রাষ্ট্র ক্ষমতায় গেলে একটি সমৃদ্ধশালী দেশ গড়বে বিএনপি


ফেব্রুয়ারির জাতীয় নির্বাচন সুষ্ঠুভাবে অনুষ্ঠানই বিএনপির সামনে ‘এখন চ্যালেঞ্জ’ বলে মন্তব্য করেছেন মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। সোমবার সকালে শেরে বাংলা নগরে বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা জিয়াউর রহমানের কবরে পুস্পমাল্য অর্পনের পরে সাংবাদিকদের কাছে দলটির মহাসচিব এই অভিমত ব্যক্ত করেন।
তিনি বলেন, ‘এখন যে চ্যালেঞ্জ আমাদের সামনে রয়েছে সেই চ্যালেঞ্জ হচ্ছে আগামী ফেব্রুয়ারি মাসে যে নির্বাচন অনুষ্ঠানের কথা আছে সেই নির্বাচন অনুষ্ঠান সুষ্ঠভাবে করতে সর্বতোভাবে সহযোগিতা করা, সাহায্য করা।’
সংস্কার প্রসঙ্গে বিএনপি মহাসচিব বলেন, ‘যে সংস্কার প্রস্তাবগুলো নিয়ে এসেছিল সংস্কার বিষয়ক কমিশনগুলো সেই সংস্কারগুলো বিএনপি সর্বাত্মক সহযোগিতা করেছে এবং বিএনপির ৩১ দফা কর্মসূচি প্রবর্তনের মধ্য দিয়ে বাংলাদেশের রাজনীতিতে সম্পূর্ণ আমুল একটি পরিবর্তন আনার ব্যবস্থা করেছে।’
মির্জা ফখরুল প্রত্যাশা ব্যক্ত করে বলেন, ‘জনগণের সমর্থনের মধ্য নিয়ে বিএনপি যদি রাষ্ট্র পরিচালনার দায়িত্ব পায় তাহলে নিঃসন্দেহে আমাদের নেতা ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের নেতৃত্বে বিএনপি একদিকে রাজনৈতিক পরিবর্তন ঘটাবে অন্যদিকে অর্থনৈতিক পরিবর্তনও ঘটাবে এবং নিঃসন্দেহে বাংলাদেশকে আরো সামনের দিকে এগিয়ে যাবে।’
বিএনপির ৪৭তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষ্যে সকাল ১১টায় মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর দলীয় নেতা-কর্মীদের নিয়ে শেরে বাংলা নগরে জিয়াউর রহমানের সমাধিস্থলে যান। সেখানে জিয়ার কবরে পুস্পমাল্য অর্পন করেন এবং প্রয়াত নেতার আত্মার মাগফেরাত কামনা করে বিশেষ মোনাজাতে অংশ নেন।
এই সময়ে দলের স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহ উদ্দিন আহমদ, চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা কাউন্সিলের সদস্য আমান উল্লাহ আমান, জ্যেষ্ঠ যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী, যুগ্ম মহাসচিব খায়রুল কবির খোকন, শহিদ উদ্দিন চৌধুরী এ্যানি, আবদুস সালাম আজাদ, কেন্দ্রীয় নেতা মীর সরফত আলী সপু, সাইফুল আলম নিরব, মহানগর বিএনপির উত্তরের আমিনুল হক, দক্ষিনের তানভীর আহমেদ রবিনসহ অঙ্গসংগঠনের নেতারা উপস্থিত ছিলেন।
পরে বিএনপি মহাসচিব সাংবাদিকদের সাথে কথা বলেন।
প্রয়াত রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের কর্মময় জীবন এবং তার শাসনামলে নেওয়া বিভিন্ন পদক্ষেপ তুলে ধরে তিনি বলেন, ‘‘ বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দলের রাজনীতির মূল যে আদর্শ মূল যে লক্ষ্য সেই আদর্শ ও দর্শনটি ছিল বাংলাদেশী জাতীয়তাবাদ যা বাংলাদেশের রাজনীতিতে আমুল পরিবর্তন হয়েছে।”
‘‘অল্প সময়ের মধ্যে তিনি (জিয়াউর রহমান) রাজনীতিতে যেমন গুনগত পরিবর্তন এনেছিলেন তিনি মিডিয়া-গণমাধ্যমের স্বাধীনতা নিশ্চিত করেছিলেন, তিনি মানুষের মৌলিক অধিকারগুলো নিশ্চিত করেছিলেন, তিনি বিচার বিভাগের স্বাধীনতা নিশ্চিত করেছিলেন এবং একই সঙ্গে অর্থনীতিতে গতি আনতে তিনি মুক্তবাজার অর্থনীতি প্রবর্তন করেছিলেন যার ফলে অর্থনীতির আমূল পরিবর্তন হয়েছিল।”
বিগত ১৫ বছরে বিএনপির নেতা-কর্মীদের ওপর সরকারের নিপীড়ন-নির্যাতনের চিত্র তুলে ধরে মির্জা ফখরুল বলেন, ‘‘দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান জনাব তারেক রহমান তিনি দীর্ঘ আট বছর এই সংগ্রামের নেতৃত্ব দিয়েছেন নির্বাসিত হয়ে। বিএনপিরকে ধ্বংস করার জন্য প্রায় ৬০ লক্ষ মানুষের বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা দেওয়া হয়েছে, প্রায় ২০ হাজার মানুষকে হত্যা করা হয়েছে, ১৭‘শ নেতাকর্মীকে গুম করা হয়েছে, খুন করা হয়েছে এবং অবিশ্বাস্য রকমের একটা ফ্যাসিজিম এখানে প্রতিষ্ঠা করা হয়েছিল যার মূল লক্ষ্যই ছিল বিএনপিকে নিশ্চিহ্ন করবার।”
‘‘ আল্লাহর অশেষ রহমতে জনগণের আন্দোলনের মধ্য দিয়ে ছাত্রদের আন্দোলনের মধ্য দিয়ে আমরা সেই ভয়াবহ হাসিনা থেকে মুক্ত হতে পেরেছি, ফ্যাসিবাদ থেকে মুক্ত হতে পেরেছি।”
ভিওডি বাংলা/ এমপি