তারেক রহমানের কাছে কী আবদার করলেন প্রতিবন্ধী তারা মিয়ার!


আজ থেকে ৭ বছর আগে ২০১৮ সালে একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ধানের শীষ প্রতীকে ভোট দেয়ায় গায়েবি মামলার শিকার হয়েছিলেন সুনামগঞ্জ-১ আসনের জামালগঞ্জ উপজেলার ভীমখালী ইউনিয়নের ভাণ্ডাগ্রামের প্রতিবন্ধী ও সে সময়ের ভিক্ষুক তারা মিয়া। অভিযোগ ওঠে, আওয়ামী লীগ নেতা ও তৎকালীন সংসদ সদস্য মোয়াজ্জেম হোসেন রতনের নির্দেশে জামালগঞ্জ থানার তৎকালীন ওসি আবুল হাসেম বিএনপি, ছাত্রদল, যুবদল, কৃষকদলসহ অঙ্গসংগঠনের ৭০-৮০ জন নেতাকর্মীর বিরুদ্ধে বিশেষ ক্ষমতা আইনে মামলা করেন।
মামলার এজাহারে বলা হয়, ২০১৮ সালের ২৮ ডিসেম্বর নির্বাচনের দুই দিন আগে পুলিশ খবর পায় ভীমখালী ইউনিয়নের মল্লিকপুর বাজারের মধ্যবাজার গলিতে কিছু লোক পঞ্চগ্রাম মাদ্রাসা ভোটকেন্দ্রে নাশকতার পরিকল্পনা করছে। পুলিশ সেখানে গিয়ে দেখতে পায় আসামিরা রামদা, হকিস্টিক, লোহার রড, লাঠি ও ইটপাটকেল নিয়ে ধানের শীষের নামে মিছিল করছে এবং অরাজক পরিস্থিতি সৃষ্টি করেছে। পরে আসামিরা পুলিশের ওপর হামলা চালায়। পরদিন পুলিশ বাদী হয়ে মামলাটি করে।
ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের উদ্দেশে তিনি বলেন, ‘সেদিন সারা দেশবাসী জানত, প্রতিবন্ধী বিএনপি সমর্থক তারা মিয়া আওয়ামী লীগের গায়েবি মামলার আসামি। আমি তখন ভিক্ষা করে সংসার চালাতাম। মামলার কারণে জীবনে প্রথম হাইকোর্ট দেখতে হয়েছিল। এখন আমার একটাই দাবি— আমি বিএনপি করি, ধানের শীষে ভোট দিই, তাই আমাকে মিথ্যা মামলায় আসামি করা হয়েছিল। তারেক সাহেব ক্ষমতায় এলে আমার দিকে মায়ার দৃষ্টি দেবেন।’
আবেগাপ্লুত কণ্ঠে তিনি আরও বলেন, ‘আমার তিনটি মেয়ে নিয়ে সংসার চলছে কষ্টে। আগে ভিক্ষা করে সংসার চালাতাম, এখন ছেলের সামান্য আয়ে খেয়ে না খেয়ে দিন চলে। আমার একটি মেয়ে বিএ অনার্স পাস করেছে, কিন্তু সরকারি চাকরি পাচ্ছে না। চাকরি পেলে সংসারের অভাব কিছুটা হলেও ঘুচত। ইউনিয়ন বিএনপির আহ্বায়ক কমিটিতে নাম দিলেও আমাকে কোনো পদ দেয়া হয়নি। আমি বঞ্চিত থেকেছি।’
ভিওডি বাংলা/ এমএইচ