• ঢাকা বুধবার, ১৮ ডিসেম্বর ২০২৪, ৩ পৌষ ১৪৩১

কাসাভা ভিটামিনের দিক দিয়েও শীর্ষে

মধুপুরে বানিজ্যিকভাবে চাষ হচ্ছে শিমুল আলু

টাঙ্গাইল প্রতিনিধি    ২৫ আগস্ট ২০২৫, ০৬:৩৮ পি.এম.
ছবি: ভিওডি বাংলা

টাঙ্গাইলের মধুপুরের লাল মাটিতে বানিজ্যিকভাবে চাষ হচ্ছে শিমুল আলু ( কাসাভা) । যুগ যুগ ধরে কাসাভা চাষ করে যাচ্ছে স্থানীয়রা  এই কাসাভা শিমুল, শিমলাই আলু নামে সমাধিক পরিচিত। এক সময় গ্রামের মানুষেরা ক্ষুধা নিবারণের জন্য এ আলু প্রচুর খেত। সুস্বাদু থাকায় পেট ভরে খেত স্থানীয়রা। জমির আইল, বাড়ির আশ পাশের পতিত জমিতে, আনারস বাগানের আইলে, বাড়ির আশে পাশে প্রায় বাড়িতে সেকালে মধুপুর উপজেলার বৃহত্তর অরণখোলা, আউশনারা ইউনিয়নে প্রচুর পরিমাণে চাষ করা হতো। ধীরে ধীরে বানিজ্যিক ভাবে আনারস, কলাসহ অন্যান্য ফসল চাষের ফলে শিমুল আলুর চাষ অনেকটা ভাটা পড়েছে। এখন বিদেশে এ আলুর বেশ চাহিদা হওয়ায় শিমুল আলু বা কাসাভা চাষে আগ্রহ বেশি কৃষকরা।

কৃষি অফিসের সুত্রে মতে, এ অর্থ বছরে প্রায় ৫৩ হেক্টর জমিতে কাসাভার আবাদ হয়েছে। যার উৎপাদন সম্ভাবনা প্রায় ২০ মে.টন জানাযায়, মধুপুরে বানিজ্যিকভাবে চাষ হচ্ছে শিমুল আলু(কাসাভা)। ইংরেজি নাম মনিহট ইসোলেন্টা ইহা বহুবর্ষজীবী গুল্ম শ্রোণির গাছ। কান্ড গিট যুক্ত, আগা ছড়ানো, পাতা যৌগিক, গড়ন শিমুল পাতার মতো, করতলাকৃতি, লালচে রঙের দীর্ঘ বৃন্তের মাথায় লম্বাটে ছয় থেকে সাতটি পাতা থাকে। কাসাভা গাছের শিকড় জাত এক ধরনের আলু। জন্মে মাটির নিচে। নানা ভাবে ও পদ্ধতিতে এ আলু খাওয়া যায়। কাসাভা স্থানভেদে প্রচলিত বিভিন্ন নাম রয়েছে। তবে স্থানীয়ভারে কেউ কেউ শিমুল আলু, শিমলাই আলুও বলে থাকেন।

কাসাভার পুষ্টিগুণে বহুগুণে গুণান্বিত যা আটার পুষ্টিগুণ গমের আটার চেয়ে অনেক বেশি। এই আটা থেকে রুটি ছাড়াও অনেক প্রকার সুস্বাদু খাবার তৈরি করা যায়। কাসাভা ভিটামিনের দিক দিয়েও শীর্ষে। কাসাভার খাদ্যমানের মধ্যে প্রোটিন আছে ১০ শাতাংশেরও বেশি। আ্যমেইনো অ্যাসিড ও কার্বোহাইড্রেট আছে যথাক্রমে ১০ ও ৩০ শতাংশ। আরে আছে ফ্রকটোজ ও গ্লকোজ। খাদ্যোপযোগী প্রতি ১০০ গ্রাম কাসাভা আলুতে রয়েছে ৩৭ গ্রাম শকরা, ১.২ গ্রাম আমিষ, ০.৩ গ্রাম চর্বি, ৩৫ মিলিগ্রাম ক্যালসিয়াম, ০.৭ লি. গ্রাম আয়রন, ০.০৯ মিলিগ্রা ভিটামিন এ, ৩৬ মিলিগ্রাম ভিটামিন সি এবং ১৪৬ ক্যালরি খাদ্য শক্তি।
 বাইদ গ্রামের কাসাভা চাষী নশেন হাগিদক জানান, তার বাড়ির পাশে নয়াপাড়ায় ৩ বিঘা জমিতে কাসাভা লাগিয়েছে। নাগ্রা জাতের কাসাভার বীজ তার নিজেরই ছিল। ১৯৮২ সাল থেকে তার পরিবার চাষ শুরু করে। প্রতিবছরই  কম বেশি চাষ করে থাকেন। অন্যান্য বছর খেত থেকেই ১২শ' টাকা মন বিক্রি করেছে। তিন বিঘা জমিতে এ বছর ৪০-৫০ হাজার টাকার মতো খরচ হয়েছে। তার ধারনা ২০০ মন ফলন পাবেন বলেন তিনি আশা করছেন।

মধুপুর উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা রকিব আল রানা জানান, গড় অঞ্চলের মাটি আবহাওয়া কৃষি ফসলের জন্য উপযোগী। বন্যা মুক্ত। সহজেই পানি উঠে না। মাটির উরবতার কারণে সহজেই যে কোন ধরনের কৃষি ফসল চাষ করা হয়। আনারস কলাসহ অন্যান্য ফসলের মত কাসাভাও চাষ হয়। ফলন ভালো হয়। দামও ভালো পেয়ে থাকে। কৃষকদের প্রয়োজনীয় পরামর্শ ও সহযোগীতা করে থাকেন বলে তিনি।

ভিওডি বাংলা/ এমএইচ

  • দেশজুড়ে এর পাঠক প্রিয়
আরও পড়ুন
কালিয়ায় বিএনপির নেতার হত্যায় মামলায় ৬ জনের যাবজ্জীবন
কালিয়ায় বিএনপির নেতার হত্যায় মামলায় ৬ জনের যাবজ্জীবন
ইবিতে জিয়া পরিষদের উদ্যোগে রেইনকোট পেল ১৫০ ভ্যানচালক
ইবিতে জিয়া পরিষদের উদ্যোগে রেইনকোট পেল ১৫০ ভ্যানচালক
যোগানিয়া শিক্ষার্থী হত্যার বিচারের দাবীতে মানববন্ধন অনুষ্ঠিত
যোগানিয়া শিক্ষার্থী হত্যার বিচারের দাবীতে মানববন্ধন অনুষ্ঠিত