নবাবগঞ্জে দীর্ঘ ২০ বছর থেকে তাল বীজ রোপন করেন শ্রী অধির

                                            
                                    
এই বৃক্ষপ্রেমী ব্যক্তির নাম শ্রী অধির চন্দ্র রায়। বাড়ি দিনাজপুরের নবাবগঞ্জ উপজেলায়। ছোট বেলা থেকেই গাছের চারা লাগাচ্ছেন।
সকাল হলেই খন্তা হাতে বের হয়ে পড়েন। সড়কের পাশে, অন্যের বাড়ি—যেখানেই খালি জায়গা পান, গাছের চারা লাগান তিনি। ফলদ, ঔষধিসহ সব প্রজাতির গাছ লাগান। গাছ লাগানো তাঁর যেন নেশায় পরিণত হয়েছে। পরিবেশ রক্ষায় গাছের চারা লাগাচ্ছেন তিনি। একটু ফাঁকা সময় পেলেই গাছের চারা লাগানো ও পরিচর্যায় ব্যস্ত হয়ে পড়েন । ছোট বেলা থেকেই তিনি এই কাজটি করে যাচ্ছেন। এই বৃক্ষপ্রেমী ও পরিবেশবান্ধব ব্যক্তি।
১৯৪২ সালে রংপুর জেলার ছাতিয়া বিসনা গ্রামে জন্মগ্রহন করেন। পিতার নাম মৃত মহেশ চন্দ্র রায় এবং মাতার নাম মৃত হেমো বালা রায়। কৈশরে তিনি তার বাবা মাকে হারান এবং তিনি ঐ গ্রামের প্রতিবেশীর বাড়িতে পালিত হন।
৬০ দশকে তিনি দিনাজপুর জেলার নবাবগঞ্জে উপজেলার পাহারপুর গ্রামে জীবিকা নির্বাহের তাগিদে চলে আসেন। এবং এই এলাকায় বিত্ববান ব্যক্তির বাড়িতে বছর চুক্তিতে কাজ করেন। শ্রী অধির চন্দ্র রায় ছোট বেলা থেকেই একজন প্রকৃতি ও বৃক্ষ প্রেমি মানুষ ছিলেন। তিনি অন্যের বাড়িতে কাজ করার পাশাপাশি ওই এলাকায় বিভিন্ন প্রকার ফলজ, ঔষধি ও কাঠের গাছের চারা রোপন করতেন। গাছ লাগানোর প্রতি ব্যাপক আগ্রহ থাকায় এলাকার মানুষ তাঁকে সম্মান করেন। এই কাজের জন্য ইউনিয়নের মানুষের কাছে বিশেষ পরিচিতি পেয়েছেন তিনি।
তিনি অত্র নবাবগঞ্জ উপজেলার বিভিন্ন গ্রাম হতে তাল মৌসুমে তালের বীজ সংগ্রহ করে এনে শহরের আনাচে কানাচে রোপন করেন প্রতি বছর। তিনি প্রায় দু থেকে তিন হাজার তাল বীজ রোপন করেছেন,যার অধিকাংশই বর্তমানে দৃশ্যমান।
শ্রী অধির চন্দ্র রায় বলেন, আমার সংসার স্ত্রী পুত্র আত্মীয়-স্বজনকে যতটা ভালবাসি ঠিক ততটাই আমি বিভিন্ন ধরনের গাছপালা রোপন করে স্বাবলম্বী করা কেউ ভালোবাসি। এছাড়াও সড়কের পাশে গাছ লাগিয়েছি পথিককে ছায়া দেওয়ার জন্য। গাছ লাগালে পরিবেশও ভালো থাকে। সরকারের নির্দেশনা রয়েছে, কোনো জায়গা ফেলে রাখা যাবে না। এসব বিষয় চিন্তা করেই এখন আরো বেশি করে গাছের চারা লাগাতে শুরু করি।
এভাবেই বৃৃৃক্ষ রোপণ করেই যাবো এবং পরিচর্যা করে স্বাবলম্বী করব এইটা আমার ইচ্ছা ।
ভিওডি বাংলা/ এমএইচ
                            
                        
                
                



                

