স্পর্শকাতর সৌন্দর্য্যবর্ধক অস্ত্রোপচারে তরুণীর মৃত্যু


সংযুক্ত আরব আমিরাতের (ইউএই) ফেডারেল সুপ্রিম কোর্ট প্লাস্টিক সার্জনদের দায়বদ্ধতা নিয়ে নতুন নীতি ঘোষণা করেছে। আদালত রায়ে স্পষ্ট করেছে, সৌন্দর্য্যবর্ধক অস্ত্রোপচার যেহেতু জরুরি চিকিৎসা নয়, তাই চিকিৎসক কোনো গাফিলতির দায় এড়াতে পারবেন না।
রায়টি আসে এক তরুণীর মৃত্যুর ঘটনায়। তিনি শরীরের গড়ন পরিবর্তনের জন্য স্পর্শকাতর অস্ত্রোপচার করান, কিন্তু চিকিৎসক সর্বোচ্চ মানের সেবা প্রদানে ব্যর্থ হন এবং প্রযোজ্য চিকিৎসা নীতিমালা ও মানদণ্ড উপেক্ষা করেন। এর ফলে তাঁর মৃত্যু হয়। খবরটি জানিয়েছে খালিজ টাইমস।
আদালতের রায়ে বলা হয়েছে, অস্ত্রোপচারের ঝুঁকি যদি প্রত্যাশিত সুফলের তুলনায় বেশি হয়, তবে রোগীর সম্মতি থাকলেও চিকিৎসক অপারেশন করতে পারবেন না। এছাড়া, কোনো চিকিৎসা পদ্ধতির ঝুঁকি যদি রোগীর প্রত্যাশিত সুফলের সঙ্গে অসামঞ্জস্যপূর্ণ হয়, তবে চিকিৎসককে দোষী হিসেবে ধরা হবে, যদি না প্রমাণিত হয় যে ব্যবহৃত পদ্ধতি ও ক্ষতির মধ্যে কোনো সম্পর্ক নেই।
এই রায় দিয়েছেন আদালতের প্রশাসনিক চেম্বার। সভাপতিত্ব করেছেন বিচারপতি মোহাম্মদ আবদুর রহমান আল জাররাহ, সহবিচারপতি ছিলেন বিচারপতি দাউদ ইব্রাহিম আবু আল শাওয়ারেব এবং ড. হাসান মোহাম্মদ হাসান হিন্দ। রায়টি প্রদান করা হয়েছে ১ সেপ্টেম্বর, আপিল নং ৭২২ (অ্যাডমিনিস্ট্রেটিভ মামলা)।
নতুন এই রায় প্লাস্টিক সার্জনদের দায়িত্বশীলতার ক্ষেত্রে দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছে এবং সৌন্দর্য্যবর্ধক অস্ত্রোপচারের ঝুঁকি ও রোগীর সুরক্ষার গুরুত্ব আরও বাড়িয়েছে।
ভিওডি বাংলা/জা