• ঢাকা বুধবার, ১৮ ডিসেম্বর ২০২৪, ৩ পৌষ ১৪৩১

ইসলামী ছাত্রশিবিরের বিবৃতি

ন্যায়বিচারের প্রথম ধাপ সম্পন্ন, রায় কার্যকর জরুরি

নিজস্ব প্রতিবেদক    ১৭ নভেম্বর ২০২৫, ০৪:৪৬ পি.এম.
ছবি: সংগৃহীত

বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্রশিবির এক যৌথ বিবৃতিতে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে জুলাই-আগস্টের ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থানে সংঘটিত মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় খুনি হাসিনা, আসাদুজ্জামান খান কামাল ও সাবেক আইজিপি চৌধুরী আব্দুল্লাহ আল মামুনের রায়ে সন্তোষ প্রকাশ করেছে।

আজ সোমবার (১৭ নভেম্বর) এক যৌথ বিবৃতিতে কেন্দ্রীয় সভাপতি জাহিদুল ইসলাম ও সেক্রেটারি জেনারেল নূরুল ইসলাম সাদ্দাম এই সন্তোষ প্রকাশ করেছেন।

স্বাধীন বিচারব্যবস্থায় এ রায়ে ভুক্তভোগীদের প্রতি ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠিত হওয়ায় সন্তোষ প্রকাশ করে নেতৃবৃন্দ বলেন, ন্যায়বিচারের প্রথম ধাপ সম্পন্ন, সুবিচার নিশ্চিতে রায় কার্যকর জরুরি।

নেতৃবৃন্দ আরও বলেন, জুলাই অভ্যুত্থানে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর পাশাপাশি ছাত্রলীগ, যুবলীগ ও আওয়ামী লীগের সন্ত্রাসীরা যে গণহত্যা চালিয়েছে, তার মূল মাস্টারমাইন্ড ছিল পলাতক ফ্যাসিস্ট হাসিনা। তার নির্দেশে সারা দেশে গণহত্যা চালিয়ে ১৩৩ জন শিশুসহ সহস্রাধিক ছাত্র-জনতাকে হত্যা করা হয়। আজকের এই রায়ের মাধ্যমে সন্তান, পিতা, স্বামী ও প্রিয়জন হারানো পরিবারগুলোর প্রতি ন্যায়বিচারের প্রথম ধাপ সম্পন্ন হয়েছে। চূড়ান্ত সুবিচার নিশ্চিত করতে এই রায় কার্যকর করা জরুরি।

‘শুধু জুলাই গণহত্যা নয়, বাংলাদেশে ভবিষ্যতে মানবতাবিরোধী অপরাধের পুনরাবৃত্তি রোধ করতে হলে ২০০৯ সালের পিলখানা গণহত্যা, আল্লামা সাঈদীর রায়-পরবর্তী গণহত্যা, শাপলা গণহত্যা এবং পল্টন ট্র্যাজেডিসহ সমস্ত গুম, খুন, বিচারবহির্ভূত হত্যার বিচার নিশ্চিত করে দৃষ্টান্ত স্থাপন করতে হবে। পাশাপাশি যেসব ব্যক্তি, প্রতিষ্ঠান ও সংগঠন স্বৈরশাসন প্রতিষ্ঠা ও তা টিকিয়ে রাখতে সম্মতি উৎপাদন করেছে, তাদেরকেও বিচারের আওতায় নিয়ে আসতে হবে।’

নেতৃবৃন্দ আরও বলেন, আজ এই রায় সবার জন্য শিক্ষা। অতীতের কোনো স্বৈরাচার জনগণের বিরুদ্ধে টিকে থাকতে পারেনি; আগামীতেও যারা ফ্যাসিবাদ প্রতিষ্ঠার চেষ্টা করবে, তাদেরও একই পরিণতি ভোগ করতে হবে। আমরা পলাতক আসামি শেখ হাসিনা ও আসাদুজ্জামান খান কামালকে ইন্টারপোলের সহযোগিতা এবং বিদ্যমান আন্তর্জাতিক আইনি প্রক্রিয়ার মাধ্যমে দেশে ফিরিয়ে এনে ঘোষিত রায় দ্রুত কার্যকর করার জন্য সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের প্রতি আহ্বান জানাচ্ছি।

নেতৃবৃন্দ বলেন, রায় ভুক্তভোগীদের প্রতি ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠার প্রথম ধাপ, কিন্তু চূড়ান্ত সুবিচার নিশ্চিত করতে রায় কার্যকর করা জরুরি। তারা উল্লেখ করেছেন, জুলাই অভ্যুত্থানে ছাত্রলীগ, যুবলীগ ও আওয়ামী লীগের সহস্রাধিক ছাত্র-জনতার হত্যার মূল পরিকল্পনাকারী ছিলেন পলাতক হাসিনা।

‘আমরা প্রত্যাশা করি, ভারত সরকার মানবতাবিরোধী অপরাধে দণ্ডিত পলাতক আসামিদের অবিলম্বে প্রত্যর্পণ করে বাংলাদেশের জনগণের পক্ষে অবস্থান নেবে। তা না হলে দুই দেশের দীর্ঘদিনের সম্পর্ক চরমভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হবে এবং সেই দায়ভার তাদেরই বহন করতে হবে।’

ভিওডি বাংলা/জা

  • দেশজুড়ে এর পাঠক প্রিয়
আরও পড়ুন
শেখ হাসিনার মৃত্যুদণ্ডের রায়ে সন্তোষ প্রকাশ খালেদা জিয়ার
শেখ হাসিনার মৃত্যুদণ্ডের রায়ে সন্তোষ প্রকাশ খালেদা জিয়ার
ভারতকে যে বার্তা দিলেন আখতার
ভারতকে যে বার্তা দিলেন আখতার
রাষ্ট্রীয় গুম-খুনের বিরুদ্ধে এই রায় দৃষ্টান্ত হয়ে থাকবে : খেলাফত মজলিস
রাষ্ট্রীয় গুম-খুনের বিরুদ্ধে এই রায় দৃষ্টান্ত হয়ে থাকবে : খেলাফত মজলিস