জনগণের বাধার মুখে ষড়যন্ত্র টিকবে না: ডা. জাহিদ

বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ডা. এ জেড এম জাহিদ হোসেন বলেছেন, জনগণের অধিকার নিয়ে যারা খেলাধুলা করতে চায়, তাদের ব্যাপারে বলি আপনারা গণতন্ত্র নিয়ে দয়া করে খেলাধুলা করবেন না। জনগণের বাধার মুখে কোনো ষড়যন্ত্র টিকবে না। শেষ বিচারে জনগণ জয়যুক্ত হবে। জনগণের রায়ের মাধ্যমে গণতন্ত্র পুনঃপ্রতিষ্ঠিত হবে।
মঙ্গলবার (১১ নভেম্বর) দিনাজপুরের নবাবগঞ্জ উপজেলার মাহমুদপুর ইউনিয়নের ৩নং ওয়ার্ডে বিএনপি এবং এর সকল অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনের উদ্যোগে আয়োজিত পথসভায় তিনি এসব কথা বলেন।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে ডা. জাহিদ হোসেন বলেন, আজকে কেউ-কেউ বিশৃঙ্খলা সৃষ্টির চেষ্টা করছেন। আপনার এখানে বসে আছেন, আপনারা কি পিআর বুঝেন? আপার হাউস, লোয়ার হাউস বুঝেন? মানুষ বুঝে তার অধিকার প্রয়োগ করার সুযোগ। অর্থাৎ ভোট যেটি দেওয়ার কথা আপনার ভোট আপনি দিবেন, যাকে খুশি তাকে দিবেন সেইটি। আপনি দেখতে চান যে আপনার প্রার্থীটি কে হবে। আর পিআর হচ্ছে এমন একটি সিস্টেম যেখানে আপনি ভোট দিবেন, কিন্তু আপনি কাকে প্রার্থীকে বুঝতে ও জানতেও পারবেন না। আর সরাসরি ভোটের পদ্ধতি হচ্ছে আপনি যেমন আমাকে দেখছেন, আমি আপনার সামনে এসে হাজির হয়েছি। অর্থাৎ আপনি আপনার সুবিধা-অসুবিধা বলার জন্য আমাকে বা আমাদের লোকদেরকে পাবেন। তাদের মাধ্যমে আপনি আপনার সুখ-দুঃখের কথা বলতে পারবেন, সমস্যার কথা বলতে পারবেন। কিন্তু আজকে যারা পিআর এর কথা বলে তারা দেশের মানুষকে বিভ্রান্ত করতে চাচ্ছে। দয়া করে জনগণের গণতান্ত্রিক অধিকার নিয়ে খেলাধুলা করবেন না। জনগণের বাধার মুখে কোনো ষড়যন্ত্র কিন্তু টিকবে না।
তিনি বলেন, এই দেশের মানুষ দীর্ঘদিন তাদের অধিকার প্রয়োগ করতে পারে নাই। এই গণতন্ত্রহীন একটি দেশে, গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠিত হওয়ার, প্রাতিষ্ঠানিক রূপ লাভ করার এখন একটি সুযোগ। আগামী ফেব্রুয়ারির প্রথম দিকে অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের নেতৃত্বে জাতীয় নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। আমরা আশা করবো সবাই মিলে ঐক্যবদ্ধভাবে এই প্রচেষ্টাকে যেনো সার্থক হয়। আগামী জাতীয় নির্বাচন যত দ্রুততার সঙ্গে, সুন্দরভাবে, অনুষ্ঠিত হবে, জনগণ তার অধিকার ফিরে পাবে। বিশৃঙ্খলা দূর হবে।
সবাইকে ঐক্যবদ্ধ থাকার অনুরোধ জানিয়ে বিএনপির সর্বোচ্চ নীতিনির্ধারনী ফোরামের এই সদস্য বলেন, গতকালকে রাত থেকে দেখছেন কেউ কেউ বাসে আগুন দিচ্ছে। কেউ-কেউ হঠাৎ করে গুলি করে একজনকে মেরে ফেলছে। কেউ-কেউ ভয় দেখাচ্ছে আগামী কয় তারিখে জানি লকডাউন করবে। অর্থাৎ পতিত স্বৈরাচার পলায়নকৃত স্বৈরাচারের আসফালন শুরু হয়েছে। কেন? আজকে সবাই বিভাজিত। ঐক্য ফাটল। ওই ফাটল দিয়ে ওই পলায়নকৃত স্বৈরাচার ঢুকার চেষ্টা করছে। কাজেই বন্ধুরা যারা গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারের লড়াইয়ে ছিলেন, কোনো অবস্থাতেই নিজেদের মধ্যে বিভাজন সৃষ্টি করবেন না। আসুন আমরা ঐক্যবদ্ধভাবে আমরা সেই সমস্ত স্বৈরাচারের পুনর্বাসনকে রুখে দেই। রুখে দেওয়ার জন্য দরকার ঐক্য ঐক্য ঐক্য। এর কোন বিকল্প নাই। কোন ষড়যন্ত্রে পা দিবেন না।
পথসভায় নবাবগঞ্জ উপজেলার বিএনপি মাহমুদপুর ইউনিয়নের ৩নং ওয়ার্ডে বিএনপির অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মী ও স্থানীয়রা উপস্থিত ছিলেন।
ভিওডি বাংলা/ আরিফ



