১০ বছরে ৫ হাজার কোটি রুপির রেকর্ড:
বক্স অফিসের রাজা প্রভাস

                                            
                                    
বলিউডের তিন খান বা দক্ষিণের রজনীকান্ত পেছনে ফেলে গত এক দশকে ভারতের সিনেমা বক্স অফিসে রাজত্ব করছেন একজন অভিনেতা। তিনি আর কেউ নন, প্রভাস।
১৯৭৯ সালের ২৩ অক্টোবর চেন্নাইয়ে জন্ম নেওয়া প্রভাস ‘বাহুবলী’ ফ্র্যাঞ্চাইজি দিয়ে শুধু দক্ষিণ ভারত নয়, পুরো উপমহাদেশেই পেয়েছেন বিশাল জনপ্রিয়তা।
 
প্রভাসকে ভারতের বর্তমান প্রজন্মের সবচেয়ে লাভজনক তারকা বললেও ভুল হবে না। টানা ১০ বছরে মাত্র সাতটি ছবিতেই এই অভিনেতা বিশ্বব্যাপী আয় করেছেন প্রায় পাঁচ হাজার কোটি রুপি, যার মধ্যে পাঁচটি ছবির ওপেনিং ডে কালেকশনই ১০০ কোটির ওপর- যা ভারতের অন্য কোনো অভিনেতার নেই।
গত ১০ বছরে প্রভাসের মুক্তিপ্রাপ্ত সাতটি ছবি- ‘বাহুবলী’, ‘বাহুবলী ২’, ‘সাহো’, ‘রাধে শ্যাম’, ‘আদিপুরুষ’, ‘সালার’ ও ‘কাল্কি ২৮৯৮ এডি’- মোট আয় করেছে প্রায় ৫ হাজার ১১০ কোটি রুপি। এরমধ্যে ‘বাহুবলী ২’ (১৮০০ কোটি রুপি) ও ‘কাল্কি ২৮৯৮ এডি’ (১০৪০ কোটি রুপি) দুই-ই হাজার কোটির ক্লাব ছুঁয়েছে।
২০১৫ সালের ‘বাহুবলী: দ্য বিগিনিং’ দিয়েই শুরু হয় তার সর্বভারতীয় উত্থান, আর ‘বাহুবলী ২: দ্য কনক্লুশন’ তাকে নিয়ে যায় আন্তর্জাতিক তারকাখ্যাতির শিখরে। দুটি ছবিই মিলে বিশ্বব্যাপী আয় করেছিল প্রায় ২ হাজার ৪৫০ কোটি।
 
এরপর আসে তিনটি তুলনামূলক ‘ফ্লপ’ ছবি- ‘সাহো’ (৪৫০ কোটি), ‘রাধে শ্যাম’ (১৫০ কোটি) ও ‘আদিপুরুষ’ (৪০০ কোটি)। বাজেটের তুলনায় প্রত্যাশা পূরণ না করলেও এই তিন ছবিই মিলিয়ে এক হাজার কোটির বেশি আয় করে- প্রমাণ করে প্রভাসের জনপ্রিয়তা।
২০২৩ সালে প্রশান্ত নীল পরিচালিত ‘সালার: পার্ট–১ সিজফায়ার’ আয় করে ৬২০ কোটি রুপি, আর ২০২৪ সালে নাগ অশ্বিনের ‘কাল্কি ২৮৯৮ এডি’ হয়ে ওঠে বছরের সবচেয়ে বড় ব্লকবাস্টার- আয় ১,০৪০ কোটি রুপি।
বর্তমানে প্রভাসের হাতে রয়েছে একাধিক বিগ বাজেট প্রজেক্ট- ‘দ্য রাজা সাব’, ‘ফৌজি’, ‘সালার: পার্ট ২’, ‘কাল্কি ২৮৯৮ এডি’ সিকুয়েল ও ‘স্পিরিট’।
সমালোচকরা বলছেন, এসব সিনেমা মুক্তি পেলে প্রভাসের বক্স অফিস দাপট আরও বহুগুণে বেড়ে যাবে।
ভিওডি বাংলা/জা
                            
                        
                
                




                

