নেপালের অন্তর্বর্তী সরকার: সুশীলা কার্কির চ্যালেঞ্জ


জেন জি আন্দোলনের পর সাবেক প্রধান বিচারপতি সুশীলা কার্কির নেতৃত্বে নেপালে গঠিত হয়েছে অন্তর্বর্তী সরকার। নতুন সরকারের মূল কাজ হবে আগামী ২০২৬ সালের নির্বাচন আয়োজন, আন্দোলনের ফলে ধ্বংস হওয়া অবকাঠামো পুনর্নির্মাণ এবং জটিল ভূরাজনৈতিক চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা।
বুধবার (১৭ সেপ্টেম্বর) কাঠমান্ডু পোস্ট জানিয়েছে, সুশীলা কার্কির নেতৃত্বে তিন সদস্যের মন্ত্রিসভা গঠন হয়েছে। তবে পররাষ্ট্রমন্ত্রীর পদ এখনো শূন্য; সাবেক সচিব ও রাষ্ট্রদূতকে নিয়োগের চেষ্টা হলেও সিদ্ধান্ত হয়নি।
পররাষ্ট্রনীতিতে সঠিক মূল্যায়নের গুরুত্বের ওপর বিশেষজ্ঞরা সতর্ক করেছেন। জাতীয় নিরাপত্তা কাউন্সিলের সাবেক উপদেষ্টা শঙ্কর দাস বৈরাগী বলেন, “বিদেশনীতি দুইমুখী রাস্তা। আমাদের বুঝতে হবে অন্যরা আমাদের কেমনভাবে দেখছে। কিন্তু আমরা বহির্বিশ্বের আচরণ ও বন্ধু রাষ্ট্রের অবস্থান যথাযথভাবে অনুধাবন করতে ব্যর্থ হয়েছি।”
সাম্প্রতিক রাজনৈতিক পরিবর্তনের পেছনে ভূরাজনৈতিক প্রভাবও রয়েছে। ত্রিভুবন বিশ্ববিদ্যালয়ের মৃগেন্দ্র বাহাদুর কার্কি বলেন, “চীন এই পরিবর্তনকে কিভাবে দেখছে, ভারত-চীন-যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে নেপালের ভারসাম্যপূর্ণ সম্পর্ক কীভাবে বজায় রাখা যায়- এগুলো এখন সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ।”
বিশেষজ্ঞরা আন্তর্জাতিক সহায়তা ও পর্যটন খাত পুনরুদ্ধারের ওপর গুরুত্ব দিচ্ছেন। নিশ্ছল এন পান্ডে বলেন, “নভেম্বর-ডিসেম্বর পর্যটনের প্রধান মৌসুম। আমাদের বিশ্বকে জানাতে হবে- নেপাল আবার ঘুরে দাঁড়াচ্ছে।”
সিডি ভট্ট উল্লেখ করেন, “দেশীয় রাজনীতি সঠিকভাবে না সামলালে পরিস্থিতি আরও খারাপ হতে পারে। আন্দোলনের মাধ্যমে আসা এই সরকারকে প্রতিবেশী ও আন্তর্জাতিক পরিসরে ভারসাম্যপূর্ণ সম্পর্ক গড়ে তুলতে হবে। অভ্যন্তরীণ রাজনৈতিক স্থিতিশীলতার ওপরই বহির্বিশ্বের সঙ্গে সম্পর্ক নির্ভর করে।”
ভিওডি বাংলা/জা