মুকসুদপুরের মুসলমানের জমিতে মন্দির নির্মাণের অভিযোগ


রাজৈর উপজেলার পার্শ্ববর্তী মুকসুদপুরের গোহালা ইউনিয়নের গোহালার বাজার সংলগ্ন মুসলমান মালিকের জায়গায় মন্দির নির্মাণের কাজ শুরু করায় অভিযোগ উঠেছে। তবে মন্দির নির্মাণকারী বলছে তার মামা তাকে থাকতে দিয়ে ভারতে চলে গেছে। বিষয়টি নিয়ে এলাকায় উত্তেজনা বিরাজ করছে। যেকোনো সময় সংঘর্ষের ঘটতে পারে বলে আশঙ্কা করছে স্থানীয়রা।
জানা যায়, গোহালা বাজারের পাশে গোহালা মৌজার সারে ১০ শতক জমি শ্রীযুতপুর গ্রাম নিবাসী এম এ খায়ের মোল্লা (বাচ্চু) জমির মালিক নিতাই চন্দ্র সাহা, শ্যাম সুন্দর সাহাদের নিকট হতে রেজিস্ট্রি দলিলে ক্রয় করে নামজারি ও খাজনাদি পরিশোধ করে আসছেন। পূর্বের মালিকদের ভাগিনা মনোরঞ্জন সাহা উক্ত জমিতে মামাদের আশ্রয়ে বসবাস করে আসছিল। জমি বিক্রয় হয়ে যাওয়ার পরে সে বাড়ি না ছেড়ে ছলেবলে উক্ত জমি স্থায়ী দখলের উদ্দেশ্যে পাকা মন্দির ঘর নির্মাণ শুরু করে।
বর্তমান মালিক এম এ খায়ের মোল্লা (বাচ্চু) জানান, স্থানীয় কিছু দুষ্কৃতিকারীদের সহযোগিতায় আমার উক্ত ক্রয়কৃত জায়গা অবৈধভাবে দখলের উদ্দেশ্যে মন্দির বানানোর পায়তারা করছে। আমি বিষয়টি সিন্দিয়াঘাট ফারিকে জানালে এ এস আই মনির হোসেন গিয়ে জমি দখল করে মন্দির বানানো থেকে বিরত থাকতে বলেন।
সিন্দিয়াঘাট পুলিশ ফারির এ এস আই মনির হোসেন জানান, আমরা বিষয়টি অবহিত হয়ে ঘটনাস্থলে গিয়ে নির্মাণ কাজ বন্ধ রাখার কথা বলে আসছি।
মন্দির নির্মাণকারী মনোরঞ্জন সাহা জানান, আমি পরিবার নিয়ে প্রায় ৫০ বছর যাবত এখানে বসবাস করছি। তবে জায়গাটি আমার নামে রেকর্ড না হওয়ায় রেকর্ড সংশোধনের মামলা আদালতে চলমান। পুজা করার জন্য মন্দির নির্মাণ করছি। তবে তিনি কোনো কাগজপত্র দেখাতে পারেননি।
ভিওডি বাংলা/ এমএইচ