই হোক আমাদের কামনা। আমাদের সমাজে এমন অনেক মানুষ রয়েছেন, যারা ঈদের দিনেও অনাহারে দিন কাটান, কিন্তু মুখ ফুটে কিছু বলতে পারেন না। আমাদের উচিত তাদের দোরগোড়ায় ঈদের  ভালোবাসা টুকু পৌঁছে দেওয়া।

মোছা. জেরিন আক্তার 
ইলেকট্রিক্যাল অ্যান্ড ইলেকট্রনিক  ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগ, ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়, কুষ্টিয়া 

ঈদের আনন্দ ছড়িয়ে যাক সবখানে 

ঈদুল আজহা মুসলিমদের জন্য একটি বড় আনন্দ ও উৎসবের দিন। এই দিনে ধর্মপ্রাণ মুসলমানেরা পশু কোরবানি করে আল্লাহর সন্তুষ্টির জন্য। তবে এই কোরবানির মূল বার্তাটি শুধুই রক্ত ঝরানো নয়, এটি এক আত্মত্যাগ, সহমর্মিতা ও মানবিকতার প্রতিচ্ছবি।
শহরের বিভিন্ন বস্তি, রেললাইন সংলগ্ন ঝুপড়ি কিংবা ফুটপাতের কোণায় ঈদের সকালটাও শুরু হয় খালি পেটে।
সত্তর বছরের জমিছা বেগম বলেন, “বছর ঘুরে ঈদ আসে ঠিকই, কিন্তু আমাদের ভাগ্যে কি আসে? যখন কেউ একটু মাংস হাতে দেয়, তখন মনে হয় আল্লাহ আমাদের মনে রেখেছেন।“

রিকশাচালক মজিদের কণ্ঠে চাপা আক্ষেপ, “নিজে কোরবানি দিতে পারি না, তবুও মেয়েটা যখন জিজ্ঞেস করে ’আমরা কি আজ গোশত খাবো?’ তখন বুকটা কাঁদে। আজকে একটা ভালো মানুষ আমাদের জন্য মাংস দিয়ে গেছে। মেয়ে খুশি- এই তো ঈদের বড় আনন্দ।”
শুধু ব্যক্তিগত নয়, নানা সংগঠন ও স্বেচ্ছাসেবী তরুণদের উদ্যোগে আজকাল অনেক বস্তি এলাকায় কোরবানির মাংস পৌঁছায়।
এই কাজগুলোই সমাজকে সত্যিকারের মানবিক করে তোলে।

ঈদের দিনে যখন শিশুর মুখে হাসি ফোটে, কোনো এক বৃদ্ধার খালি হাঁড়িতে গোশত পড়ে, কিংবা কারো তৃষ্ণার্ত দৃষ্টিতে একটু সহানুভূতি পড়ে - তখনই বোঝা যায়, কোরবানির মূল শিক্ষা কেবল পশু নয়, মনটাকেও পরিশুদ্ধ করা।এই ঈদুল আযহা হোক ত্যাগ, ভালোবাসা ও ভ্রাতৃত্ববোধের সত্যিকারের প্রতীক।

মো: রিপন ইসলাম রতন
শারীরিক শিক্ষা ও ক্রীড়া বিজ্ঞান বিভাগ, ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়, কুষ্টিয়া

ভিওডি বাংলা/ডিআর

  • দেশজুড়ে এর পাঠক প্রিয়
আরও পড়ুন
‘জামায়াত নিষিদ্ধ’ দাবিতে উত্তাল শাহবাগে আ.লীগ নিষিদ্ধের ঝড়
‘জামায়াত নিষিদ্ধ’ দাবিতে উত্তাল শাহবাগে আ.লীগ নিষিদ্ধের ঝড়
মৃত্যুর পর ‘অজ্ঞাত’ হয়ে যায় হাজারো মরদেহ
মৃত্যুর পর ‘অজ্ঞাত’ হয়ে যায় হাজারো মরদেহ
বিএনপিতে বাড়ছে দলীয় কোন্দল!
বিএনপিতে বাড়ছে দলীয় কোন্দল!