শিক্ষার্থী নিহতের ঘটনায় বাকৃবি নেপালি শিক্ষার্থীদের সহমর্মিতা


নেপালে সাম্প্রতিক রাজনৈতিক অস্থিরতা ও সহিংসতায় নিহত ২১ শিক্ষার্থীর স্মরণে বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের (বাকৃবি) নেপালি শিক্ষার্থীরা মোমবাতি প্রজ্জ্বলন কর্মসূচি পালন করেছে।
মঙ্গলবার (৯ সেপ্টেম্বর) সন্ধ্যায় বিশ্ববিদ্যালয়ের মুক্তমঞ্চের সামনে ওই কর্মসূচির আয়োজন করা হয়।
বিশ্ববিদ্যালয়ের স্নাতকোত্তর নেপালি শিক্ষার্থী আরএন ইয়াদব বলেন, নেপালে দীর্ঘদিন ধরে রাজনৈতিক অস্থিতিশীলতা, দুর্নীতি ও সরকারের ব্যর্থতা জনগণকে হতাশ করেছে। স্থানীয় সরকার থেকে শুরু করে কেন্দ্রীয় পর্যায় পর্যন্ত ব্যাপক অনিয়ম ও কেলেঙ্কারির কারণে দেশের উন্নয়ন বাধাগ্রস্ত হয়েছে। বিশেষ করে যুবসমাজ ক্ষোভে ফেটে পড়েছে, যাদের অনেকেই বিদেশমুখী হয়ে পড়ছে।
তিনি আরো বলেন, সম্প্রতি সরকার সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে (ফেসবুক, ইন্সটাগ্রাম, ইউটিউব) কঠোর সেন্সরশিপ আরোপের চেষ্টা করেছিল। এমনকি পোস্ট মুছে ফেলা ও ব্যবহারকারীদের গ্রেপ্তারের ক্ষমতা নিজেদের হাতে নেওয়ার পদক্ষেপ নেয়া হয়। এর প্রতিবাদে তরুণরা ব্যাপকভাবে আন্দোলনে নামে।
বিশ্ববিদ্যালয়ের পিএইচডি অধ্যয়নরত নেপালি শিক্ষার্থী দুর্গা দেবী রাউত বলেন, আজকে বাকৃবি ক্যাম্পাসে নিহতদের আত্মার শান্তি কামনা করে মোমবাতি প্রজ্বলন, নীরবতা পালন এবং প্ল্যাকার্ড হাতে আমরা প্রতিবাদ জানিয়েছি। যারা মারা গেছেন, তাদের ত্যাগ যেন বৃথা নাএ যায়। মতপ্রকাশের স্বাধীনতা ও দুর্নীতিমুক্ত সমাজ গড়ে তুলতে আমাদের এই ও আন্দোলন অব্যাহত থাকবে। দেশ থেকে বহু দূরে থাকলে-ও এই আন্দোলনে আমরা দেশবাসীর পাশে আছি।
উল্লেখ্য, সোমবার নেপালে দুর্নীতি ও সেন্সরশিপবিরোধী বিক্ষোভে নিরাপত্তা বাহিনীর নির্বিচার গুলিতে অন্তত ১৯ জন প্রাণ হারান। নিহতদের মধ্যে শিশুসহ কলেজ শিক্ষার্থীরাও রয়েছে। এরপর আজ সকালে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সাথে বিক্ষোভকারীদের সংঘাতে আরো ২ জনের মৃত্যুর খবর পাওয়া গিয়েছে।
ভিওডি বাংলা/ এমএইচ